ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

জুতার মালা পরে রাস্তায় ঘুরছেন ইজিবাইক চালক

বরগুনা সদর উপজেলায় গলায় জুতার মালা পরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন মো. নাসির (৩৫) নামের এক ইজিবাইক চালক। সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে শহরের বিভিন্ন সড়কে এভাবেই তাকে ঘুরতে দেখা যায়। মো. নাসির সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের পরীরখাল এলাকার আলিশ্যার মোর গ্রামের বাসিন্দা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা সদর থেকে নিশানবাড়িয়া সড়কে বিকেল ৩টার আগে কোনো ধরনের ইজিবাইক চলাচল করতে দেয় না বরগুনা বাস মালিক সমিতি। আজ সকালে এক শিশু রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ইজিবাইক চালক নাসির। পথিমধ্যে বাস মালিক সমিতির লোকজন তাকে গাড়ি চালাতে বাধা দেয় এবং সকল যাত্রীকে নামিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে ইজিবাইক চালক নাসির নিজের গলায় জুতার মালা পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হেঁটেছেন।

ইজিবাইক চালক নাসির বলেন, আমার ছোট বাচ্চা আছে, তাকে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। কিন্তু গাড়ি না চালালে দুধ কেনার টাকা হয় না, সংসার চলে না। আজ এক রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ওরা সবাইকে নামিয়ে দেয়। এমনকি বাস মালিক সমিতির লোকজন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ন্যায়বিচার না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত জুতার মালা গলা থেকে নামাব না।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলেছে। তবে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়ে জানতে বরগুনা বাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলুকে কল দিলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বরগুনা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. সগীর বলেন, আমাদের কোনো লোকজন এমন কাজ করেনি। এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট। প্রয়োজন হলে আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

জুতার মালা পরে রাস্তায় ঘুরছেন ইজিবাইক চালক

আপডেট সময় ১১:০৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

বরগুনা সদর উপজেলায় গলায় জুতার মালা পরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন মো. নাসির (৩৫) নামের এক ইজিবাইক চালক। সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে শহরের বিভিন্ন সড়কে এভাবেই তাকে ঘুরতে দেখা যায়। মো. নাসির সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের পরীরখাল এলাকার আলিশ্যার মোর গ্রামের বাসিন্দা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা সদর থেকে নিশানবাড়িয়া সড়কে বিকেল ৩টার আগে কোনো ধরনের ইজিবাইক চলাচল করতে দেয় না বরগুনা বাস মালিক সমিতি। আজ সকালে এক শিশু রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ইজিবাইক চালক নাসির। পথিমধ্যে বাস মালিক সমিতির লোকজন তাকে গাড়ি চালাতে বাধা দেয় এবং সকল যাত্রীকে নামিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে ইজিবাইক চালক নাসির নিজের গলায় জুতার মালা পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হেঁটেছেন।

ইজিবাইক চালক নাসির বলেন, আমার ছোট বাচ্চা আছে, তাকে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। কিন্তু গাড়ি না চালালে দুধ কেনার টাকা হয় না, সংসার চলে না। আজ এক রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ওরা সবাইকে নামিয়ে দেয়। এমনকি বাস মালিক সমিতির লোকজন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ন্যায়বিচার না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত জুতার মালা গলা থেকে নামাব না।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলেছে। তবে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়ে জানতে বরগুনা বাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলুকে কল দিলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বরগুনা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. সগীর বলেন, আমাদের কোনো লোকজন এমন কাজ করেনি। এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট। প্রয়োজন হলে আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন।