ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর আজ

১৭ আগস্ট।  বহুল আলোচিত দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছরে গড়ালো আজ। সাক্ষীর অভাবে এখনও ঝুলছে ৪১টি মামলার কার্যক্রম।

জঙ্গিরা সুসংগঠিত হয়ে কতটা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, তার জলন্ত চিত্র দেখা গেছে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট। মুন্সিগঞ্জ বাদে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একযোগে চালানো সিরিজ বোমা হামলায় কেঁপে ওঠে দেশের ৬৩টি জেলা। ওই হামলায় দুই জন নিহত আর বহু মানুষ আহত হন।

এ ঘটনার পর সারাদেশে মোট ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে এখনও চলমান ৪১টি। বাকী ১০২টি মামলায় ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে ১৫ জনকে, যার মধ্যে ৬ জনের অন্য মামলায় ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। তারা সবাই জেএমবি সদস্য। এছাড়া আরও কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। সাক্ষী না থাকায় ১৭ টি মামলায় চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত সংস্থা।

ঢাকা মহানগর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু জানান, “সবকিছু এডজাস্ট না হলে মামলা শেষ করা যাচ্ছে না, এটা একটা বড় সমস্যা। যদি সাক্ষী না পাওয়া যায়, তবে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এই মামলাগুলো সেন্সিটিভ। তাই সাক্ষী না থাকলে মামলাগুলো শেষ করা যাবে না।”

সিরিজ বোমা হামলার পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানের বর্বর হামলা ফের ভাবিয়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। দেশজুড়ে টানা অভিযানে উগ্রবাদিদের মূল শক্তি ধ্বংসের দাবি করা হয় তাদের পক্ষ থেকে। এখন জঙ্গিদের নতুন নতুন নামে মাথাচাড়া দেয়ার কথাও বলছে তারা। এ প্রসঙ্গে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “যারা আগে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ ছিল, দেশকে অস্থিতিশীল করতে বা সদস্য সংগ্রহের কাজে এখন তাদের অ্যাক্টিভ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।” এ বিষয়ে র‍্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

তবে শক্তি দিয়ে নয়, অভিযানের পাশপাশি উগ্রবাদীদের আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করা বেশি জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর আজ

আপডেট সময় ০১:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

১৭ আগস্ট।  বহুল আলোচিত দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছরে গড়ালো আজ। সাক্ষীর অভাবে এখনও ঝুলছে ৪১টি মামলার কার্যক্রম।

জঙ্গিরা সুসংগঠিত হয়ে কতটা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, তার জলন্ত চিত্র দেখা গেছে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট। মুন্সিগঞ্জ বাদে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একযোগে চালানো সিরিজ বোমা হামলায় কেঁপে ওঠে দেশের ৬৩টি জেলা। ওই হামলায় দুই জন নিহত আর বহু মানুষ আহত হন।

এ ঘটনার পর সারাদেশে মোট ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে এখনও চলমান ৪১টি। বাকী ১০২টি মামলায় ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে ১৫ জনকে, যার মধ্যে ৬ জনের অন্য মামলায় ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। তারা সবাই জেএমবি সদস্য। এছাড়া আরও কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। সাক্ষী না থাকায় ১৭ টি মামলায় চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত সংস্থা।

ঢাকা মহানগর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু জানান, “সবকিছু এডজাস্ট না হলে মামলা শেষ করা যাচ্ছে না, এটা একটা বড় সমস্যা। যদি সাক্ষী না পাওয়া যায়, তবে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এই মামলাগুলো সেন্সিটিভ। তাই সাক্ষী না থাকলে মামলাগুলো শেষ করা যাবে না।”

সিরিজ বোমা হামলার পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানের বর্বর হামলা ফের ভাবিয়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। দেশজুড়ে টানা অভিযানে উগ্রবাদিদের মূল শক্তি ধ্বংসের দাবি করা হয় তাদের পক্ষ থেকে। এখন জঙ্গিদের নতুন নতুন নামে মাথাচাড়া দেয়ার কথাও বলছে তারা। এ প্রসঙ্গে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “যারা আগে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ ছিল, দেশকে অস্থিতিশীল করতে বা সদস্য সংগ্রহের কাজে এখন তাদের অ্যাক্টিভ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।” এ বিষয়ে র‍্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

তবে শক্তি দিয়ে নয়, অভিযানের পাশপাশি উগ্রবাদীদের আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করা বেশি জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।