রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার তালিমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিষয়ক সহকারি শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে মানবন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষক শিক্ষার্থী,সহ স্থানীয় এলাকাববাসী। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর-ফুলবাড়ি আঞ্চলিক মহা সড়কে এক কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয় অবরোধকারীরা তালিমগঞ্জ বাজারের চৌরাস্তা মোড়স্থ প্রতিষ্ঠানের সামনে হত্যার প্ররোচনা কারীদের গ্রেফতারে দাবীতে দেড় ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রেখে মানববন্ধন ও বৃক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুড় ১২.২০ মিনিটে তালিমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শরীর চর্চা বিষয়ের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে প্রতিবেশী কর্তৃক মসজিদের আমগাছ বন্টন নিয়ে হাতাহাতি হয় একপর্যায়ে উক্ত শিক্ষক লজ্জায় খোবে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়,
স্ত্রী আমেনা বেগম অভিযোগের সূত্র থেকে জানা যায়, আন্ধারকোঠার পুরাতন মসজিদ নিয়ে তার স্বামীর সাথে বিরোধ চলে আসছিলো দীর্ঘদিন থেকে। গত ২৬ তারিখে ২৬শে মার্চের অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শেষে বিদ্যালয় থেকে নিজ বাড়িতে আসার সময় তার স্বামীকে দেখতে পাইয়া পুরাতন মসজিদের আম বাগানের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তার স্বামী নতুন ও পুরাতন মসজিদ মিলে আনুপাতিক হারে আম বাগান ভাগ-বাটোয়ারা করার প্রস্তাব দেন ও অনুরোধ করেন। তখন সংশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তার স্বামীকে ভাগ বাটোয়ারা করে দেওয়ার তুই কে?তুই কি গ্রামের মাতব্বর বলে ধাক্কা ধাক্কি ও কিল ঘুশি মারতে থাকেনে এ ঘটনার পর তার স্ত্রী রাত আনুমানিক ১০টার দিকে অজ্ঞাত অটোযোগে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এবং সকালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান বাড়িতে যাওয়ার পর উক্ত শিক্ষক অপমান সহ্য করতে না পেরে ২৭শে মার্চ বাড়ির সকলের অগোচরে বসতবাড়ি থেকে ৫/৬শত গজ দূরে কীটনাশক জাতীয় বিষ পান করে ছটপট করতে থাকেন। পরে তাকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় দুপুড় আনুমানিক ১টায় মারা যান।
খবর পেয়ে মিঠাপুকুর /পীরগঞ্জ ডি সার্কেল ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন বিক্ষিপ্ত জনতা কে শান্ত করেন দি সার্কেল কামরুজ্জামান হ্যান্ড মাইকে জনতার সামনে বলেন এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হবে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে পরবর্তীতে বিক্ষুপ্ত জনতা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন ।লাশ পোস্টমরামের জন্য মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে আসেন সুরতহাল রির্পোটের জন্য পরবর্তীতে ময়না তদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।পরবর্তীতে অভিমানী স্কুল শিক্ষককে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে মিঠাপুকুর থানার অপারেশন ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে মিঠাপুকুর থানার মামলা নাম্বার৩১তাং ২৮/৩/২৩ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।