ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

দেশে সরকার আছে তা বাজারে গেলে মনে হয় না

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দেশ চালাতে পারছে না। বাজারের আগুনে প্রতিদিন কোটি-কোটি মানুষ পুড়ে মরছে। দেশে সরকার আছে, বাজারে গেলে সেটি মনে হয় না। ক্ষমতায় থাকতে ভোটের দরকার নেই, তাই সরকার যা খুশি, তাই করে দেশকে গজবের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন মানুষের মনে দুশ্চিন্তা, তাহলে কি ৭৪’র মতো দুর্ভিক্ষ হবে? বাজারে গেলে দেখবেন, টাকা দিলেই পণ্য পাচ্ছেন। তার মানে আমাদের উৎপাদন ঠিক আছে। সমস্যাটা হলো মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। গত ৮ মাসে ৪০-৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে এসেছে।

সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১০০টা কথা বললে ৯৫টা কথা মিথ্যা বলে। দেশ সামাল না দিতে পারলে কেন ক্ষমতায় আছেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মানুষ বেহেশতে আছে। এটা মোটেই বেফাঁস কথা নয়। বেহেশতে তারা আছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বেহেশতে আছেন।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার বিদেশের দোহাই দেয় নিজেদের চুরি ঢাকার জন্য। আজ তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিন বিদেশ থেকে আসার পর যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা শুনে মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী বছর নাকি দুর্ভিক্ষ হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে এ কথা বললে, তার ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই৷ তার বক্তব্যে সিন্ডিকেট, মজুতদার ব্যবসায়ীরা মজুত করবে।

তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশে নাকি ভিক্ষা নেওয়ার মানুষ নেই। এই কথা কি সত্য? তথ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি ভুল-ভাল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। গাইবান্ধার নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সিসিটিভিতে দেখা গেছে কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চুরি করেছে। সিইসি নিজে বলেছেন এরা ডাকাত, এরা দুর্বৃত্ত। আর কিছু আছে? যে নির্বাচন কমিশন একটা উপ-নির্বাচন করতে পারে না, কিভাবে তারা এত বড় জাতীয় নির্বাচন করবে? সুতরাং, নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষ ২০১৮ সালের মতো আর কোনো ব্যর্থ নির্বাচন দেখতে চায় না।

আওয়ামী লীগের সাথে সংলাপে না বসা নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব দলের সাথে তারা সংলাপে বসবে। আমরা বলব দুটি বিষয়ে সরকারের সাথে আলাপ আছে। প্রথমটি হলো কিভাবে পদত্যাগ করবে? দ্বিতীয়টি হলো কিভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দেবে? এই সুযোগ এখনও আছে। সরকার যদি এই সুযোগ হারিয়ে ফেলে, এবারের তামাশার নির্বাচনে কোনো বিরোধীদল যাবে না। তখন গলায় গামছা লাগিয়ে এই সরকারকে বিদায় দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি আকবর খান। এতে বক্তব্য রাখেন বহ্নি শিখা জামালী, অরবিন্দু ব্যাপারী বিন্দু, আবুল কালাম আজাদ, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, ড. শামসুল হক প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

দেশে সরকার আছে তা বাজারে গেলে মনে হয় না

আপডেট সময় ১১:৪৮:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দেশ চালাতে পারছে না। বাজারের আগুনে প্রতিদিন কোটি-কোটি মানুষ পুড়ে মরছে। দেশে সরকার আছে, বাজারে গেলে সেটি মনে হয় না। ক্ষমতায় থাকতে ভোটের দরকার নেই, তাই সরকার যা খুশি, তাই করে দেশকে গজবের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন মানুষের মনে দুশ্চিন্তা, তাহলে কি ৭৪’র মতো দুর্ভিক্ষ হবে? বাজারে গেলে দেখবেন, টাকা দিলেই পণ্য পাচ্ছেন। তার মানে আমাদের উৎপাদন ঠিক আছে। সমস্যাটা হলো মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। গত ৮ মাসে ৪০-৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে এসেছে।

সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১০০টা কথা বললে ৯৫টা কথা মিথ্যা বলে। দেশ সামাল না দিতে পারলে কেন ক্ষমতায় আছেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মানুষ বেহেশতে আছে। এটা মোটেই বেফাঁস কথা নয়। বেহেশতে তারা আছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বেহেশতে আছেন।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার বিদেশের দোহাই দেয় নিজেদের চুরি ঢাকার জন্য। আজ তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিন বিদেশ থেকে আসার পর যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা শুনে মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী বছর নাকি দুর্ভিক্ষ হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে এ কথা বললে, তার ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই৷ তার বক্তব্যে সিন্ডিকেট, মজুতদার ব্যবসায়ীরা মজুত করবে।

তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশে নাকি ভিক্ষা নেওয়ার মানুষ নেই। এই কথা কি সত্য? তথ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি ভুল-ভাল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। গাইবান্ধার নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সিসিটিভিতে দেখা গেছে কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চুরি করেছে। সিইসি নিজে বলেছেন এরা ডাকাত, এরা দুর্বৃত্ত। আর কিছু আছে? যে নির্বাচন কমিশন একটা উপ-নির্বাচন করতে পারে না, কিভাবে তারা এত বড় জাতীয় নির্বাচন করবে? সুতরাং, নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষ ২০১৮ সালের মতো আর কোনো ব্যর্থ নির্বাচন দেখতে চায় না।

আওয়ামী লীগের সাথে সংলাপে না বসা নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব দলের সাথে তারা সংলাপে বসবে। আমরা বলব দুটি বিষয়ে সরকারের সাথে আলাপ আছে। প্রথমটি হলো কিভাবে পদত্যাগ করবে? দ্বিতীয়টি হলো কিভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দেবে? এই সুযোগ এখনও আছে। সরকার যদি এই সুযোগ হারিয়ে ফেলে, এবারের তামাশার নির্বাচনে কোনো বিরোধীদল যাবে না। তখন গলায় গামছা লাগিয়ে এই সরকারকে বিদায় দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি আকবর খান। এতে বক্তব্য রাখেন বহ্নি শিখা জামালী, অরবিন্দু ব্যাপারী বিন্দু, আবুল কালাম আজাদ, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, ড. শামসুল হক প্রমুখ।