জেলার অন্যতম উপজেলা রামগঞ্জ। এটি হচ্ছে জেলার সংসদীয় আসন-১ (২৭৪ রামগঞ্জ)। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক এমপি নন্দিত জননেতা লায়ন এম এ আউয়াল এগিয়ে আছে এই দৌড়ে।

২০১৪ সালে রামগঞ্জ আসনে আওয়াল সাহেব শান্তির বাতাস নিয়ে এসে অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। তিনি সর্বপ্রথম রামগঞ্জে সর্বদলের সমন্বয়ে উন্নয়ন প্রথা চালু করেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মডেল বিশ্ববিদ্যালয়। ডলটা কলেজ সহ পাঁচটি ভবন চারতালা নির্মাণ কাজ করেন রামগঞ্জের আলিয়া মাদ্রাসা। নুনিয়াপাড়া মাদ্রাসা সহ চারটি মাদ্রাসা চারতালা নির্মাণ কাজ করেন এছাড়া শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয় সহ প্রায় ১৫ টি উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতালা ভবন নির্মাণ কাজ করেন।

তিনি পাঁচ বছরে রামগঞ্জে শতভাগ বিদ্যুৎ সেক্টরে উন্নয়ন সাধন করেন তিনি দুইশত ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কাওয়ালী ডাঙ্গা বিদ্যুৎ পাওয়ার গ্রেড। কলচমা পাওয়ার স্টেশন, করপাড়া ইউনিয়নের গাজীপুর পাওয়ার স্টেশন ও পানপাড়া পাওয়ার স্টেশন স্থাপনে উন্নয়ন সাধন করেন। তিনি অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা ও মন্দির সহ ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন সাধন ও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। লায়ন এম এ আউয়ালকে নিয়ে সর্বত্র আলোচনা ঝড়। সাবেক এমপি লায়ন এম এ আউয়াল রামগঞ্জের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মুখ।

এছাড়া রামগঞ্জে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণে তাহার ভূমিকা অতুলনীয়। জাতীয় দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাবেক এমপি জনাব আউয়াল আরো বলেন, সুস্থ ধারার রাজনৈতিক নেতাই একমাত্র সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে পারে। আমার সময়ে রামগঞ্জে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ইভটিজিং ও মাদক এইগুলি ছিল না। আমি কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিইনি সব সময় জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি।

তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে আদর্শের লড়াই থাকতে পারে কিন্তু সংঘাত ও সংঘর্ষের কোন পথ থাকতে পারে না। রাজনীতির বড় দলগুলি যেভাবে মুখোমুখি কর্মসূচি দিচ্ছে এতে করে সব শ্রেণীর মানুষ আতঙ্কিত। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। আমি আমার পাঁচ বছরে সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে চেষ্টা করেছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে। তাই নেত্রী যদি আমাকে মহা জোটের প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন দেন আমি রামগঞ্জ কে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নয়ন মুখী স্মার্ট ও ডিজিটাল রামগঞ্জ উপজেলা গড়ে তুলতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ। আমি রামগঞ্জবাসীর দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি।