ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

ঝিকরগাছায় বখাটেদের ইভটিজিং এর শিকার, স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

  • জহিরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৫:২২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • ৫৯৮ বার পড়া হয়েছে

যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় স্কুলের কোচিং শেষে বাসায় ফিরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অনি রায় (১৩) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (২৭ মার্চ) আনুমানিক সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি উত্ত্যক্তর শিকার হয়ে তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে পৌর সদরের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার প্রবাসী গৌতম রায়ের মেয়ে এবং ঝিকরগাছা বদরুদ্দীন মুসলিম ( বি এম) হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

নিহতের ভাই অর্ঘ্য রায় জানান, প্রতিদিনের মত আমার বোন স্কুলে কোচিংয়ের জন্য যায়। কোচিং থেকে ফিরে কাউকে কিছু না বলেই নিজের ঘরে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে মৃত্যুর আগে সে তার এক বান্ধবীকে কল দিয়েছিল কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেনি।

অর্ঘ্য দাবি করেন তার বোন স্কুল থেকে ফেরার পথে কিছু বখাটে তাকে উত্ত্যক্ত করে। কয়েকজন তার পিঁছু নিয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী উর্মি নামের এক মেয়ে জানান, নিহত অনি রায় অনেক দ্রুত দৌড়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো আর তিনটা ছেলে তার পিছু পিছু যাচ্ছিলো। এদিকে হাসপাতালে নেয়ার পরে নিহতের ভাই অর্ঘ্যের সাথে তিন যুবকের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অর্ঘ্যর দাবি ওই তিন যুবকই অনি রায়কে উত্ত্যক্ত করতো। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতাল রোড এলাকার জামাল ফার্মেসির মালিকের ছেলে সাকিব। সেও বি.এম হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঝিকরগাছা বি.এম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ জানান, অনি রায় স্কুলে কোচিং করতে এসেছিল। বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে। তাকে কেউ উত্ত্যক্ত করতো কিনা জানা নেই। ওর সহপাঠীদের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঝিকরগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, নিহত অনি রায় নিজ ঘরে মায়ের শাড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এখনো পর্যন্ত উত্ত্যক্ত করার কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্তে উত্ত্যক্ত করার প্রমাণ পেলে অবশ্যই দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। নিহতের ভাই একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া আজ মঙ্গলবার (২৮শে ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ঝিকরগাছায় পৌছালে বখাটে ছেলেদের শাস্তির দাবিতে সহপাঠী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

ঝিকরগাছায় বখাটেদের ইভটিজিং এর শিকার, স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৫:২২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় স্কুলের কোচিং শেষে বাসায় ফিরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অনি রায় (১৩) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (২৭ মার্চ) আনুমানিক সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি উত্ত্যক্তর শিকার হয়ে তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে পৌর সদরের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার প্রবাসী গৌতম রায়ের মেয়ে এবং ঝিকরগাছা বদরুদ্দীন মুসলিম ( বি এম) হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

নিহতের ভাই অর্ঘ্য রায় জানান, প্রতিদিনের মত আমার বোন স্কুলে কোচিংয়ের জন্য যায়। কোচিং থেকে ফিরে কাউকে কিছু না বলেই নিজের ঘরে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে মৃত্যুর আগে সে তার এক বান্ধবীকে কল দিয়েছিল কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেনি।

অর্ঘ্য দাবি করেন তার বোন স্কুল থেকে ফেরার পথে কিছু বখাটে তাকে উত্ত্যক্ত করে। কয়েকজন তার পিঁছু নিয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী উর্মি নামের এক মেয়ে জানান, নিহত অনি রায় অনেক দ্রুত দৌড়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো আর তিনটা ছেলে তার পিছু পিছু যাচ্ছিলো। এদিকে হাসপাতালে নেয়ার পরে নিহতের ভাই অর্ঘ্যের সাথে তিন যুবকের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অর্ঘ্যর দাবি ওই তিন যুবকই অনি রায়কে উত্ত্যক্ত করতো। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতাল রোড এলাকার জামাল ফার্মেসির মালিকের ছেলে সাকিব। সেও বি.এম হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঝিকরগাছা বি.এম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ জানান, অনি রায় স্কুলে কোচিং করতে এসেছিল। বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে। তাকে কেউ উত্ত্যক্ত করতো কিনা জানা নেই। ওর সহপাঠীদের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঝিকরগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, নিহত অনি রায় নিজ ঘরে মায়ের শাড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এখনো পর্যন্ত উত্ত্যক্ত করার কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্তে উত্ত্যক্ত করার প্রমাণ পেলে অবশ্যই দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। নিহতের ভাই একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া আজ মঙ্গলবার (২৮শে ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ঝিকরগাছায় পৌছালে বখাটে ছেলেদের শাস্তির দাবিতে সহপাঠী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।