সন্ধ্যায় রাজধানীর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে প্রতিপাদ্য করে, বিগত বছরে সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিবিধ শাখায় উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতি হিসাবে ২৫ জন আলোকিত নারীকে প্রদান করা হয় ‘ওমেন্স গ্র্যান্ড পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসন- ২১, সুনামগঞ্জ’র সাংসদ অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমান। সভানেত্রী ছিলেন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস আফরোজা বেগম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি শামীমা বলেন, বর্তমান বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারীদের কর্মক্ষেত্র আরও প্রসারিত করতে প্রতিটি নারীকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সমাজ তথা বিশ্ব উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমান বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে এসে নারীদের এখন আর কোনোভাবেই পিছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। নারীরা তাদের মেধা এবং চিন্তা শক্তিকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করে প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ হিসাবে তৈরীর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।
লেখক ও গবেষক সাঈদা নাঈম এর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় আলোকিত নারীদের সম্মানে- রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন কৃতিমান কণ্ঠশিল্পী কল্যাণী বিশ্বাস, ছন্দা রায়, নিবেদিতা হালদার, সাজিদা সোনিয়া খাঁন ইতি ও বৃষ্টি মাসুদ।
এবছর স্বীকৃতি পেলেন যাঁরা, সাংবাদিকতায় তামান্না মুশতারী মৌ, সমাজসেবায় ডা. লীনা রফিক চৌধুরী, অভিনয়ে সৈয়দা কামরুন্নাহার শাহনূর
সাবরিনা সুলতানা কেয়া ও আশনা হাবিব ভাবনা।
নারী উদ্যোক্তা হিসাবে কানিজ ফাতেমা নূরুন নাহার লিলিয়ান , প্রকাশনায় সাঈদা নাঈম, বাচিকশিল্পী শামীমা আক্তার রুনি, কণ্ঠসংগীতে ‘’ডলি সায়ন্তনী’’, শফিকা নাসরিন মিমি, কল্যাণী বিশ্বাস , ’’ছন্দা রায়, নিবেদিতা হালদার ও সাজিদা সোনিয়া খাঁন ইতি’’।
সাহিত্যে আউলিয়া খানম টুলটুল, কাওসার পারভীন, মেহবুবা হক রুমা, নাসরিন আক্তার, সালমা সুলতানা, নদী চৌধুরী, শাবানা ইসলাম বন্যা, সিগমা আউয়াল, বৃষ্টি মাসুদ ও উম্মে হাবিবা মুন্নি।