৩০ বছর ধরে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন চাঁদপুরের মো.ইকবাল হারুন (লিটন)। তার বাবা মা মারা যাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী পিতার সমস্ত সম্পত্তির মালিক হওয়ার সকল সন্তান। কিন্তু ভাইয়েরা কুট কৌশল করে জাল দলিল করে আমাকে পিতা মাতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে। এরকমই একটি অভিযোগ তুলেছেন প্রবাসী ইকবাল হারুন।
তিনি সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, আমি গত ৩০ বছর যাবত নিউইয়র্কে স্থায়ীভাবে আমেরিকান নাগরিক হিসাবে সেখানে বসবাস করে আসছি। আমরা ৫ ভাই ৩ বোন। আমাদের বাবা ইন্তেকাল করেছেন ২০০৬ সালে। আম্মা মারা গেছেন ২০১২। ২০৪ পুরান আদালত পাড়ার লুৎফা মঞ্জিল নামে ৭ কাঠার উপর ৪ তলা বিশিষ্ট আমাদের একটি বাড়ি আছে। যা আমাদের আম্মার নামে ছিলো। উল্লেখ দালানের ভিত্তির ও নিচ তলার যাবতীয় খরচ আমি দিয়েছিলাম আব্বার জীবিত অবস্থায়। আমার অন্য ৩ ভাইরা আব্বা মারা যাওয়ার বছর খানিকের মধ্যে আম্মার কাছ থেকে হেবা দলিল করে লেখিয়ে নিয়েছে। যেখানে জমির অংশিদারদের মধ্যে আমার নাম নাই কিন্তু নিচের তলার মালিক আম্মা স্বয়ং এবং ওনার অবর্তমানে আমি মালিক হবো এটা বলে গেছে।
আম্মা মারা যাওয়ার পরের দিন আমার ছোট ভাই জিয়াউল হারুন (খোকন) তার নিজের চার তলা ভাড়া দিয়ে নীচ তলায় চলে আসে আমাকে কিছু না জানিয়ে। অন্য ভাইদেরকে বলেছে আমি নাকি থাকতে বলেছি , যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ফোন করলে বলে মা’র স্মৃতির জন্য। তখন আমি বল্লাম গ্রামের বাড়ীর আমার আব্বার দেওয়া মসজিদের ইমাম সাহেবের মাসিক বেতনের টাকা দেওয়ার জন্য যা কি না আমিই বহন করেছিলাম আব্বার ইন্তেকালের পর। এতে সে রাজী হয়েছিল এবং দিয়েও ছিল। কিন্ত গত ৬/৭ বৎসর যাবত কোন বেতন দিচ্ছে না। মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মাসের পর মাস গ্রামের সরল সহজ ইমামকে বিভ্রান্ত করার চেস্টা করে আসতেছে। বেচারা ইমাম (মোবারক) আমাকে ফোন করে কান্নাকাটি করে এবং বলেছে খোকন ভাই এখন আবার মুলা ঝুলিয়েছে। বলছে মসজিদের জন্য একটা সরকারী অনুদানের চেস্টা করছি, হলে সব এক সাথে দিয়ে দিবে। কত নিম্ন মনমানষিকতার হলে মসজিদের ইমামের বেতন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। যা কি না আমার আব্বার মানসম্মানের সাথে জড়িত। আম্মা মারা গেল ২০১২সালে। এই ১১ বৎসর কোন ভাড়াও দিচ্ছে না, জোরজবর দখল করে খাচ্ছে। সে গত ৩ বৎসর আমার নিচতলা ভাঁড়া দিয়ে ঢাকা থাকছে। মাঝে মাঝে এসে ৪ তলা ও নিচতলার ভাড়া নিতো। নিচতলায় এসে নাকি জুয়ার আড্ডা বসায়। অনেক পীড়াপিরির পর ওরা ৩ জন সমপরিমান ভুমির অংশ আমার নামে নতুন হেবা দলিলের মাধ্যমে দিয়েছে।
গত বছর থেকে তাকে বলে আসতেছি যে – হয় তুই বাসা ছেড়ে দে অথবা কিনে ফেল। আমি বললাম গত ১১ বছরের ভাঁড়া ১৩ লাখ তুই খেয়েছিস। সে আমাকে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করলেও দেয়নি। ফোন ধরছে না, ১০/১৫ বার কল করলে ১ বার ধরে। আমার ভাবতেও অবাক লাগে সে আমার আপন মায়ের পেটের ভাই। আমার মা বাবার কুলাংকার সন্তান। আমি তার এই কুকৃত্রির কথা পত্রপত্রিকায় দিতে চাই , অনুগ্রহ করে চাঁদপুরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করতে সাহায্য করবেন। তার অত্যাচারে আমার সবচেয়ে ছোট-ভাই এমদাদ হারুন জসিম বাধ্য হয়ে ঐ বাসা ছেড়ে দিয়ে এখন ঢাকাতে থাকছে।
আমার সবচেয়ে বড় ভাই ইউছুফ হারুন ওনার ২য় তলা ভাড়া দিয়ে এখন ঢাকা থাকছে কিন্তু সে ওনার ভাড়াটিয়াদের সব সময় খারাপ ব্যবহার করে, উনি কিছু বললে খারাপ আচরন করে।