২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার লক্ষ্য ছিল আমাকে হত্যা করা। এমনটাই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানবঢাল রচনা করে আমাকে রক্ষা করেছিলেন।
রবিবার (২০ আগস্ট) নবনির্মিত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন ও তথ্য কমিশন ভবন উদ্বোধন এবং বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বক্তব্য দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সব শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামীকাল ২১ আগস্ট। এই ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা একটি র্যালি করছিলাম। কারণ তার কিছুদিন আগে সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা-সন্ত্রাস চলছিল। কিন্তু সেই র্যালিতে প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা করা হয়। সেই গ্রেনেডের আঘাতে আমাদের নারীনেত্রী আইভি রহমানসহ ২২জন নেতাকর্মী এবং দুজন অজ্ঞাত নিহত হয়। লক্ষ্যটা ছিল আমি এবং আমরা যারা সেই ট্রাকের মঞ্চে ছিলাম তাদের হত্যা করা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানবঢাল রচনা করেই আমাকে রক্ষা করেছিলেন। এটা বোধহয় আমাদের ভাগ্য যে ওই ট্রাকে কোনো গ্রেনেড পড়েনি, ট্রাকের সঙ্গে লেগে সেটা মাটিতে পড়ে যায়। আমাকে যে মানবঢাল হয়ে রক্ষা করেছিলেন মোহাম্মদ হানিফ তার সমস্ত মাথায় স্প্লিন্টার পড়ে। ওইদিন আমাদের অনেকে আহত হয় এবং মারা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “জাতির পিতা একটি আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। বলতে গেলে, ৮০ শতাংশ মানুষ একেবারে চরম দারিদ্রের আঘাতে জর্জরিত ছিল। যাদের একবেলা খাবার জুটতো না। সেই বাঙালির ভাগ্যের পরিবর্তন করা ও তাদের আর্থসামাজিক উন্নতি করাই ছিল জাতির পিতার লক্ষ্য। স্বাধীনতার পর তিনি অনেক অল্প সময় ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু ব্যাপক কাজ করেছেন। আজকে আমরা যখন কোনো কাজ হাতে নিই দেখি প্রতিটি কাজের ভিত্তিটা তিনি তৈরি করে দিয়ে গেছেন।”