ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

বরগুনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১০, ধর্ষনের চেষ্টা

বরগুনায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের হামলায় আহত হয়েছেন দশজন। এমনটি ঘটনা ঘটেছে বরগুনা সদরের ২নং গৌরীচন্না ইউনিয়নের, খেজুরতলা গ্রামে। বুধবার ২৯ মার্চ ফজরের নামাজের পর হইতে বেলা এগারোটা পর্যন্ত দফায় দফায় মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় আহত হয় দশজন।

আহতরা হলেন, সুরমা , ফাতিমা, রুবি, খাদিজা, ফিরোজা, মনি আক্তার, অমিত মেকার , হালিমা আক্তার সুমি, ইসরাত জাহান সুখি , আহতরা বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে। অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা হলেন ,সোহাগ, সুমন ,সাগর, নাসির, হাবিব, আবু জাফর, ফোরকান , পনু ব্যাপারী আরো অপরিচিত ১৫ /২০ জন ।

স্থানীয়রা বলেন ইতিপূর্বে উচ্চ আদালতের রায় গোপন করে প্রতারনার মাধ্যমে জেলা জজ আদালতে গোপনে মামলা করে প্রতারনার মাধ্যমে নতুন রায় করিয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করে অভিযুক্তরা, এ সংক্রান্ত ব্যাপারে সিআর মামলা নং ২৯/২০২৩ , সিআর মামলা নং ৩০ , সদর থানার মামলা নাম্বার ২৮ /৯১ , ধারায় মামলা হয়। সেই মামলায় আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে আজ ফজরের নামাজের পরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিটি ঘরের মহিলাদেরকে ধর্ষণের উদ্দেশ্য টেনে হেঁচড়ে বের করে , পরনের কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং তাদের গলায় থাকা স্বর্ণ অলংকার ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা । ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ও শ্লীলতাহানির ঘটায়।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, খাজুরতলা গ্রামে কেনা জমির উপর শতাধিক ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছিল ৩ শতাধিক পরিবার। কিন্তু একটি দেওয়ানি মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযানের নির্দেশ দেন বরগুনার সহকারী জজ আদালত। আদালতের নির্দেশে আদালতের নাজির ফারুক আহম্মেদের নেতৃত্বে ও মামলার বাদী পক্ষের শতাধিক লোক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। তবে অভিযান চলাকালেই ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করার আদেশ দেন।

আদালতের নির্দেশ পেয়ে নাজির ফারুক আহম্মেদ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে চলে গেলেও বাদী পক্ষ দুর্বৃত্তদের সহযোগিতায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। আদালতের রায়ে ৬টি ঘর উচ্ছেদের নির্দেশ ছিল। কিন্ত তারা দের শতাধীক বাড়িঘর ভাঙচুড় করে।

যে জমিতে ভাঙচুর করা হয়েছে ১৯৯৫ সালে সেই জমিতে উচ্চ আদালতের রায় রয়েছে কিন্ত ২০২১ সালে জেলা জজ আদালতে গোপনে মামলা করে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে গোপনে তারা একতরফা রায় করিয়ে লুটপাট চালায় অভিযুক্তরা। তবে মারধরের ঘটনা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সোহাগের মা রানী বেগম।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

বরগুনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১০, ধর্ষনের চেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:০৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

বরগুনায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের হামলায় আহত হয়েছেন দশজন। এমনটি ঘটনা ঘটেছে বরগুনা সদরের ২নং গৌরীচন্না ইউনিয়নের, খেজুরতলা গ্রামে। বুধবার ২৯ মার্চ ফজরের নামাজের পর হইতে বেলা এগারোটা পর্যন্ত দফায় দফায় মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় আহত হয় দশজন।

আহতরা হলেন, সুরমা , ফাতিমা, রুবি, খাদিজা, ফিরোজা, মনি আক্তার, অমিত মেকার , হালিমা আক্তার সুমি, ইসরাত জাহান সুখি , আহতরা বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে। অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা হলেন ,সোহাগ, সুমন ,সাগর, নাসির, হাবিব, আবু জাফর, ফোরকান , পনু ব্যাপারী আরো অপরিচিত ১৫ /২০ জন ।

স্থানীয়রা বলেন ইতিপূর্বে উচ্চ আদালতের রায় গোপন করে প্রতারনার মাধ্যমে জেলা জজ আদালতে গোপনে মামলা করে প্রতারনার মাধ্যমে নতুন রায় করিয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করে অভিযুক্তরা, এ সংক্রান্ত ব্যাপারে সিআর মামলা নং ২৯/২০২৩ , সিআর মামলা নং ৩০ , সদর থানার মামলা নাম্বার ২৮ /৯১ , ধারায় মামলা হয়। সেই মামলায় আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে আজ ফজরের নামাজের পরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিটি ঘরের মহিলাদেরকে ধর্ষণের উদ্দেশ্য টেনে হেঁচড়ে বের করে , পরনের কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং তাদের গলায় থাকা স্বর্ণ অলংকার ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা । ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ও শ্লীলতাহানির ঘটায়।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, খাজুরতলা গ্রামে কেনা জমির উপর শতাধিক ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছিল ৩ শতাধিক পরিবার। কিন্তু একটি দেওয়ানি মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযানের নির্দেশ দেন বরগুনার সহকারী জজ আদালত। আদালতের নির্দেশে আদালতের নাজির ফারুক আহম্মেদের নেতৃত্বে ও মামলার বাদী পক্ষের শতাধিক লোক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। তবে অভিযান চলাকালেই ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করার আদেশ দেন।

আদালতের নির্দেশ পেয়ে নাজির ফারুক আহম্মেদ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে চলে গেলেও বাদী পক্ষ দুর্বৃত্তদের সহযোগিতায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। আদালতের রায়ে ৬টি ঘর উচ্ছেদের নির্দেশ ছিল। কিন্ত তারা দের শতাধীক বাড়িঘর ভাঙচুড় করে।

যে জমিতে ভাঙচুর করা হয়েছে ১৯৯৫ সালে সেই জমিতে উচ্চ আদালতের রায় রয়েছে কিন্ত ২০২১ সালে জেলা জজ আদালতে গোপনে মামলা করে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে গোপনে তারা একতরফা রায় করিয়ে লুটপাট চালায় অভিযুক্তরা। তবে মারধরের ঘটনা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সোহাগের মা রানী বেগম।