পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া শশুর বাড়িতে জামাই কে আটকিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা টি ঘটেছে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে।
ঘটনা সুত্রে জানাযায় আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের মজিবর রহমান এর ছেলে হাসান (২৭) এক বছর পূর্বে দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামের আইয়ুব আলী ফরাজির মেয়ে সারমিন কে বিবাহ করে। বিবাহের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। সে কলহ নিষ্পত্তির লক্ষে ১৮ আগষ্ট শালিস মিমাংসার মধ্য দিয়ে হাসান শশুর বাড়ি যায় এবং ১৯ আগষ্ট তার স্ত্রী কে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু হাসান শশুর বাড়ি গেলে ১৯ আগষ্ট শনিবার সকাল ১০ টায় তার স্ত্রীর সাথে মন মালিন্য সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।এতে হাসান গুরুত্বর আহত হলে স্হানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন।
হাসানের স্বজনদের দাবি হাসানের স্ত্রী সারমিন বেগম হাসানের বোন জামাই সোহাগ মৃধার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে, সে সুত্র ধরে ননদের স্বামীর সাথে যাওয়ার জন্য শালিস মিমাংসার পরে ও হাসান কে শশুর বাড়িতে নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে হাসানের স্ত্রী সারমিন বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি পরকিয়ার কথা অস্বীকার বলেন আমাকে হাসানের বাড়িতে নিবে না বলে ঝগড়া ঝাটি করে মারধর করে এ সময় আমার বড় বোন ছাড়াতে গেলে তাকে ও মারধর করে। তখন আমার বোন ও হাসানের গায় হাত দেয়।