ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল

জাপানে গণহত্যা দিবস পালন

যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে শনিবার (২৫ মার্চ) ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।

‌টো‌কিওর বাংলা‌দেশ দূতাবাস জানায়, দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে কালো ব্যাজ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।

পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণকারী তার পরিবারের সদস্যসহ ২৫ মার্চ কালরাতে ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের নাম জানা-অজানা ৩০ লাখ শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া দিবসটি স্মরণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ প্রথমেই ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের ভয়ঙ্কর কাল রাতে পাকিস্তানি হানাদারদের ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত আক্রমণে যে সব বীর বাঙালি শাহাদত বরণকরেছিলেন তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্ নেসা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা , সব শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে যাদের চরম ত্যাগের বিনিমেয় নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র লড়াই করে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।

তিনি বলেন, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত এ পাকিস্তানের দখলদার শাসকদ্বারা সংগঠিত এ গণহত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ঢাকাসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতে বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতারা, ছাত্র ও স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অসহযোগ আন্দোলনকে কঠোর হস্তে দমন করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।

রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা গণহত্যা দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। বক্তারা বিশ্বের সচেতন নাগরিকদের বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে এবং গণহত্যাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শেষে গণহত্যা দিবসের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জাপানে গণহত্যা দিবস পালন

আপডেট সময় ১২:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে শনিবার (২৫ মার্চ) ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।

‌টো‌কিওর বাংলা‌দেশ দূতাবাস জানায়, দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে কালো ব্যাজ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।

পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণকারী তার পরিবারের সদস্যসহ ২৫ মার্চ কালরাতে ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের নাম জানা-অজানা ৩০ লাখ শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া দিবসটি স্মরণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ প্রথমেই ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের ভয়ঙ্কর কাল রাতে পাকিস্তানি হানাদারদের ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত আক্রমণে যে সব বীর বাঙালি শাহাদত বরণকরেছিলেন তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্ নেসা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা , সব শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে যাদের চরম ত্যাগের বিনিমেয় নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র লড়াই করে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।

তিনি বলেন, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত এ পাকিস্তানের দখলদার শাসকদ্বারা সংগঠিত এ গণহত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ঢাকাসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতে বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতারা, ছাত্র ও স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অসহযোগ আন্দোলনকে কঠোর হস্তে দমন করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।

রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা গণহত্যা দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। বক্তারা বিশ্বের সচেতন নাগরিকদের বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে এবং গণহত্যাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শেষে গণহত্যা দিবসের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।