সাংবাদিক রামকৃষ্ণ তালুকদার ও বর্তমান মেম্বার কৃষ্ণ তালুকদারের পিতার শ্রাদ্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে২১/৮/২০২৩ইং আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের বলদী গ্রামের নিজ বাড়িতে “জন্মিলে মরিতে হইবে অমর কে কোথা রবে” উপরের উদ্ধৃতিটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের। সনাতন ধর্মের মতে মৃতের পুত্রকণ্যাদের কিছু ধর্মীয় রীতি পালন করতে হয় যাতে মৃতের আত্মা দিব্যধাম তথা বন্ধন মুক্ত হয়ে স্বর্গে প্রবেশ করতে পারে। যদিও মুক্তি কেউ কাউ কে এনে দিতে পারে না কারণ প্রত্যেকেই নিজ কর্ম দিয়ে মুক্তি অর্জন করতে হয়। বুদ্ধ যেমন বলেছেন, ” অত্তদীপ বিহরত” অর্থাৎ প্রত্যেককে তার নিজের দীপ হয়ে জ্বলতে হবে।
তদুপরি ও ধর্মীয় ও লোকাচারের অংশ হিসেবে এ ধর্মীয় ঐতিহ্য জীবিত লোকদের আত্মানুসন্ধান এর একটি পথ। বৌদ্ধ দর্শনে যাকে স্মৃতি বলা হয়ে থাকে অর্থাৎ অপরের অবস্থা দেখে নিজের স্বরূপ উপলব্ধি করা।
মৃত্যু যদিও শোকগাঁথা রচনা করে তদুপরিও রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুকে আনন্দ সহকারে বরণ করেছেন, আমি ও মনে করি রবীন্দ্রনাথের এ উপলব্ধি যথার্থ কারণ রবীন্দ্রনাথ বলেছেন যে, “মৃত্যুকে জানালার পাশে না রাখলে জীবনকে উপভোগ করা যায় না”
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, “মরণ, আমার মরণ, তুমি কও আমারে কথা। তোমার লাগি সারাজীবন প্রতিদিন যে আছি জাগি তোমার তরে বয়ে বেড়াই দু:খ সুখের কথা।” ( কবিতা : “ওগো আমার এ জীবনের শেষ পরিপূর্ণতা- গীতান্জলী কাব্য থেকে নেওয়া )।উক্ত অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ করেন শ্রী হিমাংশু চক্রবর্তী, জলসুখা। ভাগবত পাঠ করেন বাবু ডাঃ এস,কে দাশ চৌধুরী, নবীগঞ্জ। উপস্থিত ছিলেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, শিক্ষক যাদব চৌধুরী, শংকর রায়,ননীগোপাল দাস,আশিষ কুমার দাস, বানিয়াচং উপজেলার বিশিষ্ট প্রঞ্চায়েত প্রধান নিশিকান্ত চৌধুরী, বদলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও মেম্বার অরুণ কুমার তালুকদার, মহিলা মেম্বার দীপালি রানী দাস, মহিলা মেম্বার বিউটি রানী দাস, সাংবাদিক জামিনুল ইসলাম, সাংবাদিক শুভ রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কালিপদ দাস,মনা দাস,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অমর চাঁদ দাশ, সাধারণ সম্পাদক মহানন্দ দাশ,শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি প্রজেশ চক্রবর্তী, মেম্বার গুনসিন্দু চক্রবর্তী, পাহাড় পুর বাজার পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি গৌউর দাস,ডাঃ জয়ন্ত সরকার, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জয়কান্ত দাস সহ এলাকার প্রায় সাতশত ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।