ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সংঘর্ষ অব্যাহত পরিচালকদের সঙ্গে প্রেম করে কাজ পান স্বস্তিকা ‘পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে ১ নভেম্বর থেকে অভিযান’ নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি র‍্যাব-১৩ দিনাজপুর হতে চাঞ্চল্যকর তহিদুর রহমান বাঙ্গু হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার আশুলিয়ায় লতিফ মন্ডল ও আক্কাস আলী মন্ডল মূর্তি মান আতংকের নাম ফাইল আটকে কৌশলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে রাজস্ব কর্মকর্তাদের মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিকাশ এজেন্টের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে জোর করে জমির দলিল নিয়ে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

সিংড়ায় স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি সহ অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

নাটোরের সিংড়ায় ছাতারদিঘী ইউনিয়নের পাকিশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন লায়নের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন লায়ন একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। তিনি এসএসসি ও এইচএসসি তে তৃতীয় বিভাগ পান। ২০০৮ সালের পরিপত্র অনুযায়ী একটিতে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য। তিনি তথ্য গোপন করে পাকিশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেন। প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে। তার স্ত্রী শিল্পী খাতুন, চাচাতো বোন আর্শেদা বানু কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পিআরএল রয়েছেন। তার স্ত্রী কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

ঐ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবিব কে বাদ দিয়ে জুনিয়র শিক্ষক তারই স্ত্রী শিল্পী খাতুন কে দায়িত্ব দেওয়ায় আবারো সমালোচনার মধ্যে পড়েন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন আলমগীর হোসেন লায়ন ওই বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ, হারমোনিয়াম, প্রজেক্টের সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বাসায় নিয়ে ব্যবহার সহ স্কুলের সম্পদ আত্মসাত করেছেন। স্কুলের তিন বিঘা জমি চাষাবাদ করে নামমাত্র মূল্য প্রদান করেন বলে জানা যায়। ২০০৭ সালে ওএমএস এর চাল বিক্রি সহ চুরির অভিযোগে ২১ দিন কারাবাস কাটান।

অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন লায়ন বলেন, ওই স্কুলের শিক্ষিকা আমার স্ত্রী তাই আসবাবপত্র গুলো আমার নিজ বাড়িতেই রেখে দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফ আলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা খাতুন এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

সিংড়ায় স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি সহ অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:০১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

নাটোরের সিংড়ায় ছাতারদিঘী ইউনিয়নের পাকিশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন লায়নের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন লায়ন একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। তিনি এসএসসি ও এইচএসসি তে তৃতীয় বিভাগ পান। ২০০৮ সালের পরিপত্র অনুযায়ী একটিতে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য। তিনি তথ্য গোপন করে পাকিশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেন। প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে। তার স্ত্রী শিল্পী খাতুন, চাচাতো বোন আর্শেদা বানু কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পিআরএল রয়েছেন। তার স্ত্রী কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

ঐ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবিব কে বাদ দিয়ে জুনিয়র শিক্ষক তারই স্ত্রী শিল্পী খাতুন কে দায়িত্ব দেওয়ায় আবারো সমালোচনার মধ্যে পড়েন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন আলমগীর হোসেন লায়ন ওই বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ, হারমোনিয়াম, প্রজেক্টের সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বাসায় নিয়ে ব্যবহার সহ স্কুলের সম্পদ আত্মসাত করেছেন। স্কুলের তিন বিঘা জমি চাষাবাদ করে নামমাত্র মূল্য প্রদান করেন বলে জানা যায়। ২০০৭ সালে ওএমএস এর চাল বিক্রি সহ চুরির অভিযোগে ২১ দিন কারাবাস কাটান।

অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন লায়ন বলেন, ওই স্কুলের শিক্ষিকা আমার স্ত্রী তাই আসবাবপত্র গুলো আমার নিজ বাড়িতেই রেখে দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফ আলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা খাতুন এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।