রাজধানীর মোহাম্মদপুর রায়ের বাজার এলাকা থেকে ৭১৫ গ্রাম হেরোইনসহ আন্তঃ জেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। উদ্বারকৃত হেরোইনের আনুমানিক বাজার মূল্য পনের লক্ষ সত্তর হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম আতিকুর রহমান মাসুদ (৩২)। সে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মনপাড়া থানার মোহাম্মদ শহীদ এর পুত্র।
আজ রোববার সকালে র্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ ফজলুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফজলুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ জানতে পারে, শনিবার দিবাগত রাতে র্যাব-২ এর একটি গোয়েন্দা দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার রায়ের বাজারে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এর সামনে একজন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান মাদক (হেরোইন) বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে মাদকের চালানটি আটকের জন্য তাৎক্ষণিক ভাবে ওই এলাকায় র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
তিনি জানান, পরবর্তীতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের র্যাব সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করা কালে একজন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। সে সময় মোঃ আতিকুর রহমান মাসুদ (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে একটি মুদি দোকানের ষ্টাফ বলে পরিচয় দেয়। আটককৃত ব্যাক্তিকে মাদক সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে কৌশলে এড়িয়ে গেলেও অধিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার কাছে হেরোইন আছে বলে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তার হাতে থাকা শপিংব্যাগে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা হলুদের গুড়ার প্যাকেট পাওয়া যায়। পরে ওই প্যাকেট খুলে (ফয়েল+প্যাকেটসহ) ৭৮৫ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, আন্তঃ জেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য মাসুম হেরোইন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে করেনীগঞ্জ থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছে। এছাড়া সে দীর্ঘদিন যাবৎ এই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে বলে স্বীকার করেন।
র্যাব বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাসুদ জানায় , রাজধানীসহ আশেপাশের জেলায় নেশা জাতীয় দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অভিনব পন্থায় নিত্য নতুন বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে স্বল্প মূল্যে হেরোইন ক্রয় করে যা ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে চড়াদামে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল।
মোঃ ফজলুল হক জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী আতিকুর রহমান মাসুদ ইতিপূর্বে একটি মাদক মামলায় ৩ মাস কারাভোগের পর জামিনে বের হয়। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে।
এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।