হবিগঞ্জের বাহুবলের হামিদনগরে ময়লা-আবর্জনযুক্ত অরক্ষিত পরিষদের আওতাভুক্ত ভূমি পরিস্কার করার পর ঘর তৈরি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন দুই জনপ্রতিনিধি। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুমুল আলোচনার জের নিয়েছে। এমনকি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বৈঠকেও উপস্থাপিত হয়। শুধু তা-ই নয়, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে ঘরটি তৈরির জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারকে অনেকেই এজন্য দায়ী করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনিক দপ্তরের কর্তাদের দৃষ্টি চেয়েছেন। তবে, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক ভিন্নমত প্রকাশ করে বলেন, পরিষদের
তত্বাবোধনে থাকা ভূমিটি দীর্ঘদিন যাবত ময়লা-আবর্জনার স্তুপ হিসেবে পরিণত এবং অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকাবস্থায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার মধ্যদিয়ে ঘর তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া অফিসটি সেইকালে উপজেলা কৃষি থেকে ভাড়া নেওয়ার পর অদ্যবদিও ঝুঁকিপূর্ণ অফিসেই কাজ করতে হয়েছে।
এছাড়া মহা-সড়ক নির্মাণকালে ভাঙ্গনের আশংকা দেখা দেওয়াতে জনসেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ার আগেই বেড়িয়ে আসার স্বার্থে পরিষদের অধিনস্ত ওই ভূমিতে টিনসেটের ঘর তৈরি করা হয়েছে। পরিষদের অফিস ভাড়া বহনের অতিরিক্ত উৎস না থাকায় টিনসেট ঘরের আয়ে পরিষদের অফিস ভাড়া চালানোর সিদ্ধান্তক্রমে সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে একটি রেজোলেশনও করা হয়েছে ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তৎকালীন দুইবারের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল হামিদ (রঃ) বহু আগে পরিষদের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য হামিদনগরে প্রায় ২৬শতাংশ জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারনে পরিষদের নিজস্ব ভবন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
এমতাবস্থায়,বহু আগে দারুল উলুম চলিতাতলা মাদরাসার পাশে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরিষদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য একটি অফিস ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ওই অফিসটিতে আজও কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু চেয়ারম্যান হিসেবে অনেকেই আসা-যাওয়া করলেও মান্ধাতা আমলের কার্যালয়টি আজও রয়েছে। যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও পোকামাকড়ের ঘরের ন্যায় পরিণত হয়েছে।
অনেকেই জানান,অফিসে বসা কিংবা সভা-সেমিনার করার পরিবেশ নেই। দুর্গন্ধময় পরিবেশে কোনরকম প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, জরুরি কাজে চেয়ারম্যানের সহযোগীতা নিতে গিয়েও সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।