ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশকে ২২৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জার্মানি দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন জামায়াত সেক্রেটারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক বীজ রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমান গুজবে কান দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি না করার আহবান জাবিতে ছাত্রদলের দুগ্রুপে উত্তেজনা, বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন, স্ত্রী প্রেমিকসহ ৩ জনের ফাঁসি নিটওয়্যার উদ্ভাবন ও সহযোগিতায় সিজিং ‘বাংলাদেশ নাইট’ ১১১ নারীকে ধর্ষণ–যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ধনকুবের ফায়েদ ইসকন ও আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

নয়াদিল্লিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান রোববার (২৬ মার্চ) সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে হাইকমিশনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

বক্তব্যের শুরুতে হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সকলকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সার্বিক মুক্তির মধ্য দিয়ে একটি উদার, উন্নত, অবদানক্ষম, সমতাভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। সেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সম্মিলিত শপথ ও অঙ্গীকারকে আরও শাণিত করতে হবে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপম আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে শামিল হতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবুল কালাম আজাদ দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রোববার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামী ২৮ মার্চ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বিশেষ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে

নয়াদিল্লিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

আপডেট সময় ১২:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান রোববার (২৬ মার্চ) সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে হাইকমিশনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

বক্তব্যের শুরুতে হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সকলকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সার্বিক মুক্তির মধ্য দিয়ে একটি উদার, উন্নত, অবদানক্ষম, সমতাভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। সেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সম্মিলিত শপথ ও অঙ্গীকারকে আরও শাণিত করতে হবে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপম আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে শামিল হতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবুল কালাম আজাদ দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রোববার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামী ২৮ মার্চ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বিশেষ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।