ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সংঘর্ষ অব্যাহত পরিচালকদের সঙ্গে প্রেম করে কাজ পান স্বস্তিকা ‘পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে ১ নভেম্বর থেকে অভিযান’ নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি র‍্যাব-১৩ দিনাজপুর হতে চাঞ্চল্যকর তহিদুর রহমান বাঙ্গু হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার আশুলিয়ায় লতিফ মন্ডল ও আক্কাস আলী মন্ডল মূর্তি মান আতংকের নাম ফাইল আটকে কৌশলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে রাজস্ব কর্মকর্তাদের মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিকাশ এজেন্টের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে জোর করে জমির দলিল নিয়ে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

শার্শায় বারোমাসি তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষক

যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বারোমাসি কালো ও হলুদ জাতের তরমুজের চাষ। অন্য ফসলের তুলনায় উৎপাদন খরচ কম, পাশপাশি ফলনও তুলনামূলক বেশি হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে তরমুজের চাষ। এছাড়া স্থানীয় বাজার গুলোতেও রয়েছে এই তরমুজের চাহিদা। ফলে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তরমুজের চাষ, পাশাপাশি তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রমতে,  চলতি বছর শার্শা উপজেলায় এই প্রথম ৪০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কালো ও হলুদ তরমুজের চাষ হয়েছে। একবার মাচা করলে তা অন্তত তিন বার সেটা ব্যবহার করা যায়। তরমুজগুলো সাধারণত তিন থেকে চার কেজি ওজনের হয়। এক বছরে তিনবার ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় ফলন হয় ১০০-১২০ মণ। পাশাপাশি এই মৌসুমে ফলনও হয়েছে প্রত্যাশামতো। স্থানীয় বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কালো-হলুদ তরমুজ চাষ করে শার্শায় প্রথমবারের মতো চাষ করে সফল হয়েছেন উপজেলার উলাশী গ্রামের রেন্টু হোসেন, কাঠশিকড়া গ্রামের মোমিনুর রহমান ও সুবর্ণখালি গ্রামের আলি রেজা।

উপজেলার সফল তরমুজ চাষি মোমিনুর রহমান জানান, মাত্র ৫৫-৬০ দিনেই প্রতিটি তরমুজ তিন কেজি পর্যন্ত হয়। এই জাতীয় তরমুজ বিক্রি করে বিঘা প্রতি জমিতে মাত্র দুই মাসে এক লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

আলী রেজা বলেন, প্রথমবার লাগিয়ে ৯ হাজার টাকা খরচ করেছিলাম। আম্পানে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তারপরও ২৯ হাজার টাকা লাভ হয়। দ্বিতীয়বার আবার লাগিয়েছি। এর মধ্যে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। বাদ বাকি যা আছে তা ৫০-৫৫ টাকা বেচা-বিক্রির আশা করছি।

এক বিঘা ১২ কাঠা জমিতে পরীক্ষামূলক চাষে সফল হয়েছেন রেন্টু হোসেন। তিনি বলেন, ‘কালো ও হলুদ তরমুজ চাষে প্রথম ধাপে খরচ হয় লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও খরচ বাদ দিয়ে লাভের পরিমাণ আরও বেশি থাকে।

এ প্রসঙ্গে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গৌতম কুমার শীল বলেন, বর্তমানে ধান, গম, পাটসহ অন্য ফসল চাষে ফলন ভালো হলেও, কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না। তাই কালো ও হলুদ তরমুজে চাষে সফল হওয়ায় এর চাষ বাড়াতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

শার্শায় বারোমাসি তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষক

আপডেট সময় ০৪:৩৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বারোমাসি কালো ও হলুদ জাতের তরমুজের চাষ। অন্য ফসলের তুলনায় উৎপাদন খরচ কম, পাশপাশি ফলনও তুলনামূলক বেশি হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে তরমুজের চাষ। এছাড়া স্থানীয় বাজার গুলোতেও রয়েছে এই তরমুজের চাহিদা। ফলে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তরমুজের চাষ, পাশাপাশি তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রমতে,  চলতি বছর শার্শা উপজেলায় এই প্রথম ৪০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কালো ও হলুদ তরমুজের চাষ হয়েছে। একবার মাচা করলে তা অন্তত তিন বার সেটা ব্যবহার করা যায়। তরমুজগুলো সাধারণত তিন থেকে চার কেজি ওজনের হয়। এক বছরে তিনবার ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় ফলন হয় ১০০-১২০ মণ। পাশাপাশি এই মৌসুমে ফলনও হয়েছে প্রত্যাশামতো। স্থানীয় বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কালো-হলুদ তরমুজ চাষ করে শার্শায় প্রথমবারের মতো চাষ করে সফল হয়েছেন উপজেলার উলাশী গ্রামের রেন্টু হোসেন, কাঠশিকড়া গ্রামের মোমিনুর রহমান ও সুবর্ণখালি গ্রামের আলি রেজা।

উপজেলার সফল তরমুজ চাষি মোমিনুর রহমান জানান, মাত্র ৫৫-৬০ দিনেই প্রতিটি তরমুজ তিন কেজি পর্যন্ত হয়। এই জাতীয় তরমুজ বিক্রি করে বিঘা প্রতি জমিতে মাত্র দুই মাসে এক লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

আলী রেজা বলেন, প্রথমবার লাগিয়ে ৯ হাজার টাকা খরচ করেছিলাম। আম্পানে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তারপরও ২৯ হাজার টাকা লাভ হয়। দ্বিতীয়বার আবার লাগিয়েছি। এর মধ্যে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। বাদ বাকি যা আছে তা ৫০-৫৫ টাকা বেচা-বিক্রির আশা করছি।

এক বিঘা ১২ কাঠা জমিতে পরীক্ষামূলক চাষে সফল হয়েছেন রেন্টু হোসেন। তিনি বলেন, ‘কালো ও হলুদ তরমুজ চাষে প্রথম ধাপে খরচ হয় লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও খরচ বাদ দিয়ে লাভের পরিমাণ আরও বেশি থাকে।

এ প্রসঙ্গে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গৌতম কুমার শীল বলেন, বর্তমানে ধান, গম, পাটসহ অন্য ফসল চাষে ফলন ভালো হলেও, কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না। তাই কালো ও হলুদ তরমুজে চাষে সফল হওয়ায় এর চাষ বাড়াতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।