ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল

নয়াদিল্লিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান রোববার (২৬ মার্চ) সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে হাইকমিশনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

বক্তব্যের শুরুতে হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সকলকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সার্বিক মুক্তির মধ্য দিয়ে একটি উদার, উন্নত, অবদানক্ষম, সমতাভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। সেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সম্মিলিত শপথ ও অঙ্গীকারকে আরও শাণিত করতে হবে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপম আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে শামিল হতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবুল কালাম আজাদ দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রোববার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামী ২৮ মার্চ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বিশেষ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নয়াদিল্লিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

আপডেট সময় ১২:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান রোববার (২৬ মার্চ) সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে হাইকমিশনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

বক্তব্যের শুরুতে হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সকলকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সার্বিক মুক্তির মধ্য দিয়ে একটি উদার, উন্নত, অবদানক্ষম, সমতাভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। সেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সম্মিলিত শপথ ও অঙ্গীকারকে আরও শাণিত করতে হবে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপম আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে শামিল হতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবুল কালাম আজাদ দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রোববার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামী ২৮ মার্চ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বিশেষ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।