রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার রোল নাম্বার ৬৬০৫৮৪ ইউনিট সি গ্রুপ ৩ এ ভর্তির জন্য গত ১৭ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মা রেহেনা বেগমকে নিয়ে ভর্তি হতে যান। ভর্তির সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে নিচে নামতেই স্যার জগদী চন্দ্র বসু বিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে সাকোয়ান সিদ্দিক প্রাঙ্গন (২২) (অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগ রাঃবিঃ) মুশফিক তাহমিদ তন্ময় (২৪) পিতা মোঃ আমিনুল ইসলাম সাং চাচিয়া মিরগঞ্জ থানা সুন্দরগন্জ জেলা গাইবান্ধা মাহিবুল মমিন সনেট (২৪) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও বহিরাগত রাজু সহ বেশ কয়েকজন কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে শের-ই বাংলা আবাসিক হলের তৃতীয় তালায় নিয়ে আটক করিয়া রাখে। সেখানে সদ্য ভর্তিরত আহসান হাবিবকে বিভিন্ন নির্যাতন চালিয়ে সে প্রক্সি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পেয়েছো এমনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেন এবং তার মাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন মোবাইল ফোন থেকে আহসান হাবিব এর পরিবারের নিকট থেকে মুক্তিপণ চান এবং সদ্য তার নববধূর বাবাকে ফোনে জানানো হয় তাদের দাবি কৃতর টাকা যদি প্রদান না করেন তার নতুন জামাতাকে মেরে ফেলে সেফটি ট্যাংকির মধ্যে ফেলে দিবে এমন হুমকির প্রেক্ষিতে জামাতার জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে অপহরণকারীর নিকট তাদের মুক্তিপণের দাবি কৃত টাকা দিয়ে দেন এবং জামাতাকে প্রাণে বাঁচিয়ে রাখার অনুরোধ করেন তাতেও মন ভরে নি অপহরণকারীর তারা আহসান হাবিবের অসুস্থ বাবার নিকট তিন লক্ষ টাকা আবারো মুক্তিপণ দাবি করেন আহসান হাবিবের বাবা তাৎক্ষণিক বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করেন এদিকে তার মা ছোটাছুটি করতে থাকেন ছেলে ভর্তি হতে গেল এখনো আসলো না কেন? পরে ফোনে জানতে পারেন তার ছেলে অপহরণ কারীর শিকার হয়েছেন। তিনি তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেন।
সরজমিনে বিভিন্ন অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়,অপহরণকারীরা ইতিপূর্বেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এর সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত তাদের নামে একাধিক অভিযোগ থাকলেও (বড় দাদার ভয়ে) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেননি। অনুসন্ধানীতে আরও জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অপহরণকারীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তাতে সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে প্রফেসর মোঃ আব্দুস সালাম রেজিস্টার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী কর্তৃক অফিসার ইনচার্জ মতিহার থানা আর এমপি রাজশাহীতে যে এজাহার দায়ের করেছেন সেখানে অপহরণকারীদের নাম ও ডিপার্টমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে অপহরণকারীর গ্রাম, বাবার, নাম সবকিছু অজ্ঞাত রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অপহরণকারীদের সহ অপহরণকৃত আহসান হাবীবকে উদ্ধার করলেও শুধুমাত্র অপহরণকৃত ব্যক্তিকেই ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং অপহরণকারীদের ছেড়ে দেয়।
আমাদের অনুসন্ধান চলতে থাকে, আমরা মতিহার থানার ইনচার্জ অফিসার এর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যেমনটা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত এলাকা আমাদের সেখানে প্রবেশ অধিকার সংরক্ষিত আহসান হাবীব এর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব গোয়েন্দা শাখা আর এমপি রাজশাহীর নিকট।আমরা শুধু আসামি জমা নিয়েছি বিজ্ঞ আদালতের নিকট জমা দিয়েছি এর বাইরে কিছুই জানিনা।
আমাদের অনুসন্ধানী টিম এবার ছুটে চলছে গোয়েন্দা শাখা আর এমপি রাজশাহীর নিকট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সুমন কুমার সাহার সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর আমরা আর এমপি গোয়েন্দা শাখা রাজশাহীতে ওসি সাহেবের কার্যালয়ে আমরা জানতে চাই মামলাটির বিষয়ে, আনঅফিসিয়াল অনেক কথাই বললেন ওসি সাহেব, সেখানে প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল,বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আপনারা অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করলেন অপহরণকারীদের কেন ছেড়ে দিলেন? আর অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকার পরেও কিভাবে তারা সংবাদ সম্মেলন এবং বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না ? কেন এজাহার এত ত্রুটিযুক্ত? জবাবে ডিবি ওসি সাহেব,বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সেখানে আমরা অনেক কিছুই করতে পারিনা তবে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে আশা করি দু-একদিনের মধ্যেই গ্রেফতার করতে পারে তবে প্রকৃতি প্রশ্ন ছিল যা তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
আমাদের অনুসন্ধানী টিম এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে প্রক্টর সাহেবের অফিসে, আমরা মামলার বিষয়ে যখন জানতে চাইলাম প্রক্টর সাহেব অনেক কথাই বললেন,এজহার ত্রুটি অপহরণকারীদের ছেড়ে দেওয়া এবং অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নেয়নি?তিনি বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে অপহৃত ছাত্রের মা কান্না জড়িত কন্ঠে অনুসন্ধানী প্রতিবেদক নিকট বলেন, আমার ছেলেকে যারা অপহরণ করল তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে আমার ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়ে দিল আমার ছেলের জীবন যারা নষ্ট করল তাদের কিসের এত শক্তি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাদেরকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে এটাই প্রমাণ নয় তারা অপরাধী ছিল। আমি খুশি হয়েছি কিন্তু আমার ছেলে জেএসসি তে এ প্লাস এসএসসিতে এ প্লাস এইচএসসিতে ৯.৯২ পেয়েছে এমন একটি ছেলের জীবন নষ্ট যাতে না হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি।