ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কৃষিজমি বাঁচিয়ে মডেল ভিলেজ গড়ে তোলার ব্যতিক্রমী কারিগর লিয়াকত

  • রুবিনা শেখ
  • আপডেট সময় ১২:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ৬৪৪ বার পড়া হয়েছে

পাবনা-নগরবাড়ী মহাসড়কে কাশীনাথপুর মোড় থেকে নগরবাড়ীর দিকে প্রায় আধা কিমি দূরে সড়কের পাশে বেড়া উপজেলার শিবপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে এলকে মডেল টাউন’। কৃষিজমি বাঁচিয়ে মডেল ভিলেজ গড়ে তোলার এ ব্যতিক্রমী কারিগর লিয়াকত আলীর এ মডেল টাউনে প্লট ও ফ্ল্যাটের দাম হাতের নাগালের মধ্যে না উপজেলা সদর, না ইউনিয়ন সদর অথচ এখানে আধুনিক নাগরিক জীবনের সব সুবিধাই বিদ্যমান। তাই এখানে প্লট-ফ্ল্যাট কিনছেন সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন-মধ্যবিত্তরাও।

এমন অসাধ্য সাধন করা মানুষটি না কোনো প্রকৌশলী না শিক্ষক ছিলেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তবে তার রয়েছে দেশ নিয়ে ভাবনা ও কিছু স্বপ্ন স্বপ্ন তার পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা, গ্রামের মানুষকে নগরায়নের সুবিধা দেয়া স্বপ্নিল মানুষ লিয়াকত আলীর সৃজনশীলতাই তাকে বানিয়ে দিয়েছে একজন নগরবিদ! প্রচুর পরিমাণ জমি নষ্ট হচ্ছে। নদীনালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, পুকুর-গাছপালা, বনবাদাড়, তরু, লতাগুল্ম, দিগন্তবিস্তৃত মাঠ, ক্ষেতখামার, বনবীথি সব নষ্ট হচ্ছে। দেশ হয়ে পড়ছে রুক্ষ, প্রাকৃতিক বৈচিত্রাহীন, মরুভূমি প্রতিম এক দেশ। আমরা চরম সংকটের দিকে এগিয়ে চলেছি। এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তিনি একদিকে কৃষিজমি বাঁচানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন অন্যদিকে গৃহহীনদের জন্য পরিকল্পিত আবাসনের ব্যবস্থা করছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছেন- প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। এতে লিয়াকত আলীর স্বপ্নপূরণ হয়েছে বলে তিনি জানান। কারণ তিনি এ স্বপ্নই দেখে লিয়াকত আলী পরিশ্রম, মেধা ও ত্যাগ স্বীকার করে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এস কে রিয়েল এস্টেট লি. তথা ৪৩ বিঘা আয়তনের মডেল টাউন।

২০০৭ সালে শুরু হয় লিয়াকত আলীর স্বপ্নজয়ের যুদ্ধ। শিবপুর গ্রামে নিজের মাত্র দেড় একর জমি নিয়ে শুরু করেন এলকে রিয়েল এস্টেট লি. নামে একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে ৫টি ৪তলা, আর ২টি ৫তলা ভবন। প্রত্যেকটি ভবনে এ ২২টি ইউনিট আছে। তিনি তার মডেল টাউনের একটি ইউনিট প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজতাস্বরূপ উপহার দিতে চান।

কেন তিনি উপহার দিতে চান এ প্রসঙ্গে বলেন, সারাদেশে হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ন। অপরিকল্পিতভাবে চলছে জমির ব্যবহার। যেখানে- সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার দোকানসহ বিভিন্ন রকমের স্থাপনা। হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ন জলাধার, বন ইত্যাদি রক্ষায় আইন ও নীতিমালা থাকলেও মনিটরিংয়ের অভাবে এর তোয়াক্বা করছেন না কেউ! দেশে ভূমি ব্যবহারের সমন্বিত পরিকল্পনা নেই। অপরিকল্পিত বাসভবন ও স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্লট উপহার দিতে চান প্রধানমন্ত্রীকে চলেছেন গত এক যুগ ধরে। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম গ্রামের মধ্যে শহর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন এবং সফল হন।

গ্রাম হবে শহর’- এ প্রসঙ্গে লিয়াকত আলীর রয়েছে নানা পরামর্শ নানা অভিমত। কিছু বিষয় নিয়ে তিনি ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন তিনি আরো বলেন ‘গ্রাম হবে শহর’ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেয়ার পর দেশে যা শুরু হয়েছে তা অনেকটা তোষামোদি টাইপের। থাকছে না কোনো পরিকল্পনা ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গ্রাম হবে শহর’ নাম দিয়ে যেনতেন প্রকল্প অনুমোদন করছে বা শুরু করতে যাচ্ছে। এতে সমস্যা জটিল হবে। কিভাবে?

