রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বালু উত্তোলনের মহা উৎসব দেখা দিয়েছে উপজেলার ৪নং ভাংনী ইউনিয়ন ঠাকুরবাড়ি বাজারের পাশে এবং হুলাশুগঞ্জ ব্রিজের পাশে সহ উক্ত উপজেলার অসংখ্য স্থানে নির্বিচারে বালু উত্তোলন হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে।
ঠাকুরবাড়ি বাজার সংলগ্ন বালু পয়েন্টটিতে বালু উত্তোলন হয় পীরগাছা উপজেলার অন্তর্গত ঘাঘট নদীতে ড্রেজার মেসিন বসিয়ে। আর এই বালু পয়েন্টটি থেকে বালু উত্তরের কারণে শত শত বাড়িঘর ঘাঘট নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ঘাগট নদী বহমান। আর এই এলাকাটি ঘনবসতি নদীর দু-পাড়ে অসংখ্য নিরীহ খেটে খাওয়া দিনমজুর লোকের বসবাস নদী ভাঙ্গনে তারা নিঃস্ব কিন্তু স্থানীয় বালু ডাকাতও অসাধু ব্যক্তির সহযোগিতায় দীর্ঘদিন থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলন করে আসছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে বালু উত্তোলন বন্ধ হয় এবং একটি নিয়মিত মামলাও রুজ হয়। হঠাৎ করে গত কয়েকদিন থেকে একই পয়েন্ট থেকে কিভাবে ট্রাকে ট্রাকে দিনে/রাতে বালু নিয়ে যাচ্ছে তা বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় এক নেতা দৈনিক মাতৃভূমিকে বলেন,এগুলো উপর মহল ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন হচ্ছে।আর নদীর উপর মানুষের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে যে বালু পয়েন্টের মামলা হল গাড়ি নিয়ে গেল সেখানে আবার ট্রাকে ট্রাকে বালু কিভাবে যায় নিশ্চয়ই যারা বালু উত্তোলন করছে তারা আইনের উর্ধ্বে তা নাহলে এই বালু উত্তোলন বন্ধ হয় না কেন?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪ নং ভাংনী ইউনিয়নের বিট পুলিশ অফিসার এস আই ডালিম দৈনিক মাতৃভূমিকে জানায়, ইতিপুর্বে ওই বালু পয়েন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু অসাধু বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার অজু করা হয়েছে। আর বিষয়টি দুই উপজেলা হওয়ার কারণে আইনগত জটিলতা থেকে যায় তবুও তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।