ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

ভাতা প্রদানে অর্থ আদায়ের অভিযোগ, বাগমারায় তোপের মুখে সমাজসেবা কর্মকর্তা

  • সোহেল রানা
  • আপডেট সময় ০৭:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • ৬০৮ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর বাগমারায় জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের তোপের মুখে পড়েছেন সদ্য যোগদানকৃত সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর লোকজনদের স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপনের জন্য বিভিন্ন প্রকার ভাতার ব্যবস্থা চালু করেছেন। সেই সকল ভাতা প্রাপ্তিতে কোথায় অর্থ দিতে হয় না। যে সকল ব্যক্তি এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য তাদের দোড় গড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন সরকার। বিনামূল্যে ভাতার ব্যবস্থা করলেও টাকা আদায় করছেন সমাজসেবা কর্মকর্তা। টাকা না দিলে কোন ভাতার বইয়ে স্বাক্ষর পর্যন্ত করছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক জনপ্রতিনিধি।

১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বাগমারা উপজেলা। বৃহৎ এই উপজেলায় হাজারো লোকজন সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ভাতা পেয়ে থাকে। নতুন নতুন ভাতার পাশাপাশি মৃত ভাতা ভোগীর নাম পরিবর্তন করে সেখানে অন্য ব্যক্তির নাম সংযোজন করা হয়ে থাকে। সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান সম্প্রতি বাগমারায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই নতুন প্রতিবন্ধী এবং মৃত ব্যক্তির নামের স্থানে অন্য ব্যক্তির নাম সংযোজন করতে চেয়ারম্যানদের নিকটে টাকা দাবী করছেন। প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রে ২ হাজার এবং নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা।

সোমবার উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ভাতা প্রদানে টাকা দাবীর ঘটনা নিয়ে সরাসরি অভিযোগ তুলেন বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানদের দাবী নতুন প্রতিবন্ধী এবং মৃত ব্যক্তির নাম পরিবর্তনে টাকা প্রদান না করলে স্বাক্ষর প্রদান করবেন না বলে জানিয়েছেন। চেয়ারম্যানরা আরো বলেন আমরা কোন ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা নেয়া হয় না। তাহলে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে কোথায় থেকে টাকা দিবো। সরকারী সেবা নিতে এখন আর টাকা দিতে হয় না।

অর্থ আদায়ের ঘটনায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। সেই সাথে তিনি বলেন নিয়মের বাইরে আমি কোন কাজ করতে পারবো না। তাই চেয়ারম্যানগণ আমার বিরুদ্ধে সমন্বয় সভায় অভিযোগ তুলেন।

চেয়ারম্যানদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরাসরি চেয়ারম্যানরা অভিযোগ করেছেন। সরকারী ভাতা প্রদানে কেন টাকা দিতে হবে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাজসেবা কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করলে তিনি কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি। তিনি আরো বলেন, বাগমারায় চাকরী করতে হলে কোন অবৈধ পথে যাওয়ার সুযোগ নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, এফ,এম, আবু সুফিয়ান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তার বিষয়ে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ অভিযোগ তুলেছিলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি যদি সেবার বিনিময়ে অন্য কিছু দাবী করেন সেটা ঠিক হয়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

ভাতা প্রদানে অর্থ আদায়ের অভিযোগ, বাগমারায় তোপের মুখে সমাজসেবা কর্মকর্তা

আপডেট সময় ০৭:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

রাজশাহীর বাগমারায় জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের তোপের মুখে পড়েছেন সদ্য যোগদানকৃত সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর লোকজনদের স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপনের জন্য বিভিন্ন প্রকার ভাতার ব্যবস্থা চালু করেছেন। সেই সকল ভাতা প্রাপ্তিতে কোথায় অর্থ দিতে হয় না। যে সকল ব্যক্তি এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য তাদের দোড় গড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন সরকার। বিনামূল্যে ভাতার ব্যবস্থা করলেও টাকা আদায় করছেন সমাজসেবা কর্মকর্তা। টাকা না দিলে কোন ভাতার বইয়ে স্বাক্ষর পর্যন্ত করছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক জনপ্রতিনিধি।

১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বাগমারা উপজেলা। বৃহৎ এই উপজেলায় হাজারো লোকজন সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ভাতা পেয়ে থাকে। নতুন নতুন ভাতার পাশাপাশি মৃত ভাতা ভোগীর নাম পরিবর্তন করে সেখানে অন্য ব্যক্তির নাম সংযোজন করা হয়ে থাকে। সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান সম্প্রতি বাগমারায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই নতুন প্রতিবন্ধী এবং মৃত ব্যক্তির নামের স্থানে অন্য ব্যক্তির নাম সংযোজন করতে চেয়ারম্যানদের নিকটে টাকা দাবী করছেন। প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রে ২ হাজার এবং নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা।

সোমবার উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ভাতা প্রদানে টাকা দাবীর ঘটনা নিয়ে সরাসরি অভিযোগ তুলেন বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানদের দাবী নতুন প্রতিবন্ধী এবং মৃত ব্যক্তির নাম পরিবর্তনে টাকা প্রদান না করলে স্বাক্ষর প্রদান করবেন না বলে জানিয়েছেন। চেয়ারম্যানরা আরো বলেন আমরা কোন ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা নেয়া হয় না। তাহলে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে কোথায় থেকে টাকা দিবো। সরকারী সেবা নিতে এখন আর টাকা দিতে হয় না।

অর্থ আদায়ের ঘটনায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। সেই সাথে তিনি বলেন নিয়মের বাইরে আমি কোন কাজ করতে পারবো না। তাই চেয়ারম্যানগণ আমার বিরুদ্ধে সমন্বয় সভায় অভিযোগ তুলেন।

চেয়ারম্যানদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরাসরি চেয়ারম্যানরা অভিযোগ করেছেন। সরকারী ভাতা প্রদানে কেন টাকা দিতে হবে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাজসেবা কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করলে তিনি কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি। তিনি আরো বলেন, বাগমারায় চাকরী করতে হলে কোন অবৈধ পথে যাওয়ার সুযোগ নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, এফ,এম, আবু সুফিয়ান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তার বিষয়ে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ অভিযোগ তুলেছিলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি যদি সেবার বিনিময়ে অন্য কিছু দাবী করেন সেটা ঠিক হয়নি।