ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

উপজেলা পরিষদে কর্তৃত্ব হারালেন ইউএনওরা

উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সংক্রান্ত ৩৩ ধারা অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

তারা জানান, এখন থেকে উপজেলা পরিষদে ইউএনওরা সাচিবিক সহায়তা দেবেন। একইসঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারাই উপজেলা পরিষদ পরিচালিত হবে। উপজেলা পরিষদের কোনো কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনের ব্যানারে হবে না।

বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের বাদ দিয়ে ইউএনও কীভাবে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন। আদালতে রিটকারী সংগঠন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের পে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসাম এমএস আজিম।

এর আগে দেশের প্রতিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের ইউএনও-র মতো নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বারের পর এসব আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়। আদালত তার আদেশে উপজেলা পরিষদ ভবনের সাইনবোর্ডে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের পরিবর্তে ‘উপজেলা পরিষদ কার্যালয়’ লেখা সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি একই আদেশে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর ধারা ১৩ (ক), ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

রায়ের পর সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, ৩৩ ধারায় ইউএনওদের একচ্ছত্র মতা দেওয়া ছিল। হাইকোর্ট এটা বাতিল করেছেন। এর ফলে উপজেলায় ইউএনওদের মতা কমলো। ইউএনওকে উপজেলা পরিষদের অধীনে কাজ করতে হবে। উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকার পরেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি মতা দেওয়ায় এই বিধান ছিল সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

উপজেলা পরিষদের আইনের ৩৩ ধারা অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। আর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাই পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য কার্য সম্পাদন করবেন।

রিট আবেদনের পে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

উপজেলা পরিষদে কর্তৃত্ব হারালেন ইউএনওরা

আপডেট সময় ১০:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সংক্রান্ত ৩৩ ধারা অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

তারা জানান, এখন থেকে উপজেলা পরিষদে ইউএনওরা সাচিবিক সহায়তা দেবেন। একইসঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারাই উপজেলা পরিষদ পরিচালিত হবে। উপজেলা পরিষদের কোনো কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনের ব্যানারে হবে না।

বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের বাদ দিয়ে ইউএনও কীভাবে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন। আদালতে রিটকারী সংগঠন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের পে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসাম এমএস আজিম।

এর আগে দেশের প্রতিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের ইউএনও-র মতো নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বারের পর এসব আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়। আদালত তার আদেশে উপজেলা পরিষদ ভবনের সাইনবোর্ডে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের পরিবর্তে ‘উপজেলা পরিষদ কার্যালয়’ লেখা সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি একই আদেশে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর ধারা ১৩ (ক), ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

রায়ের পর সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, ৩৩ ধারায় ইউএনওদের একচ্ছত্র মতা দেওয়া ছিল। হাইকোর্ট এটা বাতিল করেছেন। এর ফলে উপজেলায় ইউএনওদের মতা কমলো। ইউএনওকে উপজেলা পরিষদের অধীনে কাজ করতে হবে। উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকার পরেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি মতা দেওয়ায় এই বিধান ছিল সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

উপজেলা পরিষদের আইনের ৩৩ ধারা অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। আর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাই পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য কার্য সম্পাদন করবেন।

রিট আবেদনের পে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।