ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সংঘর্ষ অব্যাহত পরিচালকদের সঙ্গে প্রেম করে কাজ পান স্বস্তিকা ‘পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে ১ নভেম্বর থেকে অভিযান’ নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি র‍্যাব-১৩ দিনাজপুর হতে চাঞ্চল্যকর তহিদুর রহমান বাঙ্গু হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার আশুলিয়ায় লতিফ মন্ডল ও আক্কাস আলী মন্ডল মূর্তি মান আতংকের নাম ফাইল আটকে কৌশলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে রাজস্ব কর্মকর্তাদের মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিকাশ এজেন্টের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে জোর করে জমির দলিল নিয়ে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

মাধবপুরে জালিয়াতি মাধ্যমে হিন্দুপরিবারের জমি আত্মসাতের অভিযোগ

হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক হিন্দু পরিবারের স্থানীয় মাধবপুর পৌরসভার এক কর্মচারীর পিতৃজমি ওয়ারিশ জালিয়াতি ও ভুয়া নামজারির মাধ্যমে আত্বসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া মৌজার জেএল নং-৩৫, খতিয়ান নং-১২৬২, দাগ নং-১০৬৬৪ মোয়াজী ১.৭৩ একর জায়গার স্থানীয় আনন্দ মোহন রায় ও ভবতারণ রায়দের খরিদা সম্পত্তি যাদের নাতী ও বৈধ ওয়ারিশ শংকর রায় হলেও স্থানীয় মৃত আনন্দ মোহন রায়ের পুত্র অমরেন্দ্র রায় (৭৯) ওয়ারিশ জালিয়াতি মাধ্যমের নিজ নামে রেজিষ্ট করেছে ৯৬৮৭/২০২২ দলিলের মাধ্যমে এক মুসলিম লোকের কাছে বিক্রিও করে দিয়েছে।

জমির ক্রেতা এলাকার প্রভাবশালী মুসলিম হওয়ায় দাবীদার হিন্দু পরিবারের লোকজন ভয়ে জমিতে যেতে পারছেন না।থানায় অভিযোগ থাকার সত্ত্বেও কোন বিচারও পাচ্ছেন না মাধবপুর পৌরসভার মোদক পট্টিতে বসবাসরত ওই ভুক্তভোগীর পরিবার।

সরেজমিন অনুসন্ধানে,জমি ক্রয় বিক্রয়ে ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের গাফিলতি ও অনিয়মের প্রমাণও পাওয়া যায়।

মাধবপুর পৌরসভার হিসাব সহকারী পদে কর্মরত ও ভুক্তভোগী শংকর রায় জানান,ওই লোক আমাদের ওয়ারিশ সম্পদ জালিয়াতি মাধ্যমে মালিক হয়ে এক মুসলিম ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।

যাতে আমরা ভয়ে কিছু বলতে না পারি।আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি এরপরেও তারা রাজনৈতিক শক্তির ব্যবহার করে আমাদের হয়রানি করছে। অমরেন্দ্র আমার চাচা হলেও সে জালিয়াতির মাধ্যমে আমাদের ওয়ারিশান সম্পত্তি গ্রাস করছে।

এ ব্যাপারে অমরেন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি কোন জালিয়াতি করি নি।থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে গিয়েছি আমার অন্যায় থাকলে তিনি বলবেন।

এলাকার সচেতন মহলের দাবী,ওই জায়গায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোন আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না ঘটে এবং প্রকৃত হকদারের যথার্থ বিচার প্রতিষ্টিত হয়।কোন অবস্থাতেই যাতে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বিনষ্টের পরিস্থিতি না হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

মাধবপুরে জালিয়াতি মাধ্যমে হিন্দুপরিবারের জমি আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক হিন্দু পরিবারের স্থানীয় মাধবপুর পৌরসভার এক কর্মচারীর পিতৃজমি ওয়ারিশ জালিয়াতি ও ভুয়া নামজারির মাধ্যমে আত্বসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া মৌজার জেএল নং-৩৫, খতিয়ান নং-১২৬২, দাগ নং-১০৬৬৪ মোয়াজী ১.৭৩ একর জায়গার স্থানীয় আনন্দ মোহন রায় ও ভবতারণ রায়দের খরিদা সম্পত্তি যাদের নাতী ও বৈধ ওয়ারিশ শংকর রায় হলেও স্থানীয় মৃত আনন্দ মোহন রায়ের পুত্র অমরেন্দ্র রায় (৭৯) ওয়ারিশ জালিয়াতি মাধ্যমের নিজ নামে রেজিষ্ট করেছে ৯৬৮৭/২০২২ দলিলের মাধ্যমে এক মুসলিম লোকের কাছে বিক্রিও করে দিয়েছে।

জমির ক্রেতা এলাকার প্রভাবশালী মুসলিম হওয়ায় দাবীদার হিন্দু পরিবারের লোকজন ভয়ে জমিতে যেতে পারছেন না।থানায় অভিযোগ থাকার সত্ত্বেও কোন বিচারও পাচ্ছেন না মাধবপুর পৌরসভার মোদক পট্টিতে বসবাসরত ওই ভুক্তভোগীর পরিবার।

সরেজমিন অনুসন্ধানে,জমি ক্রয় বিক্রয়ে ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের গাফিলতি ও অনিয়মের প্রমাণও পাওয়া যায়।

মাধবপুর পৌরসভার হিসাব সহকারী পদে কর্মরত ও ভুক্তভোগী শংকর রায় জানান,ওই লোক আমাদের ওয়ারিশ সম্পদ জালিয়াতি মাধ্যমে মালিক হয়ে এক মুসলিম ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।

যাতে আমরা ভয়ে কিছু বলতে না পারি।আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি এরপরেও তারা রাজনৈতিক শক্তির ব্যবহার করে আমাদের হয়রানি করছে। অমরেন্দ্র আমার চাচা হলেও সে জালিয়াতির মাধ্যমে আমাদের ওয়ারিশান সম্পত্তি গ্রাস করছে।

এ ব্যাপারে অমরেন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি কোন জালিয়াতি করি নি।থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে গিয়েছি আমার অন্যায় থাকলে তিনি বলবেন।

এলাকার সচেতন মহলের দাবী,ওই জায়গায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোন আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না ঘটে এবং প্রকৃত হকদারের যথার্থ বিচার প্রতিষ্টিত হয়।কোন অবস্থাতেই যাতে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বিনষ্টের পরিস্থিতি না হয়।