লিয়াকত আলী জানান, ব্যাংক কর্তৃপক্ষগুলো কী মনে করছে শুধু পাকা ভবন করলেই গ্রাম শহর হয়ে যাবে? ব্যাংক যদি এভাবে পাকা ভবনের জন্য স্বল্পসুদে ঋণ দেয়া শুরু করে তাহলে গ্রামগুলো অপরিকল্পিত ভবনে ভরে যাবে। এতে কৃষিজমি বিনষ্ট হতে থাকবে। দেশের ভূপ্রাকৃতিক বিন্যাস ও নৈসর্গিক বৈচিত্র্য বিনষ্ট হবে। তাই গ্রামের স্বকীয়তা বজায় রেখে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামেই যাতে পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা -মানবকণ্ঠ করতে হবে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ পরিবেশ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য, জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারী শহর গড়ার কথা প্রধানমন্ত্রী বলেননি। তিনি চেয়েছেন, আধুনিক নাগরিক সব সুবিধা এবং অধিকার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাবে; শহরের মানুষ যে সুবিধা পায়, তা থেকে গ্রামের মানুষও বঞ্চিত হবে না।

লিয়াকত আলী জানান, পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করা হলে যেখানে ২৮ বিঘা জমিতে ২৮ হাজার পরিবার বসত করতে পারবে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে গৃহায়ন করা হলে ২৮ বিঘা জমিতে মাত্র ২৮টি পরিবার করতে পারবে। আর প্রতিটি গ্রামে অপরিকল্পিত ও বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করার বহু কুফল দেখা দেবে। অদূরদর্শী উন্নয়নের প্রথম বলি হবে দেশের কৃষি ও পরিবেশ।

তিনি বলেন, মডেল ভিলেজ করতে হবে। যেটি তিনি শুরু করেছেন। এ প্রয়োজন একটি সমন্বিত উদ্যোগ। অভিজ্ঞ উদ্যোক্তাদের কাজে লাগাতে হবে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন অভিজ্ঞ গবেষকদের পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান। মডেল ভিলেজ গড়ে তুলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদনদী, গভীর- অগভীর জলাধার সংরক্ষণ নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ, এগুলো রক্ষা করতে না পারলে গ্রামগুলোকে বাঁচানো সম্ভব নয়। দেশের কৃষিজমি বাঁচাতে হবে, নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, তিনি সুযোগ পেলে তার এলকে মডেল টাউনের মতো আরো মডেল গড়ে তুলবেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘গ্রাম হবে শহর’ ধারণাটির বাস্তব দৃষ্টান্ত তার এলকে মডেল টাউন।

লিয়াকত আলী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি একজন মডেল ভিলেজের সামান্য উদ্যোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে চাই। এক্ষেত্রে আমি আমার ভিলেজের একটি ইউনিট তাকে সবিনয়ে উপহার দিতে চাই।’ লিয়াকত আলী জানান, তার প্রকল্পের ৪৩ বিঘা জমিতে ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৬০ বর্গফুট এলাকায় ২৫ শতাংশ কমন স্পেস বাদ দিলে ৪ লাখ বর্গফুট আয়তনে ৫তলা ভবন করলে ২৮ হাজার ফ্ল্যাট-এ ২৮ হাজার পরিবার বাস করতে পারবে। পরিবারপ্রতি ৫ জন লোক ধরলে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ এখানে বসবাস করতে পারবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

কৃষিজমি বাঁচিয়ে মডেল ভিলেজ গড়ে তোলার ব্যতিক্রমী কারিগর লিয়াকত

আপডেট সময় ১২:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

পাবনা-নগরবাড়ী মহাসড়কে কাশীনাথপুর মোড় থেকে নগরবাড়ীর দিকে প্রায় আধা কিমি দূরে সড়কের পাশে বেড়া উপজেলার শিবপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে এলকে মডেল টাউন’। কৃষিজমি বাঁচিয়ে মডেল ভিলেজ গড়ে তোলার এ ব্যতিক্রমী কারিগর লিয়াকত আলীর এ মডেল টাউনে প্লট ও ফ্ল্যাটের দাম হাতের নাগালের মধ্যে না উপজেলা সদর, না ইউনিয়ন সদর অথচ এখানে আধুনিক নাগরিক জীবনের সব সুবিধাই বিদ্যমান। তাই এখানে প্লট-ফ্ল্যাট কিনছেন সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন-মধ্যবিত্তরাও।

