রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার পৌর সাহাপুর মহিলা কলেজ পাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের একমাত্র মেয়ে লুৎফুন নাহার (লাবনী)কে ২০০৭ সালে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের শাহজাহান কবির সেই সম্পর্কের জেরে দ্রুত পালিয়ে বিয়ে করেন শাহজাহান কবির। সংসার জীবন ভালোই চলত তাদের কিন্তু শাহজাহান কবিরের উদ্দেশ্য ছিল একটাই ব্যাংক কর্মকর্তার অর্থ সম্পদ কিভাবে দ্রুত হাতিয়ে দেওয়া যায়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহজাহান কবির বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া জাল দলিল করা সহ নানান অপকর্মে যুক্ত ছিলেন এমনই দালিলিক প্রমাণ প্রতিবেদকের নিকট দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
লুৎফুন নাহার (লাবনী) দৈনিক মাতৃভূমিকে জানায়, আমার বাবার সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ তার ঋণ পরিশোধ করতেই শেষ তবুও চেয়েছি কিভাবে সন্তানকে নিয়ে বাকি জীবনটা পার করা যায়।কিন্তু সে ঢাকায় গিয়ে অন্য আরেক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে আমাকে তালাক প্রদান করেন। আমি আইনের আশ্রয় মিলে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে আমার নামে মিথ্যে মামলা করেন।
শাহজাহান কবির পিতা আবুল হোসেন ৩৭/এ, মনিপুরী পাড়া, থানাঃ তেজগাঁও, জেলাঃ ঢাকা। এই ঠিকানায় সে গত ২০ বছরও অবস্থান করে নাই।আমার বড় মেয়ে মারা যাওয়ার পর যখন ছোট মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করতেছি তখনই আমার মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে আছে।
আমি পারিবারিক মামলা করি যাহার পারিবারিক মামলা নং ৭৫৯/২১ সেই মোকদ্দমার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ দ্বিতীয় সরকারি জজ ও পারিবারিক আদালত ঢাকা আদেশ প্রদান করেন শিশু সন্তানকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হোক। আর সেই আদেশ অমান্য করায় তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন শাহজাহান কবিরকে গ্রেফতার ও উক্ত শিশুকে উদ্ধার করে আদালতে নিকট হাজির করা হোক। কিন্তু শাহজাহান কবির যে ঠিকানা ব্যবহার করেছে তা হওয়া ঠিকানা।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ শাহাজান কবির ভুল ঠিকানা ব্যবহার করে আমার নামে মামলা রুজু করেছেন সেই মামলায় ঢাকায় যেতে আমার খুব কষ্ট অথচ আমার মামলায় তার গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও শুধু ক্ষমতার জোরে আমার মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপন করে আছে।লুৎফর নাহার লাবনী দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট কর জোর অনুরোধ করেন আমার সন্তানকে এক নজর দেখতে চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দৈনিক মাতৃভূমিকে জানায়, শাহজাহান কবিরের ঠিকানাটি ভুল আমরা বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।