র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যক্তি সীমান্তবর্তী দেশ ভারত থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের চোরাইকৃত ভারতীয় কাপড় একটি পিকআপ যোগে বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানাধীন ঘোনার বাড়ী এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২৯ মার্চ ২০২৩ তারিখ সকাল ৯:টার দিকে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ০১টি পিকআপসহ আসামী মোঃ শামীম সাগর (২৩), পিতা- বেলায়েত হোসেন, সাং- দক্ষিণ মটুয়া, থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনীকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে উক্ত পিকআপ তল্লাশী করে আসামীর দখলে থাকা উক্ত পিকআপের পিছনে মালামাল বহন করার জায়গা হতে ০৯ টি পাটের তৈরি চটের বস্তায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৬৪৭ পিস চোরাই ভারতীয় শাড়ি জব্দসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং চোরাকারবারে ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে সীমান্তবর্তী দেশ ভারত হতে অবৈধ উপায়ে চোরাইকৃত ভারতীয় শাড়ি কাপড় সংগ্রহ পূর্বক ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
(খ) ধর্ষিতা ভিকটিম চট্টগ্রাম জেলার রাউজান এলাকায় স্বামী ও ২ সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। ভিকটিদের প্রতিবেশী মোঃ রুবেল এর সাথে ভিকটিমের স্বামীর সুসম্পর্ক ছিল এবং এ সুবাধে রুবেল প্রায়ই ভিকটিমদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত। গত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটের দিকে ভিকটিমের স্বামী কর্মস্থলে চলে গেলে ভিকটিমকে বাড়িতে একা পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসামী রুবেল তার ০৩জন সহযোগীর সহায়তায় ভিকটিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে রুবেল তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্বামী বাড়িতে এসে তার সন্তানদের নিকট জানতে পারেন তার স্ত্রীকে রুবেল এবং তার সহযোগীরা জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এছাড়া অপহরণকারীরা তার ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারও নিয়ে গেছে।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৭/৪৫ তারিখ-০৯ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ ধারাঃ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ এবং র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে বিষয়টি অবহিত করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমের বিষয়টি মানবিকতার সাথে গ্রহণ করতঃ বর্ণিত ধর্ষণ মামলার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে বর্ণিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ রুবেল আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁন্দগাঁও থানাধীন সিএন্ডবি এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৯ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ৬:টার র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রুবেল (৩৭), পিতা- মৃত ঈসমাইল, সাং-জগৎপুর আশ্রম, থানা- রাউজান, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে উক্ত ধর্ষন মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী এবং উক্ত ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃত্ত ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে পৃথক সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।