১৭ আগস্ট। বহুল আলোচিত দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছরে গড়ালো আজ। সাক্ষীর অভাবে এখনও ঝুলছে ৪১টি মামলার কার্যক্রম।
জঙ্গিরা সুসংগঠিত হয়ে কতটা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, তার জলন্ত চিত্র দেখা গেছে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট। মুন্সিগঞ্জ বাদে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একযোগে চালানো সিরিজ বোমা হামলায় কেঁপে ওঠে দেশের ৬৩টি জেলা। ওই হামলায় দুই জন নিহত আর বহু মানুষ আহত হন।
এ ঘটনার পর সারাদেশে মোট ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে এখনও চলমান ৪১টি। বাকী ১০২টি মামলায় ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে ১৫ জনকে, যার মধ্যে ৬ জনের অন্য মামলায় ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। তারা সবাই জেএমবি সদস্য। এছাড়া আরও কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। সাক্ষী না থাকায় ১৭ টি মামলায় চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত সংস্থা।
ঢাকা মহানগর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু জানান, “সবকিছু এডজাস্ট না হলে মামলা শেষ করা যাচ্ছে না, এটা একটা বড় সমস্যা। যদি সাক্ষী না পাওয়া যায়, তবে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এই মামলাগুলো সেন্সিটিভ। তাই সাক্ষী না থাকলে মামলাগুলো শেষ করা যাবে না।”
সিরিজ বোমা হামলার পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানের বর্বর হামলা ফের ভাবিয়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। দেশজুড়ে টানা অভিযানে উগ্রবাদিদের মূল শক্তি ধ্বংসের দাবি করা হয় তাদের পক্ষ থেকে। এখন জঙ্গিদের নতুন নতুন নামে মাথাচাড়া দেয়ার কথাও বলছে তারা। এ প্রসঙ্গে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “যারা আগে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ ছিল, দেশকে অস্থিতিশীল করতে বা সদস্য সংগ্রহের কাজে এখন তাদের অ্যাক্টিভ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।” এ বিষয়ে র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে শক্তি দিয়ে নয়, অভিযানের পাশপাশি উগ্রবাদীদের আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করা বেশি জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।