ঢাকা ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

‘প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, কাউকে যেন চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না হয়’

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, দেশের নাগরিদের যাতে বিদেশে চিকিৎসা নিতে না হয়। ক্যান্সার, হার্ট, লিভার, হেয়ার ইমপ্ল্যান্ট, স্টেম সেল থেরাপি, বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে চিকিৎসা দেশেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশলাইজড হাসপাতালের সাত তলার কেবিনে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার পর তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, দেশের কোনো মানুষকে যাতে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে না হয়। আমাদের জানতে হবে কোন কোন কারণে রোগীরা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়। রোগীরা ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বাইরে যায়, আমরা সেটি এখানে চালু করতে চাই। রোগীরা হার্টের চিকিৎসার জন্য বাইরে যায়, লিভারের চিকিৎসার জন্য যায়। এসব চিকিৎসাও এখানে দেওয়া হচ্ছে। আমরা আগামীতে হেয়ার ইমপ্ল্যান্ট, স্টেম সেল থেরাপি, বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে কাজ করব। শিশু হৃদরোগের জন্য রোগীরা বাইরে যায়। এর চিকিৎসা এখানে দেওয়া হবে।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আরও বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের বৈশিষ্ট্য হল, একজন চিকিৎসক একজন রোগীকে কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় দেবেন এবং ২০ জনের বেশি রোগী দেখবেন না। এমন করে সেবা দেওয়া হলে, রোগীর সঙ্গে চিকিৎসকরা কথা বলার সুযোগ বেশি পাবেন। চিকিৎসকরা রোগীদের বেশি কাউন্সিলিং করার সুযোগ পাবেন। আমাদের এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে রোগীরা যথাযথ সেবা পায় বলেই এত ভিড়। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের রোগীরা সেবায় সন্তুষ্ট বলেই রোগীরা সকাল থেকে চিকিৎসকদের জন্য অপেক্ষা করেন।

রোগীদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত সে সম্পর্কে তিনি বলেন, মিষ্টি ভাষায় কথা বলা উচিৎ। রোগীদেরকে ‘মা’, ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করা উচিৎ। রোগীরা নানা কথা বলবে। কিন্তু তাতে বিরক্ত হওয়া যাবে না।   রোগীরা অনেক কথাই বলে। চিকিৎসকরা সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে রোগীর সেবা দিয়ে থাকেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুর রহমান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুল্লাহ্ আল হারুন, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ক্যাথল্যাব ইনচার্জ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ কুমার কুন্ডু,  উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী প্রমুখ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

‘প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, কাউকে যেন চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না হয়’

আপডেট সময় ০৮:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, দেশের নাগরিদের যাতে বিদেশে চিকিৎসা নিতে না হয়। ক্যান্সার, হার্ট, লিভার, হেয়ার ইমপ্ল্যান্ট, স্টেম সেল থেরাপি, বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে চিকিৎসা দেশেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশলাইজড হাসপাতালের সাত তলার কেবিনে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার পর তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, দেশের কোনো মানুষকে যাতে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে না হয়। আমাদের জানতে হবে কোন কোন কারণে রোগীরা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়। রোগীরা ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বাইরে যায়, আমরা সেটি এখানে চালু করতে চাই। রোগীরা হার্টের চিকিৎসার জন্য বাইরে যায়, লিভারের চিকিৎসার জন্য যায়। এসব চিকিৎসাও এখানে দেওয়া হচ্ছে। আমরা আগামীতে হেয়ার ইমপ্ল্যান্ট, স্টেম সেল থেরাপি, বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে কাজ করব। শিশু হৃদরোগের জন্য রোগীরা বাইরে যায়। এর চিকিৎসা এখানে দেওয়া হবে।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আরও বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের বৈশিষ্ট্য হল, একজন চিকিৎসক একজন রোগীকে কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় দেবেন এবং ২০ জনের বেশি রোগী দেখবেন না। এমন করে সেবা দেওয়া হলে, রোগীর সঙ্গে চিকিৎসকরা কথা বলার সুযোগ বেশি পাবেন। চিকিৎসকরা রোগীদের বেশি কাউন্সিলিং করার সুযোগ পাবেন। আমাদের এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে রোগীরা যথাযথ সেবা পায় বলেই এত ভিড়। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের রোগীরা সেবায় সন্তুষ্ট বলেই রোগীরা সকাল থেকে চিকিৎসকদের জন্য অপেক্ষা করেন।

রোগীদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত সে সম্পর্কে তিনি বলেন, মিষ্টি ভাষায় কথা বলা উচিৎ। রোগীদেরকে ‘মা’, ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করা উচিৎ। রোগীরা নানা কথা বলবে। কিন্তু তাতে বিরক্ত হওয়া যাবে না।   রোগীরা অনেক কথাই বলে। চিকিৎসকরা সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে রোগীর সেবা দিয়ে থাকেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুর রহমান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুল্লাহ্ আল হারুন, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ক্যাথল্যাব ইনচার্জ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ কুমার কুন্ডু,  উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী প্রমুখ।