ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তায় সরকার কোনো শিথিলতা দেখাবে না : ওবায়দুল কাদের

কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। বিদেশি যেসব দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে আছেন তাদের সব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কোনো শিথিলতা দেখাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি বিএনপি নেতাদের অসাড়, অর্বাচীন ও গণচেতনাবিচ্ছিন্ন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত বাংলাদেশে আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিএনপির শাসনামলে তাদের সৃষ্ট জঙ্গিবাদী শক্তির হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর কূটনীতিকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এটা কোনো স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বিদেশি যেসব দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে আছেন তাদের সব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কোনো প্রকার শিথিলতা দেখাবে না।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে যা যা করার তা একমাত্র আওয়ামী লীগই করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক উপায়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিল। সামরিক স্বৈরাচারের বুটের তলায় পিষ্ট হয়েছিল এদেশের মানুষের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কারফিউ বলবৎ রেখে দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন সৃষ্টি করে জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছিল। ভোট ডাকাতির প্রতিভূ শক্তি বিএনপির মুখে তাই গণতন্ত্রের কথা মানায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন হালে পানি না পাওয়ায় তাদের নেতারা প্রতিদিন চিরাচরিত একঘেয়ে বক্তব্য রেখেই যাচ্ছে। তারা শুধু সমালোচনার নামে সরকারের সমালোচনা করে। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে শেখ হাসিনার গৃহীত উন্নয়ন নীতির কারণে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার বিপরীতে বিএনপির হাতিয়ার হলো ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য। বিএনপির লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, বিপরীতে আওয়ামী লীগের পথচলার শক্তি হলো শুধু জনগণ। যে আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই, যে আন্দোলন শুধুমাত্র ক্ষমতার মোহ থেকে পরিচালিত হয়, সে আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের কথা হাস্যকর।

তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতির ফলে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি মানুষের জীবনমানের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সময়োপযোগী নীতি গ্রহণের ফলে নতুন প্রজন্ম নিজেদের মানবিক স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে।

আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তায় সরকার কোনো শিথিলতা দেখাবে না : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৪:১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। বিদেশি যেসব দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে আছেন তাদের সব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কোনো শিথিলতা দেখাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি বিএনপি নেতাদের অসাড়, অর্বাচীন ও গণচেতনাবিচ্ছিন্ন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত বাংলাদেশে আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিএনপির শাসনামলে তাদের সৃষ্ট জঙ্গিবাদী শক্তির হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর কূটনীতিকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এটা কোনো স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বিদেশি যেসব দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে আছেন তাদের সব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কোনো প্রকার শিথিলতা দেখাবে না।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে যা যা করার তা একমাত্র আওয়ামী লীগই করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক উপায়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিল। সামরিক স্বৈরাচারের বুটের তলায় পিষ্ট হয়েছিল এদেশের মানুষের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কারফিউ বলবৎ রেখে দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন সৃষ্টি করে জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছিল। ভোট ডাকাতির প্রতিভূ শক্তি বিএনপির মুখে তাই গণতন্ত্রের কথা মানায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন হালে পানি না পাওয়ায় তাদের নেতারা প্রতিদিন চিরাচরিত একঘেয়ে বক্তব্য রেখেই যাচ্ছে। তারা শুধু সমালোচনার নামে সরকারের সমালোচনা করে। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে শেখ হাসিনার গৃহীত উন্নয়ন নীতির কারণে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার বিপরীতে বিএনপির হাতিয়ার হলো ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য। বিএনপির লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, বিপরীতে আওয়ামী লীগের পথচলার শক্তি হলো শুধু জনগণ। যে আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই, যে আন্দোলন শুধুমাত্র ক্ষমতার মোহ থেকে পরিচালিত হয়, সে আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের কথা হাস্যকর।

তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতির ফলে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি মানুষের জীবনমানের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সময়োপযোগী নীতি গ্রহণের ফলে নতুন প্রজন্ম নিজেদের মানবিক স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে।

আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল