নওগাঁয় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলয় প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৭০ হাজার ৪৫১ জন বলে জানিয়েছে জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ। রোববার (২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য এই তথ্য জানান।
নূর মোহাম্মদ বলেন, জেলায় মোট ৭০ হাজার ৪৫১ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে সবচেয়ে শারিরিক প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বেশি। এছাড়াও অটিজম, দীর্ঘস্থায়ী মানষিক অসুস্থতা জনিত প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, বাক-প্রতিবন্ধী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, শ্রবণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালসি, বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী, ডাউন সিনড্রম প্রতিবন্ধী রয়েছে।
উপজেলা ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধীর সংখ্যা হলো-সদর উপজেলায় ৭ হাজার ১৭৪জন, আত্রইয়ে ৪ হাজার ৪৫৮জন, ধামুইরহাটে ৫ হাজার ১৮৬ জন, নিয়ামতপুরে ৫ হাজার ১২জন, পত্নীতলায় ৭ হাজার ৭৮৮জন, পোরশায় ২ হাজার ১১৪জন, বদলগাছী ৭ হাজার ৬১৫ জন, মহাদেবপুরে ১০ হাজার ৮২৯জন, মান্দায় ৯ হাজার ৭২১ জন, রানীনগরে ৪ হাজার ৯২৬জন, সাপাহারে ২ হাজার ৫৫৪জন ও নওগাঁ শহর সমাজসেবা কর্যালয়ের অধীনে ৩ হাজার ৭৪জন।
এই আলোচনা সভার প্রতিপাদ্য ছিল ‘রুপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বগঠন’। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান।
সভায় বক্তব্য দেন জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোহতাসিম বিল্লাহ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিন, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা হুমায়ন কবির, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালটেন্ট সাবেরা সুলতানা, আশার আলো অটিষ্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক অছিম উদ্দিন, পত্নীতলা উপজেলার আমবাটি প্রতিবন্ধী স্কুলের সহকারী শিক্ষক নাসরিন সুলতানাসহ প্রমুখ।
পরে বিভিন্ন চিত্রঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রদানে বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের কথা চিন্তা ভাতা কার্যক্রম চালু করেছে। আর সুফলভোগ করছেন প্রতিবন্ধীরা।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীরদের আত্নউন্নয়নসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সকল ক্ষেত্রে সমান সুযোগ-সুবিধার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অবহ্যত রয়েছে। এতিম প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সরকারিভাবে একটি আবাসন ব্যবস্থা চালুর সিধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।