ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কলেজ শিক্ষক জসিমের সিন্ডিকেটের অবৈধ ঔষধ ও চোরাই মোবাইলের রমরমা বাণিজ্য !! বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বরিস জনসনের টয়লেটে গিয়ে যে কাণ্ড ঘটালেন নেতানিয়াহু পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা হাটে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ধামরাইয়ে ১৯৬ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অসামাজিক কার্যকলাপে প্রতিবাদ করায় ভারাটিয়া কতৃক বাড়িওয়ালা সন্ত্রাসী হামলার শিকার।

রাজধানীতে জাল নোট প্রস্ততকারী চক্রের মূলহোতা আমিনুলসহ আটক-৪

রাজধানীতে জাল নোট প্রস্ততকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা আমিনুলসহ ৪ সদস্যকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মূল্যমানের জাল নোটসহ আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

অভিযানকালে তাদের নিকট থেকে জাল নোট তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়। এচক্রটি বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২ কোটি মূল্যমানের জাল নোটের ব্যবসা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে।

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা হলেন, এই সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম মূলহোতা মোহাম্মদ আমিনুল হক ওরফে দুলাল (৪৩), আব্দুর রাজ্জাক ওরফে দিদার (৩০), মোঃ সুজন আলী (৪০) ও মোহাম্মদ সাকিবুল হাসান (২১)।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারস্হ র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক (মূখপাত্র) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদরদপ্তর ও র্যাব-১০ এর বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এসময় উপস্হিত ছিলেন।

খন্দকার আল মঈন জানান, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১০ এর সমন্বয়ে গঠিত একটি দল রাজধানীর ডেমরা, সবুজবাগ ও খিলগাঁও এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে জাল নোট তৈরী চক্রের মূলহোতা মোহাম্মাদ আমিনুল হক ওরফে দুলাল, আব্দুর রাজ্জাক ওরফে দিদার, মোঃ সুজন আলী ও মোহাম্মদ সাকিবুল হাসানসহ চার জনকে আটক করা হয়।

তিনি আরো জানান, এসময় গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মূল্যমানের জাল নোট (যার মধ্যে ১০০০, ৫০০ ও ১০০ টাকা সমমানের জাল নোট রয়েছে), ১টি ল্যাপটপ, ১টি প্রিন্টার, ১১টি টোনার ও কার্টিজ, ১টি পেনড্রাইভসহ জালনোট তৈরির বিপুল পরিমান সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, একটি প্রতারক চক্র প্রায় এক বছর যাবৎ জাল নোট তৈরি করে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল। এই চক্রটি জাল নোটের ব্যবসা করে সাধারণ লমানুষের সাথে প্রতারনা করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা পরষ্পর যোগসাজশে প্রায় ১ বছর যাবৎ জাল নোট তৈরি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে জাল নোট বিক্রি করে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এচক্রটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজ ও গ্রুপ থেকে জাল নোট তৈরি ও ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হয়। এসংঘবদ্ধ চক্রের মূল হোতা আমিনুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি গ্রুপের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত অপর সদস্যদের সাথে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আমিনুল এর নেতৃত্বে কম সময়ে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় তারা জাল নোটের ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে এবং সেখানে তারা জাল নোট তৈরি/ব্যবসার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করে। এই মেসেঞ্জার গ্রুপের এ্যাডমিন হিসেবে কাজ করত আমিনুলের সহযোগী দিদার।

র‌্যাব সূত্র আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আমিনুল জাল নোট তৈরির সার্বিক বিষয়ে দক্ষ হওয়ায় সে নিজেই এই চক্রটি পরিচালনা করত। এছাড়া সে নিজে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, পেনড্রাইভ, কাগজ, টিস্যু পেপার ও প্রিন্টারের কালিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয় করতো। গ্রেফতারকৃত আমিনুল জাল নোট প্রিন্টিং করে গ্রেফতারকৃত দিদারকে প্রদান করতো এবং গ্রেফতারকৃত দিদার চক্রের অপর সদস্য গ্রেফতারকৃত সুজনকে সাথে নিয়ে জাল নোট কাটিং ও বান্ডিল করত বলে জানা যায়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, যখন জাল নোটের ব্যবসা রমরমা থাকে তখন চক্রটি দৈনিক ২-৩ লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের জাল নোট তৈরি করত। মূলত তারা একটি অভিনব কায়দায় জাল নোটগুলো বিক্রয় করত। তারা তাদের ফেইসবুক গ্রুপ থেকে কমেন্ট দেখে তাদের সাথে মেসেঞ্জারে চ্যাটিং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট তৈরি করে অগ্রীম টাকা নিয়ে নিত এবং পরবর্তীতে তাদের সুবিধাজনক স্থানে জাল নোটগুলো সরবরাহ করতো।

র‌্যাব জানিয়েছে, এচক্রের সদস্যদের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তৈরিকৃত জাল নোট সরবরাহ করত। তারা প্রতি ১ লক্ষ টাকা মূল্যের জাল নোট ২০-২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত। চক্রটি মাছ বাজার, লঞ্চ ঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন মার্কেটে নানান কৌশল অবলম্বন করে জাল নোট সরবরাহ করে আসছিল। এছাড়াও তারা অধিক জন-সমাগম অনুষ্ঠান বিশেষ করে বিভিন্ন মেলা, উৎসব, পূজা ও কোরবানীর পশুর হাট উপলক্ষে বিপুল পরিমান জাল নোট ছাপিয়ে ছিল বলে তথ্য প্রদান করে।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে জালনোট প্রিন্টিং এর সময় কাগজের অব্যবহৃত ও নষ্ট অংশগুলো পুড়িয় ফেলত। এখন পর্যন্ত এচক্রটি বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২ কোটি মূল্যমানের জাল নোটের ব্যবসা করেছে বলে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত আমিনুল রাজধানীর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনার হিসেবে এর কাজ করতো। এ পেশার আড়ালে সে অনলাইনে জাল নোট তৈরির সার্বিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে। আমিনুল প্রায় এক বছর যাবৎ চক্রটি পরিচালনা করে আসছিল।

তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

রাজধানীতে জাল নোট প্রস্ততকারী চক্রের মূলহোতা আমিনুলসহ আটক-৪

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

রাজধানীতে জাল নোট প্রস্ততকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা আমিনুলসহ ৪ সদস্যকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মূল্যমানের জাল নোটসহ আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

অভিযানকালে তাদের নিকট থেকে জাল নোট তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়। এচক্রটি বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২ কোটি মূল্যমানের জাল নোটের ব্যবসা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে।

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা হলেন, এই সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম মূলহোতা মোহাম্মদ আমিনুল হক ওরফে দুলাল (৪৩), আব্দুর রাজ্জাক ওরফে দিদার (৩০), মোঃ সুজন আলী (৪০) ও মোহাম্মদ সাকিবুল হাসান (২১)।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারস্হ র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক (মূখপাত্র) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদরদপ্তর ও র্যাব-১০ এর বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এসময় উপস্হিত ছিলেন।

খন্দকার আল মঈন জানান, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১০ এর সমন্বয়ে গঠিত একটি দল রাজধানীর ডেমরা, সবুজবাগ ও খিলগাঁও এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে জাল নোট তৈরী চক্রের মূলহোতা মোহাম্মাদ আমিনুল হক ওরফে দুলাল, আব্দুর রাজ্জাক ওরফে দিদার, মোঃ সুজন আলী ও মোহাম্মদ সাকিবুল হাসানসহ চার জনকে আটক করা হয়।

