ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ
নবাবপুরে চাঞ্চল্যকর

রজব আলী হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাতিরঝিলে গ্রেফতার

পূর্ব শক্রতার জের হিসেবে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার নবাবপুরে চাঞ্চল্যকর রজব আলী হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি মিলন সিকদার ওরফে চাপা মিলন (৩৮)‘কে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ মিলন সিকদার ওরফে চাপা মিলন(৩৮) ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার
চৌদ্দ বুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান সিকদারের পুত্র।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাব-৩ এর একটি চৌকস দল রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাপা মিলনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আজ সকালে র‌্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) ফারজানা হক এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানায়, ভিকটিম রজব আলী তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। কিন্তু ভিকটিমদের বাসা ছিল লালচাঁন মোকাল্লেম পাড়ায় এবং আটক আসামী মিলনের বাসা ছিল যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া এলাকায়। তারা পরস্পর বন্ধু হলেও এলাকা ভিত্তিক উঠতি বয়সের যুবকদের মধ্যে গ্রুপিং ছিল।

র‌্যাব সূত্র বলছে, ভিকটিম এবং আটক মিলন দু’জনেই মাদকাসক্ত ছিল। তারা পাড়ার বন্ধুদের সাথে দল বেধে মাদক সেবন করত। একদিন মাদক সেবনের সময় তাদের হাতে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। তখন ভিকটিম রজব আলী তাদের মাদক সেবনের সঙ্গী সজিব নামে একজনের মোবাইল জামানত রেখে মাদকের টাকা সংগ্রহ করে সকলে মিলে দল বেধে মাদক সেবন করে। পরবর্তীতে জামানতের টাকা পরিশোধ না করেই তারা ভিকটিমের নিকট জামানত দেওয়া মোবাইলটি দাবী করে।

ফারজানা হক জানান, পরবর্তীতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। ওই শত্রুতার জের ধরে রায়সাহেব পাড়া এলাকার ছেলেরা ওই মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি জিকুর গত ২০২২ সালের ১০ আগস্ট র‌্যাব-৩ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।

তিনি আরো জানান, নেতৃত্ব দেয়া আটক মোঃ মিলন ওরফে চাপা মিলনসহ রহিম ওরফে আরিফ, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে টাইগার, মন্টি, আকাশ ওরফে রাসেল, ফরহাদ হোসেন ওরফে ফরহাদ, সজিব আহমেদ খান, শাহীন চাঁন খাদেম ও মোহাম্মদ আলী হাওলাদার বাবু ভিকটিম রজব আলীকে শায়েস্তা করার জন্য পরিকল্পনা করে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৪ জুলাই রাতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার নবাবপুরে মোবাইলের দোকানে ভিকটিম রজব আলী টাকা রিচার্জ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জিকুসহ আরও ৪/৫ জন ভিকটিম রজব আলীকে ঢাকা জজ কোর্টের পিছনে ১৬/এ কোর্ট হাউজ স্ট্রিটের পূর্ব পাশে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আটক মিলন, আকাশ ওরফে রাসেল, ফরহাদ হোসেন ওরফে ফরহাদ, সজিব আহমেদ খান, শাহীন চাঁন খাদেমসহ সকলে মিলে রজব আলীর উপর এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করলে ভিকটিম রজব আলী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সে সময় রজব আলী চিৎকার করলে চারপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলে তারা সকলে পালিয়ে যায়। রজব আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা প্রথমে নিকটস্থ ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‌্যাব বলছে, ওই ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় রজবের ভাই জুম্মন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১২ সালে ৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৩ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয়। বিজ্ঞ আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০১৯ সালের ১লা আগস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে জিকু, রহিম ওরফে আরিফ ও আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে টাইগারকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় এবং গ্রেফতারকৃত মিলনসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) ফারজানা হক জানান, হত্যাকান্ডের পর আটক মিলন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গাজীপুরে আত্মগোপনে চলে যায়। সেখানে ১ মাস অবস্থান করে স্থান পরিবর্তন করে রাঙামাটিতে ১৫ দিন, বরিশালে ১ মাস এবং পরবর্তীতে ঢাকায় আসলে সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আটক হয়ে ৪ বছর জেল খেটে ২০১৫ সালে জামিনে বের হয়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, জামিনে বের হয়ে সে তার বেশভূষা পরিবর্তন করে আবার পলাতক জীবনযাপন শুরু করে। পলাতক থাকা অবস্থায় সে রাজধানীর বিভিন্ন বাসে হেলপারি করে জীবিকা নির্বাহ করত। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে নিজে গাড়ী চালনা শিখে বাসচালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। ব্যক্তিগত জীবনে সে বিবাহিত এবং তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ঢাকা হতে কুয়াকাটার আন্তঃজেলা বাস চালানোর সুবাদে সে তার পরিবার নিয়ে বর্তমানে কুয়াকাটার মহীপুরে একটি ভাড়া বাসায় নকল নাম পরিচয়ে বসবাস করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিলনকে জিঙ্গাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

