ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সিংড়ায় রাস্তার নির্মাণ কাজের ধীরগতি,শ্রমিক অফিসে উল্টে পড়ল ট্রাক

নাটোরের সিংড়া উপজেলার জামতলি-রানীহাট রাস্তার নির্মাণাধীন কাজের ধীর গতির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। আর এ ধীর গতির ফলে প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজট ও ধুলিবালি সহ যানবাহন দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যাবসায়ীদের।অবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের আহব্বান জানিয়েছেন তারা।

২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিনগ্রাম বাজার এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালবাহী একটি ট্রাক নির্মাণাধীন রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উল্টে স্থানীয় শ্রমিক অফিসের উপর পরে যায়। এতে গাড়ির চালক ও হেলপার আহত হলেও পথচারীর বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে ট্রাক উল্টে যাওয়ায় শ্রমিক অফিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন।

দুর্ঘটনাবশত ট্রাক রাস্তার উপর পরে থাকায় রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি বৃষ্টির পানি জমে রাস্তার উপর খানাখন্দে পরিণত হওয়ার এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে। গর্তগুলো ভরাটে সড়ক বিভাগকে বারবার তাগিত দেওয়া হলেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান অনেকেই।

প্রায় আট ঘন্টা পর রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলেও মালামাল রাস্তার উপরে থাকায় যানজট মুক্ত হতে আরো কিছু সময় লাগবে। ফলে কয়েক ঘন্টা যাত্রী ও ব্যাবসাহীদের দুর্ভোগ পহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যাবসাহী আরিফুল ইসলাম আরিপ বলেন, তিন মাস আগে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি। এছাড়াও বেশ কিছুদিন আগে রাস্তার একপাশ দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ ধীরগতিতে হওয়ার ফলে গাড়ি চলাচলে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জানজটের সৃষ্টি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, রাস্তার কাজ একমাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন পর্যন্ত শেষ হচ্চেনা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ করতে এসে বেশিরভাগ সময় বসে থাকে। কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, কন্টাক্টার বালি,সিমেন্ট,পাথর না দিলে কাজ করবো কিভাবে। আমরা চাই পলক ভাই এখানে এসে দেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে নির্দেশ দিক যাতে রাস্তার কাজ দ্রত শেষ হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জে,এস,এম, সি এর স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী জানান চলমান কাজ শেষ হতে আরো দেড় দুমাস সময় লাগবে। দূর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সে এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

সিংড়ায় রাস্তার নির্মাণ কাজের ধীরগতি,শ্রমিক অফিসে উল্টে পড়ল ট্রাক

আপডেট সময় ০৭:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

নাটোরের সিংড়া উপজেলার জামতলি-রানীহাট রাস্তার নির্মাণাধীন কাজের ধীর গতির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। আর এ ধীর গতির ফলে প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজট ও ধুলিবালি সহ যানবাহন দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যাবসায়ীদের।অবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের আহব্বান জানিয়েছেন তারা।

২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিনগ্রাম বাজার এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালবাহী একটি ট্রাক নির্মাণাধীন রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উল্টে স্থানীয় শ্রমিক অফিসের উপর পরে যায়। এতে গাড়ির চালক ও হেলপার আহত হলেও পথচারীর বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে ট্রাক উল্টে যাওয়ায় শ্রমিক অফিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন।

দুর্ঘটনাবশত ট্রাক রাস্তার উপর পরে থাকায় রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি বৃষ্টির পানি জমে রাস্তার উপর খানাখন্দে পরিণত হওয়ার এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে। গর্তগুলো ভরাটে সড়ক বিভাগকে বারবার তাগিত দেওয়া হলেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান অনেকেই।

প্রায় আট ঘন্টা পর রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলেও মালামাল রাস্তার উপরে থাকায় যানজট মুক্ত হতে আরো কিছু সময় লাগবে। ফলে কয়েক ঘন্টা যাত্রী ও ব্যাবসাহীদের দুর্ভোগ পহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যাবসাহী আরিফুল ইসলাম আরিপ বলেন, তিন মাস আগে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি। এছাড়াও বেশ কিছুদিন আগে রাস্তার একপাশ দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ ধীরগতিতে হওয়ার ফলে গাড়ি চলাচলে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জানজটের সৃষ্টি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, রাস্তার কাজ একমাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন পর্যন্ত শেষ হচ্চেনা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ করতে এসে বেশিরভাগ সময় বসে থাকে। কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, কন্টাক্টার বালি,সিমেন্ট,পাথর না দিলে কাজ করবো কিভাবে। আমরা চাই পলক ভাই এখানে এসে দেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে নির্দেশ দিক যাতে রাস্তার কাজ দ্রত শেষ হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জে,এস,এম, সি এর স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী জানান চলমান কাজ শেষ হতে আরো দেড় দুমাস সময় লাগবে। দূর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সে এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।