কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি অস্ত্র মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
বুধবার বেলা তিনটায় তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার সালমানপুর ছানিয়া পিকনিক স্পট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি তাজা গুলিসহ ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এরপর র্যাবের ডিএডি মো. মোস্তাকিম বাদী হয়ে ওই দিনই সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০১৫ সালের ৩০ জুন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই বছরের ১৯ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ৯ আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার তাঁকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। আজ দুপুরে ইলিয়াস কুমিল্লার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর পর তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কুমিল্লা আদালতের পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, ইলিয়াস কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তারের আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এর পর আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াসকে কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
ইলিয়াসের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে।