বরগুনায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের হামলায় আহত হয়েছেন দশজন। এমনটি ঘটনা ঘটেছে বরগুনা সদরের ২নং গৌরীচন্না ইউনিয়নের, খেজুরতলা গ্রামে। বুধবার ২৯ মার্চ ফজরের নামাজের পর হইতে বেলা এগারোটা পর্যন্ত দফায় দফায় মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় আহত হয় দশজন।
আহতরা হলেন, সুরমা , ফাতিমা, রুবি, খাদিজা, ফিরোজা, মনি আক্তার, অমিত মেকার , হালিমা আক্তার সুমি, ইসরাত জাহান সুখি , আহতরা বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে। অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা হলেন ,সোহাগ, সুমন ,সাগর, নাসির, হাবিব, আবু জাফর, ফোরকান , পনু ব্যাপারী আরো অপরিচিত ১৫ /২০ জন ।
স্থানীয়রা বলেন ইতিপূর্বে উচ্চ আদালতের রায় গোপন করে প্রতারনার মাধ্যমে জেলা জজ আদালতে গোপনে মামলা করে প্রতারনার মাধ্যমে নতুন রায় করিয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করে অভিযুক্তরা, এ সংক্রান্ত ব্যাপারে সিআর মামলা নং ২৯/২০২৩ , সিআর মামলা নং ৩০ , সদর থানার মামলা নাম্বার ২৮ /৯১ , ধারায় মামলা হয়। সেই মামলায় আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে আজ ফজরের নামাজের পরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিটি ঘরের মহিলাদেরকে ধর্ষণের উদ্দেশ্য টেনে হেঁচড়ে বের করে , পরনের কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং তাদের গলায় থাকা স্বর্ণ অলংকার ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা । ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ও শ্লীলতাহানির ঘটায়।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, খাজুরতলা গ্রামে কেনা জমির উপর শতাধিক ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছিল ৩ শতাধিক পরিবার। কিন্তু একটি দেওয়ানি মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযানের নির্দেশ দেন বরগুনার সহকারী জজ আদালত। আদালতের নির্দেশে আদালতের নাজির ফারুক আহম্মেদের নেতৃত্বে ও মামলার বাদী পক্ষের শতাধিক লোক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। তবে অভিযান চলাকালেই ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করার আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশ পেয়ে নাজির ফারুক আহম্মেদ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে চলে গেলেও বাদী পক্ষ দুর্বৃত্তদের সহযোগিতায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। আদালতের রায়ে ৬টি ঘর উচ্ছেদের নির্দেশ ছিল। কিন্ত তারা দের শতাধীক বাড়িঘর ভাঙচুড় করে।
যে জমিতে ভাঙচুর করা হয়েছে ১৯৯৫ সালে সেই জমিতে উচ্চ আদালতের রায় রয়েছে কিন্ত ২০২১ সালে জেলা জজ আদালতে গোপনে মামলা করে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে গোপনে তারা একতরফা রায় করিয়ে লুটপাট চালায় অভিযুক্তরা। তবে মারধরের ঘটনা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সোহাগের মা রানী বেগম।