ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশকে ২২৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জার্মানি দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন জামায়াত সেক্রেটারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক বীজ রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমান গুজবে কান দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি না করার আহবান জাবিতে ছাত্রদলের দুগ্রুপে উত্তেজনা, বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন, স্ত্রী প্রেমিকসহ ৩ জনের ফাঁসি নিটওয়্যার উদ্ভাবন ও সহযোগিতায় সিজিং ‘বাংলাদেশ নাইট’ ১১১ নারীকে ধর্ষণ–যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ধনকুবের ফায়েদ ইসকন ও আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট

‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক প্রকাশিত প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন।

শনিবার (২৫ মার্চ) ডিআরইউতে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন বিষয়ক’ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আবেদ আলী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে যে দুইটি সংগঠন ও ব্যক্তিদের সূত্র উল্লেখ করা হয়েছে তারা অনিবন্ধিত এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নয়। দুইটি সংগঠনের একটি ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের সমাবেশে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে যে তথ্য দিয়েছিল তা বিভ্রান্তিমূলক। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রতিবেদনে যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে তা যথাযথ নয়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগের যোগ্যতা ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে দেশের গণতন্ত্রকে ত্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের কোনো দেশের গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ত্রুটিহীন নয়। বেশকিছু নাগরিক সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশন আইন করেছে, যা পূর্বে ছিল না। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে বেশ কিছু নির্বাচনে তাদের নিরপেক্ষতা, যোগ্যতা ও সাহসিকতার প্রমাণ দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ নিয়ে প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে আইনটির আপত্তিকর ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিতপূর্বক সত্যতা যাচাই ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার দরকার ছিল। তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে উল্লেখিত ইস্যুতে সরকারের বিবেচনা ও যথাযথ পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার জেনারেল শাহাদাত হোসেন, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক ইকবাল বাহার প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট

আপডেট সময় ১২:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক প্রকাশিত প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন।

শনিবার (২৫ মার্চ) ডিআরইউতে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন বিষয়ক’ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আবেদ আলী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে যে দুইটি সংগঠন ও ব্যক্তিদের সূত্র উল্লেখ করা হয়েছে তারা অনিবন্ধিত এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নয়। দুইটি সংগঠনের একটি ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের সমাবেশে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে যে তথ্য দিয়েছিল তা বিভ্রান্তিমূলক। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রতিবেদনে যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে তা যথাযথ নয়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগের যোগ্যতা ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে দেশের গণতন্ত্রকে ত্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের কোনো দেশের গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ত্রুটিহীন নয়। বেশকিছু নাগরিক সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশন আইন করেছে, যা পূর্বে ছিল না। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে বেশ কিছু নির্বাচনে তাদের নিরপেক্ষতা, যোগ্যতা ও সাহসিকতার প্রমাণ দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ নিয়ে প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে আইনটির আপত্তিকর ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিতপূর্বক সত্যতা যাচাই ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার দরকার ছিল। তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে উল্লেখিত ইস্যুতে সরকারের বিবেচনা ও যথাযথ পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার জেনারেল শাহাদাত হোসেন, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক ইকবাল বাহার প্রমুখ।