ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

বগুড়ায় নামাজ পড়তে গিয়ে মুসল্লির মৃত্যু এলাকায় ধুম্রজালের সৃষ্টি

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে তছলিম উদ্দীন হাজী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। নিহত ব্যক্তি, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের বলরামপুর এলাকার মোঃ আঃ তছলিম উদ্দিন হাজী।

জানা গেছে, রোববার (২ এপ্রিল) ভোর পৌণে ৫টার দিকে বলরামপুর জামে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যায়। মসজিদে কাতার ছেরে এক ব্যক্তি থুথু ফেলতে বাহিরে যায়। কাতার ফাঁকা হওয়া স্থানে তছলিম উদ্দিন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কররন। নামাজ শেষ ওই ফাঁকা স্থানে নামাজ পড়া নিয়ে কয়েকজন মুসল্লির তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তছলিম উদ্দিন পূর্বে থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। আর তর্ক-বিতর্কের কারণে তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। ওই দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মৃত তছলিম উদ্দিন হাজীর লাশ শিবগঞ্জ থানাতেই রাখা ছিল। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন।

নিহতের ছেলে জিয়াউর রহমানের অভিযোগ সূত্রে, মোঃ তছলিম উদ্দিন হাজী রোববার ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যান। ফজরের নামাজ পড়ার শেষে তার প্রতিবেশি আনিছ, আশরাফ, আব্দুল নূরসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তির সাথে পূর্বের সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি হয়। কাটাকটির একপর্যায়ে তছলিম উদ্দিন হাজী অসুস্থ বোধ করিলে বাড়ি দিকে নিয়ে যায়। আমার বাবা মসজিদের পাশে রাস্তায় কাঁপতে কাঁপতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিহতের ছেলের স্ত্রী মোছাঃ পাপিয়া বিবি ও প্রতিবেশি নূর ভানু তেল মালিশ করার পর দেখা যায় তার বাবা আর নড়াচড়া করছে না।
এ বিষয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার এসআই ইসহাক জানান, লাশ আমাদের থানাতেই আছে। আগামীকাল (সোমবার) সকালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাশ থানায় রাখার প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘নিয়ম করেই রাত পর্যন্ত লাশ রাখা হয়েছে। উপরের নির্দেশে।
এ বিষয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মুনজুরুল আলম জানান, ‘তছলিম উদ্দিন হাজীর মৃত্যু তার বাড়িতে হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে দাফনের জন্য লাশ হস্তান্তর করা হবে। ‘

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

বগুড়ায় নামাজ পড়তে গিয়ে মুসল্লির মৃত্যু এলাকায় ধুম্রজালের সৃষ্টি

আপডেট সময় ১১:৪১:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে তছলিম উদ্দীন হাজী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। নিহত ব্যক্তি, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের বলরামপুর এলাকার মোঃ আঃ তছলিম উদ্দিন হাজী।

জানা গেছে, রোববার (২ এপ্রিল) ভোর পৌণে ৫টার দিকে বলরামপুর জামে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যায়। মসজিদে কাতার ছেরে এক ব্যক্তি থুথু ফেলতে বাহিরে যায়। কাতার ফাঁকা হওয়া স্থানে তছলিম উদ্দিন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কররন। নামাজ শেষ ওই ফাঁকা স্থানে নামাজ পড়া নিয়ে কয়েকজন মুসল্লির তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তছলিম উদ্দিন পূর্বে থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। আর তর্ক-বিতর্কের কারণে তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। ওই দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মৃত তছলিম উদ্দিন হাজীর লাশ শিবগঞ্জ থানাতেই রাখা ছিল। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন।

নিহতের ছেলে জিয়াউর রহমানের অভিযোগ সূত্রে, মোঃ তছলিম উদ্দিন হাজী রোববার ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যান। ফজরের নামাজ পড়ার শেষে তার প্রতিবেশি আনিছ, আশরাফ, আব্দুল নূরসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তির সাথে পূর্বের সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি হয়। কাটাকটির একপর্যায়ে তছলিম উদ্দিন হাজী অসুস্থ বোধ করিলে বাড়ি দিকে নিয়ে যায়। আমার বাবা মসজিদের পাশে রাস্তায় কাঁপতে কাঁপতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিহতের ছেলের স্ত্রী মোছাঃ পাপিয়া বিবি ও প্রতিবেশি নূর ভানু তেল মালিশ করার পর দেখা যায় তার বাবা আর নড়াচড়া করছে না।
এ বিষয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার এসআই ইসহাক জানান, লাশ আমাদের থানাতেই আছে। আগামীকাল (সোমবার) সকালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাশ থানায় রাখার প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘নিয়ম করেই রাত পর্যন্ত লাশ রাখা হয়েছে। উপরের নির্দেশে।
এ বিষয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মুনজুরুল আলম জানান, ‘তছলিম উদ্দিন হাজীর মৃত্যু তার বাড়িতে হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে দাফনের জন্য লাশ হস্তান্তর করা হবে। ‘