ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সংঘর্ষ অব্যাহত পরিচালকদের সঙ্গে প্রেম করে কাজ পান স্বস্তিকা ‘পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে ১ নভেম্বর থেকে অভিযান’ নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি র‍্যাব-১৩ দিনাজপুর হতে চাঞ্চল্যকর তহিদুর রহমান বাঙ্গু হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার আশুলিয়ায় লতিফ মন্ডল ও আক্কাস আলী মন্ডল মূর্তি মান আতংকের নাম ফাইল আটকে কৌশলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে রাজস্ব কর্মকর্তাদের মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিকাশ এজেন্টের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে জোর করে জমির দলিল নিয়ে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

কুমিল্লায় স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নায়ায়ণসার গ্রামের প্রথম শ্রেণির স্কুল ছাত্র রমজান আলী (৮) হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

রবিবার (১৩ আগষ্ট) বিকালে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নায়ায়ণসার গ্রামে মৃত সৈয়দ আব্বাসের ছেলে আইয়ুব আলী, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আজাহারুল ইসলাম রিপন (পলাতক)।

আদালত রায় ঘোষণার পর পলাতক রিপনকে রহমানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পুলিশকে।

এ মামলায় অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মাসুম ও মো: রনিকে নামে দুইজনকে খালাস প্রদান করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ জুলাই হাবিল মিয়ার ছোট ছেলে মোহাম্মদ রমজান আলী (৮) খেলাধুলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে আর বের হয়ে আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করে। প্রায় দুই তিন ঘণ্টা খোঁজ করার পর তারা বুড়িচং থানায় একটি জিডি করে। এর পরের দিন ক্যান্টনমেন্ট পাওয়ার হাউজের পাশে রমজানের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়। এরপর, এক অজানা ফোন নাম্বারে হাবিল মিয়াকে কল দিয়ে একজন বলে, তাদেরকে আইয়ুব আলী তিন লক্ষ টাকা দিয়েছে রমজান আলীকে মারার জন্য। এরপর, হাবিল মিয়া বাদী হয়ে আইয়ুব আলী ও মাসুমকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে মোঃ রনি ও আজহারুল ইসলাম রিপনকে মামলার অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, সকল সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত এই রায় প্রদান করেছে। আইয়ুব আলী সম্পর্কে হাবিল মিয়ার চাচাতো ভাই। হাবিল মিয়ার সাথে আইয়ুব আলীর সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দের জেরে এই হত্যাকান্ড হয়েছে।

মামলার বাদী হাবিল মিয়া বলেন, ৪ জন আসামীর মধ্যে ২ জনকে ছেড়ে দিছে, আরেকজন পলাতক। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার স্বপ্ন ছিলো বড় হলে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বানাবো। সেটা আর হয় নি। আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়েছিলাম, কিন্তু তাও হলো না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সুদীপ্ত কুমার বলেন,২০০৮ সালের তদন্ত শেষ করে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন ধরে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

কুমিল্লায় স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৭:২৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নায়ায়ণসার গ্রামের প্রথম শ্রেণির স্কুল ছাত্র রমজান আলী (৮) হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

রবিবার (১৩ আগষ্ট) বিকালে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নায়ায়ণসার গ্রামে মৃত সৈয়দ আব্বাসের ছেলে আইয়ুব আলী, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আজাহারুল ইসলাম রিপন (পলাতক)।

আদালত রায় ঘোষণার পর পলাতক রিপনকে রহমানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পুলিশকে।

এ মামলায় অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মাসুম ও মো: রনিকে নামে দুইজনকে খালাস প্রদান করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ জুলাই হাবিল মিয়ার ছোট ছেলে মোহাম্মদ রমজান আলী (৮) খেলাধুলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে আর বের হয়ে আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করে। প্রায় দুই তিন ঘণ্টা খোঁজ করার পর তারা বুড়িচং থানায় একটি জিডি করে। এর পরের দিন ক্যান্টনমেন্ট পাওয়ার হাউজের পাশে রমজানের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়। এরপর, এক অজানা ফোন নাম্বারে হাবিল মিয়াকে কল দিয়ে একজন বলে, তাদেরকে আইয়ুব আলী তিন লক্ষ টাকা দিয়েছে রমজান আলীকে মারার জন্য। এরপর, হাবিল মিয়া বাদী হয়ে আইয়ুব আলী ও মাসুমকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে মোঃ রনি ও আজহারুল ইসলাম রিপনকে মামলার অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, সকল সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত এই রায় প্রদান করেছে। আইয়ুব আলী সম্পর্কে হাবিল মিয়ার চাচাতো ভাই। হাবিল মিয়ার সাথে আইয়ুব আলীর সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দের জেরে এই হত্যাকান্ড হয়েছে।

মামলার বাদী হাবিল মিয়া বলেন, ৪ জন আসামীর মধ্যে ২ জনকে ছেড়ে দিছে, আরেকজন পলাতক। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার স্বপ্ন ছিলো বড় হলে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বানাবো। সেটা আর হয় নি। আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়েছিলাম, কিন্তু তাও হলো না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সুদীপ্ত কুমার বলেন,২০০৮ সালের তদন্ত শেষ করে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন ধরে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।