তিনি আরো জানান, এসময় গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মূল্যমানের জাল নোট (যার মধ্যে ১০০০, ৫০০ ও ১০০ টাকা সমমানের জাল নোট রয়েছে), ১টি ল্যাপটপ, ১টি প্রিন্টার, ১১টি টোনার ও কার্টিজ, ১টি পেনড্রাইভসহ জালনোট তৈরির বিপুল পরিমান সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, একটি প্রতারক চক্র প্রায় এক বছর যাবৎ জাল নোট তৈরি করে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল। এই চক্রটি জাল নোটের ব্যবসা করে সাধারণ লমানুষের সাথে প্রতারনা করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা পরষ্পর যোগসাজশে প্রায় ১ বছর যাবৎ জাল নোট তৈরি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে জাল নোট বিক্রি করে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এচক্রটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজ ও গ্রুপ থেকে জাল নোট তৈরি ও ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হয়। এসংঘবদ্ধ চক্রের মূল হোতা আমিনুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি গ্রুপের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত অপর সদস্যদের সাথে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আমিনুল এর নেতৃত্বে কম সময়ে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় তারা জাল নোটের ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে এবং সেখানে তারা জাল নোট তৈরি/ব্যবসার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করে। এই মেসেঞ্জার গ্রুপের এ্যাডমিন হিসেবে কাজ করত আমিনুলের সহযোগী দিদার।

র‌্যাব সূত্র আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আমিনুল জাল নোট তৈরির সার্বিক বিষয়ে দক্ষ হওয়ায় সে নিজেই এই চক্রটি পরিচালনা করত। এছাড়া সে নিজে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, পেনড্রাইভ, কাগজ, টিস্যু পেপার ও প্রিন্টারের কালিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয় করতো। গ্রেফতারকৃত আমিনুল জাল নোট প্রিন্টিং করে গ্রেফতারকৃত দিদারকে প্রদান করতো এবং গ্রেফতারকৃত দিদার চক্রের অপর সদস্য গ্রেফতারকৃত সুজনকে সাথে নিয়ে জাল নোট কাটিং ও বান্ডিল করত বলে জানা যায়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, যখন জাল নোটের ব্যবসা রমরমা থাকে তখন চক্রটি দৈনিক ২-৩ লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের জাল নোট তৈরি করত। মূলত তারা একটি অভিনব কায়দায় জাল নোটগুলো বিক্রয় করত। তারা তাদের ফেইসবুক গ্রুপ থেকে কমেন্ট দেখে তাদের সাথে মেসেঞ্জারে চ্যাটিং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট তৈরি করে অগ্রীম টাকা নিয়ে নিত এবং পরবর্তীতে তাদের সুবিধাজনক স্থানে জাল নোটগুলো সরবরাহ করতো।

র‌্যাব জানিয়েছে, এচক্রের সদস্যদের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তৈরিকৃত জাল নোট সরবরাহ করত। তারা প্রতি ১ লক্ষ টাকা মূল্যের জাল নোট ২০-২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত। চক্রটি মাছ বাজার, লঞ্চ ঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন মার্কেটে নানান কৌশল অবলম্বন করে জাল নোট সরবরাহ করে আসছিল। এছাড়াও তারা অধিক জন-সমাগম অনুষ্ঠান বিশেষ করে বিভিন্ন মেলা, উৎসব, পূজা ও কোরবানীর পশুর হাট উপলক্ষে বিপুল পরিমান জাল নোট ছাপিয়ে ছিল বলে তথ্য প্রদান করে।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে জালনোট প্রিন্টিং এর সময় কাগজের অব্যবহৃত ও নষ্ট অংশগুলো পুড়িয় ফেলত। এখন পর্যন্ত এচক্রটি বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২ কোটি মূল্যমানের জাল নোটের ব্যবসা করেছে বলে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত আমিনুল রাজধানীর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনার হিসেবে এর কাজ করতো। এ পেশার আড়ালে সে অনলাইনে জাল নোট তৈরির সার্বিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে। আমিনুল প্রায় এক বছর যাবৎ চক্রটি পরিচালনা করে আসছিল।

তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।