ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

লালমোহনে রাতের আধাঁরে যুবলীগ নেতাকে ডেকে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ

ভোলার লালমোহন উপজেলায় রাতে আঁধারে যুবলীগ নেতাকে বাজার থেকে ডেকে নিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা মো. সিরাজ (৪০) বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তিনি লালমোহন পৌরসভা ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সদস্য। তার বাড়ি ওই ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকায়। শনিবার (০১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিন্টু মিয়ার খামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত যুবলীগ নেতা মো. সিরাজের স্ত্রী জান্নাত বেগম জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ বাজারের চায়ের দোকান থেকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেহেরের কথা বলে পৌর যুবলীগের সাধারণ স¤পাদক আমিরুল ইসলাম, ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সিরাজ দালাল, মাসুম, সাদ্দাম, জসিম ও নুরনবীসহ ৩০-৪০জন মিলে তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে ওই এলাকায় নিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে তার হাত, পা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় বেদম মারধর করে। এতে তার দুই পায়ের হাটু ও বাম হাতের কব্জি ভেঙে যায়। এবং মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসের সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। পরে তারাবি নামাজ শেষে পরিবারের লোকজন তাকে খুজতে বের হলে তাকে হাসপাতালের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায পড়ে থাকতে দেখে। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে পরে ভোলা সদর হাতপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত সিরাজের চাচাতো ভাই মো. খোকন জানান, ছোট বেলা থেকেই সিরাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছে। ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বিবিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের ভাগিনা হয় যুবলীগ নেতা মো. সিরাজ। গত দুই মাস আগে আবু নোমান হাওলাদারের চাচা মারা গেলে সিরাজ সেখানে জানাযায় অংশগ্রহন করেন। আর এ থেকেই তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে হামলাকারীরা। এ কারনেই তাকে মারধর করে হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে।

এ ব্যাপাারে অভিযুক্ত লালমোহন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মেহেরাব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সিরাজ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় তাঁর নামের একাধিক মামলা আছে। গত রাতের মারধরের বিষয়নে তিনি কিছুই জানেন না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে এ সকল মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান আমাদের মাতৃভূমি’কে জানান, প্রতিদিন পারিবারিকভাবে নিজেদের মধ্যে মারামরির অনেক ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়টি তার জানা নেই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

লালমোহনে রাতের আধাঁরে যুবলীগ নেতাকে ডেকে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

ভোলার লালমোহন উপজেলায় রাতে আঁধারে যুবলীগ নেতাকে বাজার থেকে ডেকে নিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা মো. সিরাজ (৪০) বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তিনি লালমোহন পৌরসভা ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সদস্য। তার বাড়ি ওই ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকায়। শনিবার (০১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিন্টু মিয়ার খামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত যুবলীগ নেতা মো. সিরাজের স্ত্রী জান্নাত বেগম জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ বাজারের চায়ের দোকান থেকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেহেরের কথা বলে পৌর যুবলীগের সাধারণ স¤পাদক আমিরুল ইসলাম, ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সিরাজ দালাল, মাসুম, সাদ্দাম, জসিম ও নুরনবীসহ ৩০-৪০জন মিলে তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে ওই এলাকায় নিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে তার হাত, পা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় বেদম মারধর করে। এতে তার দুই পায়ের হাটু ও বাম হাতের কব্জি ভেঙে যায়। এবং মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসের সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। পরে তারাবি নামাজ শেষে পরিবারের লোকজন তাকে খুজতে বের হলে তাকে হাসপাতালের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায পড়ে থাকতে দেখে। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে পরে ভোলা সদর হাতপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত সিরাজের চাচাতো ভাই মো. খোকন জানান, ছোট বেলা থেকেই সিরাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছে। ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বিবিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের ভাগিনা হয় যুবলীগ নেতা মো. সিরাজ। গত দুই মাস আগে আবু নোমান হাওলাদারের চাচা মারা গেলে সিরাজ সেখানে জানাযায় অংশগ্রহন করেন। আর এ থেকেই তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে হামলাকারীরা। এ কারনেই তাকে মারধর করে হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে।

এ ব্যাপাারে অভিযুক্ত লালমোহন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মেহেরাব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সিরাজ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় তাঁর নামের একাধিক মামলা আছে। গত রাতের মারধরের বিষয়নে তিনি কিছুই জানেন না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে এ সকল মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান আমাদের মাতৃভূমি’কে জানান, প্রতিদিন পারিবারিকভাবে নিজেদের মধ্যে মারামরির অনেক ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়টি তার জানা নেই।