ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কলেজ শিক্ষক জসিমের সিন্ডিকেটের অবৈধ ঔষধ ও চোরাই মোবাইলের রমরমা বাণিজ্য !! বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বরিস জনসনের টয়লেটে গিয়ে যে কাণ্ড ঘটালেন নেতানিয়াহু পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা হাটে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ধামরাইয়ে ১৯৬ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অসামাজিক কার্যকলাপে প্রতিবাদ করায় ভারাটিয়া কতৃক বাড়িওয়ালা সন্ত্রাসী হামলার শিকার।

মির্জাগঞ্জে এসআই আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার এস,আই মোঃ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির নিকট ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘুষ দাবি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছে।

জানাগেছে, উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা শারমিন আক্তার (৪০) এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ সুত্রে, তার স্বামী একই উপজেলার মানসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শামশুল হক জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে গত ৪ এপ্রিল পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে এসআই আবুল আাসামী গ্রেফতারের জন্য তাদের নিকট ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এছাড়াও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়।

এদিকে মির্জাগঞ্জ থানা সূত্রে জানাযায়, থানার কোন রেজিস্ট্রারে শামসুলহক জোমাদ্দার নামের কোন ব্যক্তির নামে ওরেন্ট অন্তর্ভুক্ত নেই। তার স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলার আলোকে গত ৯”এপ্রিল আসামির প্রতি সমন জারি করেন বিজ্ঞ আদালত।পরবর্তীতে গত ১৪’মে শামসুল হক বিজ্ঞ আদালতে হাজির হলে তাকে জামিন প্রদান করেন।

এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার এসআই আবুল হোসেনের কাজে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ২ জুলাই শামসুল হক ও শারমিনের মধ্যে তালাক হয়। এরপর ১৯ জুলাই শামসুল হক বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আাদলতে শারমিনরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করলে অফিসার ইনচার্জ তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তিনি আরও বলেন, যৌতুক মামলার সাথে আমাকে দায়িত্ব দেয়া মামলার কোন সম্পর্ক নেই। এছাড়াও শামসুল হকের বিরুদ্ধে যেহেতু কোন ওরেন্টই নেই সেখানে কীভাবে আসামি গ্রেফতারের জন্যে টাকা দাবি করবো।

এনিয়ে অভিযোগকারী শারমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সে ফোন কল রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, শামসুল হক জোমাদ্দারের নামে মির্জাগঞ্জ থানার রেজিস্ট্রারে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানো এন্টি নাই। শুধু আদালত থেকে সমন জারি হয়েছে। এটা আদালতের বিষয়। এখানে থানা পুলিশর কোন সম্পৃক্ততা নেই। আর যেখানে ওরেন্ট হয়নি সেখানে পুলিশ আসামি গ্রেফতারের জন্য ঘুষ দাবি করবে কীভাবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মির্জাগঞ্জে এসআই আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:০৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার এস,আই মোঃ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির নিকট ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘুষ দাবি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছে।

জানাগেছে, উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা শারমিন আক্তার (৪০) এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ সুত্রে, তার স্বামী একই উপজেলার মানসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শামশুল হক জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে গত ৪ এপ্রিল পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে এসআই আবুল আাসামী গ্রেফতারের জন্য তাদের নিকট ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এছাড়াও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়।

এদিকে মির্জাগঞ্জ থানা সূত্রে জানাযায়, থানার কোন রেজিস্ট্রারে শামসুলহক জোমাদ্দার নামের কোন ব্যক্তির নামে ওরেন্ট অন্তর্ভুক্ত নেই। তার স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলার আলোকে গত ৯”এপ্রিল আসামির প্রতি সমন জারি করেন বিজ্ঞ আদালত।পরবর্তীতে গত ১৪’মে শামসুল হক বিজ্ঞ আদালতে হাজির হলে তাকে জামিন প্রদান করেন।

এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার এসআই আবুল হোসেনের কাজে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ২ জুলাই শামসুল হক ও শারমিনের মধ্যে তালাক হয়। এরপর ১৯ জুলাই শামসুল হক বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আাদলতে শারমিনরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করলে অফিসার ইনচার্জ তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তিনি আরও বলেন, যৌতুক মামলার সাথে আমাকে দায়িত্ব দেয়া মামলার কোন সম্পর্ক নেই। এছাড়াও শামসুল হকের বিরুদ্ধে যেহেতু কোন ওরেন্টই নেই সেখানে কীভাবে আসামি গ্রেফতারের জন্যে টাকা দাবি করবো।

এনিয়ে অভিযোগকারী শারমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সে ফোন কল রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, শামসুল হক জোমাদ্দারের নামে মির্জাগঞ্জ থানার রেজিস্ট্রারে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানো এন্টি নাই। শুধু আদালত থেকে সমন জারি হয়েছে। এটা আদালতের বিষয়। এখানে থানা পুলিশর কোন সম্পৃক্ততা নেই। আর যেখানে ওরেন্ট হয়নি সেখানে পুলিশ আসামি গ্রেফতারের জন্য ঘুষ দাবি করবে কীভাবে।