ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল

তীব্র হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ সড়কের ভাঙন, মেরামত শুরু

কক্সবাজার: কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের অন্তত ১৫টি স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সাগর বেশ উত্তাল হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর থেকে ভাঙন দেখা দেয়।

 

এর মধ্যে টেকনাফের মুন্ডার ডেইল ও ক্ষুরের মুখ এলাকায় দুই কিলোমিটার সড়কে চারটি বড় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকায় ৫০ ও ১০০ মিটার সড়ক প্রায় সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। পাশের ক্ষুরের মুখ এলাকায়ও একইভাবে পিচঢালা সড়কের অর্ধেক সাগরে চলে গেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন বলছেন, দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি ঝুঁকির মুখে পড়বে সেখানকার প্রায় দুই হাজার পরিবার।

প্রসঙ্গত কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮৪ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক। সড়কটির দেখভালের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি ইউনিট।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সড়কের ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু করেছেন। তবে জোয়ার এলে কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

জানা গেছে, মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি, ইনানীর পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ অংশের কয়েকটি স্থান ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে। সাগরের ঢেউয়ের চাপে এসব এলাকায় জিওটিউব ছিঁড়ে সড়কে আঁচড়ে পড়ছে।

টেকনাফের মুন্ডার ডেইলে দেখা যায়, ১০০ থেকে ১৫০ মিটার সড়কের অর্ধেক বা আরও বেশি অংশ সাগরের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। গত বছরও বর্ষা মৌসুমে একই এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছিল।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, সাগর থেকে দুই-তিন বছর ধরে প্রভাবশালীরা অবাধে বালু উত্তোলন করছে। এতে এখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান বলেন,  সড়কের বিভিন্ন অংশে সাগরের ভাঙনে ঝাউগাছ উপড়ে গেছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সেলিম জানান, দ্রুত ভাঙন ঠেকানো সম্ভব না হলে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে মেরিন ড্রাইভ সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তার মতে, আজ-কালের মধ্যে ভাঙা অংশগুলো মেরামত করে বন্ধ করতে না পারলে জোয়ারের আঘাতে সড়কটি বিলীন হয়ে যেতে পারে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই-তিন দিন ধরে পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়েছে। এতে মেরিন ড্রাইভের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙন ঠেকাতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ শুরু করেছে।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফিন বলেন, সড়কটি এখনও সেনাবাহিনী দেখভাল করে। ইতোমধ্যে তারা ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু করেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

তীব্র হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ সড়কের ভাঙন, মেরামত শুরু

আপডেট সময় ০১:৪৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩

কক্সবাজার: কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের অন্তত ১৫টি স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সাগর বেশ উত্তাল হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর থেকে ভাঙন দেখা দেয়।

 

এর মধ্যে টেকনাফের মুন্ডার ডেইল ও ক্ষুরের মুখ এলাকায় দুই কিলোমিটার সড়কে চারটি বড় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকায় ৫০ ও ১০০ মিটার সড়ক প্রায় সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। পাশের ক্ষুরের মুখ এলাকায়ও একইভাবে পিচঢালা সড়কের অর্ধেক সাগরে চলে গেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন বলছেন, দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি ঝুঁকির মুখে পড়বে সেখানকার প্রায় দুই হাজার পরিবার।

প্রসঙ্গত কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮৪ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক। সড়কটির দেখভালের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি ইউনিট।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সড়কের ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু করেছেন। তবে জোয়ার এলে কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

জানা গেছে, মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি, ইনানীর পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ অংশের কয়েকটি স্থান ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে। সাগরের ঢেউয়ের চাপে এসব এলাকায় জিওটিউব ছিঁড়ে সড়কে আঁচড়ে পড়ছে।

টেকনাফের মুন্ডার ডেইলে দেখা যায়, ১০০ থেকে ১৫০ মিটার সড়কের অর্ধেক বা আরও বেশি অংশ সাগরের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। গত বছরও বর্ষা মৌসুমে একই এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছিল।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, সাগর থেকে দুই-তিন বছর ধরে প্রভাবশালীরা অবাধে বালু উত্তোলন করছে। এতে এখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান বলেন,  সড়কের বিভিন্ন অংশে সাগরের ভাঙনে ঝাউগাছ উপড়ে গেছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সেলিম জানান, দ্রুত ভাঙন ঠেকানো সম্ভব না হলে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে মেরিন ড্রাইভ সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তার মতে, আজ-কালের মধ্যে ভাঙা অংশগুলো মেরামত করে বন্ধ করতে না পারলে জোয়ারের আঘাতে সড়কটি বিলীন হয়ে যেতে পারে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই-তিন দিন ধরে পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়েছে। এতে মেরিন ড্রাইভের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙন ঠেকাতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ শুরু করেছে।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফিন বলেন, সড়কটি এখনও সেনাবাহিনী দেখভাল করে। ইতোমধ্যে তারা ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু করেছে।