ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

ইসলামপুরে ভুট্টার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

জামালপুরের ইসলামপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলতি মৌসুমে ভূট্ট্রার বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প সময়ে কম খরচে কৃষকগন লাভবান হওয়ায় ভূট্ট্রা চাষের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম পুজি, ঝুকিহীন সেচ ও সার প্রয়েগের সুবিধা থাকায় কৃষকদের মাঝে ভূট্ট্রা চাষের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, সাপধরী,পাথর্শী চিনাডুলী, পলবান্ধা, গাইবান্ধা, গোয়ালের চর, চর গোয়ালীনি,নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভূট্ট্রা চাষে আশানুরুপ ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক।

উপজেলায় উৎপাদিত ভূট্ট্রা চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা হয় বলে জানাগেছে। একাধিক কৃষক জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতা উন্নত জাতের ভূট্ট্রা চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে ভূট্ট্রা ফলন ঘরে তুলতে কৃষক-কৃষানী ব্যস্ত সময় পার করছে।

উপজেলা কৃষি অফিসসুত্রে জানাযায়, চলতি বছর ভূট্ট্রা চাষের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ১৭শত ২০ হেক্টর জমিনে আবাদ করা হয়েছে। এতে ১৮হাজার ৫শত ৭৫ মেঃ টন লক্ষমাত্রা নির্নয় করা হয়েছে। চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকগন সহজে ভূট্ট্রা চাষ করে অন্য ফসলের তুলনায় বেশি আয় করছে।

পলবান্ধা ইউনিয়নের চাষী লিপন মিয়া জানান, মাত্র ৩/৪ মাসের মধ্যে ঘরে তুলতে পারি। ভূট্ট্রা আবাদে দুএকবারের বেশী পানি দিতে হয় না। এছাড়া একবিঘা জমিতে কম সার ও দশ থেকে বার হাজার ভূট্ট্রার চারা রোপন করা যায়। ফলন ভালো তাই তিনি দ্বিগুন লাভের আশা করছেন। একই ইউনিয়নের ভূট্ট্রা চাষি মালেক মন্ডল জানান,অল্প দিনে ভূট্ট্রা তুলা যায়। ভূট্ট্রা আবাদের পর পাট আবাদের চিন্তা করছি।

এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সবসময় খোঁজ খবর রাখে। প্রতিটি গাছে একবা দুইটা করে মোচা ধরে। প্রতি কেজি ভূট্ট্রা ত্রিশ টাকায় বিক্রী করা যায়। এতে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেক এলাকায় ভূট্ট্রা তুলতে কৃষক-কৃষাণী ব্যস্ত সময় পার করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএলএম রেজোয়ান জানান, আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় ভূট্ট্রার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। চলতি বছর এর লক্ষেমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষকদের ভূট্ট্রা দিকে যত্মবান হওয়ার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কমকর্তাগন সব সময় নিয়োজিত আছেন। তাই চলতি বছরে ভূট্ট্রা চাষিরা লাভবান হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

ইসলামপুরে ভুট্টার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় ১২:৪১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

জামালপুরের ইসলামপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলতি মৌসুমে ভূট্ট্রার বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প সময়ে কম খরচে কৃষকগন লাভবান হওয়ায় ভূট্ট্রা চাষের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম পুজি, ঝুকিহীন সেচ ও সার প্রয়েগের সুবিধা থাকায় কৃষকদের মাঝে ভূট্ট্রা চাষের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, সাপধরী,পাথর্শী চিনাডুলী, পলবান্ধা, গাইবান্ধা, গোয়ালের চর, চর গোয়ালীনি,নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভূট্ট্রা চাষে আশানুরুপ ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক।

উপজেলায় উৎপাদিত ভূট্ট্রা চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা হয় বলে জানাগেছে। একাধিক কৃষক জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতা উন্নত জাতের ভূট্ট্রা চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে ভূট্ট্রা ফলন ঘরে তুলতে কৃষক-কৃষানী ব্যস্ত সময় পার করছে।

উপজেলা কৃষি অফিসসুত্রে জানাযায়, চলতি বছর ভূট্ট্রা চাষের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ১৭শত ২০ হেক্টর জমিনে আবাদ করা হয়েছে। এতে ১৮হাজার ৫শত ৭৫ মেঃ টন লক্ষমাত্রা নির্নয় করা হয়েছে। চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকগন সহজে ভূট্ট্রা চাষ করে অন্য ফসলের তুলনায় বেশি আয় করছে।

পলবান্ধা ইউনিয়নের চাষী লিপন মিয়া জানান, মাত্র ৩/৪ মাসের মধ্যে ঘরে তুলতে পারি। ভূট্ট্রা আবাদে দুএকবারের বেশী পানি দিতে হয় না। এছাড়া একবিঘা জমিতে কম সার ও দশ থেকে বার হাজার ভূট্ট্রার চারা রোপন করা যায়। ফলন ভালো তাই তিনি দ্বিগুন লাভের আশা করছেন। একই ইউনিয়নের ভূট্ট্রা চাষি মালেক মন্ডল জানান,অল্প দিনে ভূট্ট্রা তুলা যায়। ভূট্ট্রা আবাদের পর পাট আবাদের চিন্তা করছি।

এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সবসময় খোঁজ খবর রাখে। প্রতিটি গাছে একবা দুইটা করে মোচা ধরে। প্রতি কেজি ভূট্ট্রা ত্রিশ টাকায় বিক্রী করা যায়। এতে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেক এলাকায় ভূট্ট্রা তুলতে কৃষক-কৃষাণী ব্যস্ত সময় পার করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএলএম রেজোয়ান জানান, আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় ভূট্ট্রার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। চলতি বছর এর লক্ষেমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষকদের ভূট্ট্রা দিকে যত্মবান হওয়ার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কমকর্তাগন সব সময় নিয়োজিত আছেন। তাই চলতি বছরে ভূট্ট্রা চাষিরা লাভবান হবে।