সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ৮ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ১৮ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশি ছাড়াও নিহতদের মধ্যে একজন মিশরীয়, একজন ইয়েমেনি ও একজন সুদানের নাগরিক রয়েছেন।
নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল আওয়ালের ছেলে সৌদি প্রবাসী মামুন মিয়া (২৮), নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গির আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। বাস দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। নিহতদের মধ্যে ৩ জনকে শণাক্ত করা হয়েছে, তবে তারা বাংলাদেশি নন। আহতদের সৌদি আরবের বাংলাদেশ মিশন থেকে দেখভাল করা হচ্ছে।
খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ওমরাহ যাত্রী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ মার্চ) ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি ব্রেকফেল করে একটি সেতুতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আসির প্রদেশ ও আভা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারানোয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।
দুর্ঘটনার খবরে সৌদি বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষের দল দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং এলাকাটি ঘিরে ফেলে। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ নিহত ও আহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি