ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আইন মেনেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে: আইজিপি

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশ আইন মেনেই সম্প্রতি বনানীর একটি রেঁস্তোরায় খাওয়া এবং গোপন বৈঠক করার সময় বিএনপির ৫৪ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বনানীতে কী ধরনের সন্ত্রাস বিরোধী কাজ করেছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের আইজিপি বলেন, আপনি এফআইআর দেখলে বুঝতে পারবেন যে কী ধরনের মামলা হয়েছে। এরপরও এটার বিষয়ে তদন্ত হবে, তদন্তের পরে আমরা এটা দেখে ব্যবস্থা নেব।

আইজিপি আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া কী কাউকে গ্রেফতার করা যায় না পুলিশ যা করেছে আইন মেনেই করেছে। বাংলাদেশে আইন মেনেই সব করছে পুলিশ।

আইজিপি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খান হত্যা মামলায় পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে, তাকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।

আইজিপি বলেন, আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।
আলোচিত সোনা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম দুবাইতে আটকের কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই।

আইজিপি বলেন, আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।

বিএনপি দাবি করেছে, বিরোধী দলকে বাধা দিতেই এভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, এমনটি নয়, মামলার কপি দেখলেই সব পরিষ্কার হবে।

১৯ মার্চ দিবাগত রাত ১ টার দিকে রাজধানীর বনানী ক্লাবে গোপন বৈঠক করার সময় বিএনপির ৫৪ জন নেতাকর্মী আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বনানী- থানা পুলিশ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ইন্টারপোলের যোগাযোগ রয়েছে।

পুলিশ বলছে, আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় রবিউল ইসলামের নাম আসে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি।

জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম নিজের নাম, জাতীয়তা পরিবর্তন করে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। এ পাসপোর্টেই পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। দুবাই পাড়ি জমিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আলাদিনের চেরাগ’। দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। মূলত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিউল ইসলাম। তবে, ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন আরাভ খান।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান খুনের মামলার আসামি দুবাইয়ে থাকা রবিউল ইসলাম। ইন্সপেক্টর মামুন খুন হন ২০১৮ সালের ৮ জুলাই। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তার দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে ডিএমপির বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইন্সপেক্টর মামুন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি ১০ জন। এদের মধ্যে দুজন কিশোরী। রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। মামুন হত্যার ঘটনায় মরদেহ গোপন করতে সহায়তা করেছেন রবিউল। খুনে সরাসরি জড়িতরাও রবিউলের সহযোগী। রবিউলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। মামলাটিতে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়াও।

সূত্র আরো বলছে, এ মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন আসামি রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দীদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩)। উচ্চ আদালত মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন। যদিও সে মামলা এখনও ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও গত এক বছরে দুবার দেশে এসেছিলেন আরাভ খান। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একবারও তিনি গ্রেপ্তার হননি। দেশে এসে ঘুরেফিরে আর ফেসবুকে লাইভ করে আবার নিরাপদে দুবাই ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।

জড়িতরাও রবিউলের সহযোগী। রবিউলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। মামলাটিতে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়াও।

মামলা ও গোয়েন্দা সূ্ত্র বলছে, এ মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন আসামি রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দীদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩)। উচ্চ আদালত মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন। যদিও সে মামলা এখনও ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও গত এক বছরে দুবার দেশে এসেছিলেন আরাভ খান। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একবারও তিনি গ্রেপ্তার হননি। দেশে এসে ঘুরেফিরে আর ফেসবুকে লাইভ করে আবার নিরাপদে দুবাই ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

আইন মেনেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে: আইজিপি

আপডেট সময় ০৪:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশ আইন মেনেই সম্প্রতি বনানীর একটি রেঁস্তোরায় খাওয়া এবং গোপন বৈঠক করার সময় বিএনপির ৫৪ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বনানীতে কী ধরনের সন্ত্রাস বিরোধী কাজ করেছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের আইজিপি বলেন, আপনি এফআইআর দেখলে বুঝতে পারবেন যে কী ধরনের মামলা হয়েছে। এরপরও এটার বিষয়ে তদন্ত হবে, তদন্তের পরে আমরা এটা দেখে ব্যবস্থা নেব।

আইজিপি আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া কী কাউকে গ্রেফতার করা যায় না পুলিশ যা করেছে আইন মেনেই করেছে। বাংলাদেশে আইন মেনেই সব করছে পুলিশ।

আইজিপি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খান হত্যা মামলায় পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে, তাকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।

আইজিপি বলেন, আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।
আলোচিত সোনা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম দুবাইতে আটকের কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই।

আইজিপি বলেন, আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।

বিএনপি দাবি করেছে, বিরোধী দলকে বাধা দিতেই এভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, এমনটি নয়, মামলার কপি দেখলেই সব পরিষ্কার হবে।

১৯ মার্চ দিবাগত রাত ১ টার দিকে রাজধানীর বনানী ক্লাবে গোপন বৈঠক করার সময় বিএনপির ৫৪ জন নেতাকর্মী আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বনানী- থানা পুলিশ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ইন্টারপোলের যোগাযোগ রয়েছে।

পুলিশ বলছে, আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় রবিউল ইসলামের নাম আসে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি।

জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম নিজের নাম, জাতীয়তা পরিবর্তন করে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। এ পাসপোর্টেই পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। দুবাই পাড়ি জমিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আলাদিনের চেরাগ’। দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। মূলত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিউল ইসলাম। তবে, ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন আরাভ খান।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান খুনের মামলার আসামি দুবাইয়ে থাকা রবিউল ইসলাম। ইন্সপেক্টর মামুন খুন হন ২০১৮ সালের ৮ জুলাই। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তার দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে ডিএমপির বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইন্সপেক্টর মামুন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি ১০ জন। এদের মধ্যে দুজন কিশোরী। রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। মামুন হত্যার ঘটনায় মরদেহ গোপন করতে সহায়তা করেছেন রবিউল। খুনে সরাসরি জড়িতরাও রবিউলের সহযোগী। রবিউলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। মামলাটিতে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়াও।

সূত্র আরো বলছে, এ মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন আসামি রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দীদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩)। উচ্চ আদালত মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন। যদিও সে মামলা এখনও ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও গত এক বছরে দুবার দেশে এসেছিলেন আরাভ খান। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একবারও তিনি গ্রেপ্তার হননি। দেশে এসে ঘুরেফিরে আর ফেসবুকে লাইভ করে আবার নিরাপদে দুবাই ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।

জড়িতরাও রবিউলের সহযোগী। রবিউলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। মামলাটিতে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়াও।

মামলা ও গোয়েন্দা সূ্ত্র বলছে, এ মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন আসামি রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দীদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩)। উচ্চ আদালত মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন। যদিও সে মামলা এখনও ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও গত এক বছরে দুবার দেশে এসেছিলেন আরাভ খান। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একবারও তিনি গ্রেপ্তার হননি। দেশে এসে ঘুরেফিরে আর ফেসবুকে লাইভ করে আবার নিরাপদে দুবাই ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।