সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন,দেশে ভোজ্য তেলের ঘাটতি পুরনে আমাদের কৃষকদের সরিষার আবাদ আরো বাড়াতে হবে। তবেই দেশে ভোজ্য তেলের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন সম্ভব। বৈশ্বিক মন্দা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে অস্থিরতা দেখা দেয়। যুদ্ধের কারণে সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের ওপর চাপ পড়ে।
চাহিদার সঙ্গে দিন দিন সয়াবিনের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ। এ শস্যের দামের কারণে গ্রাম ও শহরে সরিষার তেলের চাহিদা তুলনামূলক বাড়ছে।দেশে ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি স্বচ্ছলতার স্বপ্ন নিয়ে সরিষা চাষে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে তেলবীজ ফসল হিসেবে সাধারণত সরিষা, তিল, চীনাবাদাম, সয়াবিন, সূর্যমুখী ও কুসুম ফুলের চাষ করা হয়। স্বল্প সময়ে, কম পরিশ্রমে সরিষার চাষ করা যায়। কোনো কোনো জাতের সরিষা চাষ করতে সময় লাগে মাত্র ৮৫ থেকে ৯০ দিন। সরিষার উৎপাদন খরচও অন্য ফসলের তুলনায় কম। আমন ও বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময়ে তেলবীজ হিসেবে দেশে সরিষা আবাদের যথেষ্ট সুযোগ থাকায় এবং এর বহুমুখী ব্যবহার ও বাজারে ব্যাপক চাহিদার কারণে বাংলাদেশে ভোজ্য তেলবীজ হিসেবে সরিষার আবাদে ঝুকছে কৃষকরা।ফলন ভালো হওয়ার আশায় এ ফসলেই স্বপ্ন বুনছে দেশের প্রান্তিক কৃষক। শনিবার ১ এপ্রিল সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তেল জাতীয় ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সরিষার মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপ-পরিচালক খয়ের উদ্দিন মোল্লা আরো বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমি ও পতিত থাকবে না।প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী শুধু নির্দেশনা দিয়ে বসে নেই। তিনি নিজেও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সাহস যোগাতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন এবং কৃষকদের প্রণোদনা ও পূর্নবাসন দিয়ে সহায়তা প্রদান করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনির সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার জীবন কৃষ্ণ রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মোঃ আখতারুজ্জামান,মনিটরিং অফিসার জালাল উদ্দিন সরকার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার দেবাশীষ কর, সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম,সহকারী শিক্ষক নুরুল হক, ইস্কান্দার আলী মাস্টার, পল্লী চিকিৎসক বাবুল আহমদ, প্যানেল চেয়ারম্যান ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য হেলাল উদ্দিন,সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার সামসুদ্দিন আল আজাদ, কৃষক কমিটির সদস্য মিসবাহ উদ্দিন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেলী বেগম ও জাহিদুল ইসলাম। মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন, তোয়াকুল ইউনিয়নের সকল পর্যায়ের উপকারভোগী কৃষক বৃন্দ।