নবাবপুরে চাঞ্চল্যকর

রজব আলী হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাতিরঝিলে গ্রেফতার

আপডেট সময় ১২:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

পূর্ব শক্রতার জের হিসেবে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার নবাবপুরে চাঞ্চল্যকর রজব আলী হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি মিলন সিকদার ওরফে চাপা মিলন (৩৮)‘কে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ মিলন সিকদার ওরফে চাপা মিলন(৩৮) ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার
চৌদ্দ বুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান সিকদারের পুত্র।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাব-৩ এর একটি চৌকস দল রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাপা মিলনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আজ সকালে র‌্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) ফারজানা হক এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানায়, ভিকটিম রজব আলী তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। কিন্তু ভিকটিমদের বাসা ছিল লালচাঁন মোকাল্লেম পাড়ায় এবং আটক আসামী মিলনের বাসা ছিল যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া এলাকায়। তারা পরস্পর বন্ধু হলেও এলাকা ভিত্তিক উঠতি বয়সের যুবকদের মধ্যে গ্রুপিং ছিল।

র‌্যাব সূত্র বলছে, ভিকটিম এবং আটক মিলন দু’জনেই মাদকাসক্ত ছিল। তারা পাড়ার বন্ধুদের সাথে দল বেধে মাদক সেবন করত। একদিন মাদক সেবনের সময় তাদের হাতে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। তখন ভিকটিম রজব আলী তাদের মাদক সেবনের সঙ্গী সজিব নামে একজনের মোবাইল জামানত রেখে মাদকের টাকা সংগ্রহ করে সকলে মিলে দল বেধে মাদক সেবন করে। পরবর্তীতে জামানতের টাকা পরিশোধ না করেই তারা ভিকটিমের নিকট জামানত দেওয়া মোবাইলটি দাবী করে।

ফারজানা হক জানান, পরবর্তীতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। ওই শত্রুতার জের ধরে রায়সাহেব পাড়া এলাকার ছেলেরা ওই মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি জিকুর গত ২০২২ সালের ১০ আগস্ট র‌্যাব-৩ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।

তিনি আরো জানান, নেতৃত্ব দেয়া আটক মোঃ মিলন ওরফে চাপা মিলনসহ রহিম ওরফে আরিফ, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে টাইগার, মন্টি, আকাশ ওরফে রাসেল, ফরহাদ হোসেন ওরফে ফরহাদ, সজিব আহমেদ খান, শাহীন চাঁন খাদেম ও মোহাম্মদ আলী হাওলাদার বাবু ভিকটিম রজব আলীকে শায়েস্তা করার জন্য পরিকল্পনা করে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৪ জুলাই রাতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার নবাবপুরে মোবাইলের দোকানে ভিকটিম রজব আলী টাকা রিচার্জ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জিকুসহ আরও ৪/৫ জন ভিকটিম রজব আলীকে ঢাকা জজ কোর্টের পিছনে ১৬/এ কোর্ট হাউজ স্ট্রিটের পূর্ব পাশে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আটক মিলন, আকাশ ওরফে রাসেল, ফরহাদ হোসেন ওরফে ফরহাদ, সজিব আহমেদ খান, শাহীন চাঁন খাদেমসহ সকলে মিলে রজব আলীর উপর এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করলে ভিকটিম রজব আলী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সে সময় রজব আলী চিৎকার করলে চারপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলে তারা সকলে পালিয়ে যায়। রজব আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা প্রথমে নিকটস্থ ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‌্যাব বলছে, ওই ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় রজবের ভাই জুম্মন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১২ সালে ৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৩ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয়। বিজ্ঞ আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০১৯ সালের ১লা আগস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে জিকু, রহিম ওরফে আরিফ ও আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে টাইগারকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় এবং গ্রেফতারকৃত মিলনসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) ফারজানা হক জানান, হত্যাকান্ডের পর আটক মিলন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গাজীপুরে আত্মগোপনে চলে যায়। সেখানে ১ মাস অবস্থান করে স্থান পরিবর্তন করে রাঙামাটিতে ১৫ দিন, বরিশালে ১ মাস এবং পরবর্তীতে ঢাকায় আসলে সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আটক হয়ে ৪ বছর জেল খেটে ২০১৫ সালে জামিনে বের হয়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, জামিনে বের হয়ে সে তার বেশভূষা পরিবর্তন করে আবার পলাতক জীবনযাপন শুরু করে। পলাতক থাকা অবস্থায় সে রাজধানীর বিভিন্ন বাসে হেলপারি করে জীবিকা নির্বাহ করত। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে নিজে গাড়ী চালনা শিখে বাসচালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। ব্যক্তিগত জীবনে সে বিবাহিত এবং তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ঢাকা হতে কুয়াকাটার আন্তঃজেলা বাস চালানোর সুবাদে সে তার পরিবার নিয়ে বর্তমানে কুয়াকাটার মহীপুরে একটি ভাড়া বাসায় নকল নাম পরিচয়ে বসবাস করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিলনকে জিঙ্গাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।