এমন অসাধ্য সাধন করা মানুষটি না কোনো প্রকৌশলী না শিক্ষক ছিলেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তবে তার রয়েছে দেশ নিয়ে ভাবনা ও কিছু স্বপ্ন স্বপ্ন তার পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা, গ্রামের মানুষকে নগরায়নের সুবিধা দেয়া স্বপ্নিল মানুষ লিয়াকত আলীর সৃজনশীলতাই তাকে বানিয়ে দিয়েছে একজন নগরবিদ! প্রচুর পরিমাণ জমি নষ্ট হচ্ছে। নদীনালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, পুকুর-গাছপালা, বনবাদাড়, তরু, লতাগুল্ম, দিগন্তবিস্তৃত মাঠ, ক্ষেতখামার, বনবীথি সব নষ্ট হচ্ছে। দেশ হয়ে পড়ছে রুক্ষ, প্রাকৃতিক বৈচিত্রাহীন, মরুভূমি প্রতিম এক দেশ। আমরা চরম সংকটের দিকে এগিয়ে চলেছি। এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তিনি একদিকে কৃষিজমি বাঁচানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন অন্যদিকে গৃহহীনদের জন্য পরিকল্পিত আবাসনের ব্যবস্থা করছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছেন- প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। এতে লিয়াকত আলীর স্বপ্নপূরণ হয়েছে বলে তিনি জানান। কারণ তিনি এ স্বপ্নই দেখে লিয়াকত আলী পরিশ্রম, মেধা ও ত্যাগ স্বীকার করে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এস কে রিয়েল এস্টেট লি. তথা ৪৩ বিঘা আয়তনের মডেল টাউন।

২০০৭ সালে শুরু হয় লিয়াকত আলীর স্বপ্নজয়ের যুদ্ধ। শিবপুর গ্রামে নিজের মাত্র দেড় একর জমি নিয়ে শুরু করেন এলকে রিয়েল এস্টেট লি. নামে একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে ৫টি ৪তলা, আর ২টি ৫তলা ভবন। প্রত্যেকটি ভবনে এ ২২টি ইউনিট আছে। তিনি তার মডেল টাউনের একটি ইউনিট প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজতাস্বরূপ উপহার দিতে চান।

কেন তিনি উপহার দিতে চান এ প্রসঙ্গে বলেন, সারাদেশে হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ন। অপরিকল্পিতভাবে চলছে জমির ব্যবহার। যেখানে- সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার দোকানসহ বিভিন্ন রকমের স্থাপনা। হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ন জলাধার, বন ইত্যাদি রক্ষায় আইন ও নীতিমালা থাকলেও মনিটরিংয়ের অভাবে এর তোয়াক্বা করছেন না কেউ! দেশে ভূমি ব্যবহারের সমন্বিত পরিকল্পনা নেই। অপরিকল্পিত বাসভবন ও স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্লট উপহার দিতে চান প্রধানমন্ত্রীকে চলেছেন গত এক যুগ ধরে। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম গ্রামের মধ্যে শহর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন এবং সফল হন।

গ্রাম হবে শহর’- এ প্রসঙ্গে লিয়াকত আলীর রয়েছে নানা পরামর্শ নানা অভিমত। কিছু বিষয় নিয়ে তিনি ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন তিনি আরো বলেন ‘গ্রাম হবে শহর’ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেয়ার পর দেশে যা শুরু হয়েছে তা অনেকটা তোষামোদি টাইপের। থাকছে না কোনো পরিকল্পনা ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গ্রাম হবে শহর’ নাম দিয়ে যেনতেন প্রকল্প অনুমোদন করছে বা শুরু করতে যাচ্ছে। এতে সমস্যা জটিল হবে। কিভাবে?

লিয়াকত আলী জানান, ব্যাংক কর্তৃপক্ষগুলো কী মনে করছে শুধু পাকা ভবন করলেই গ্রাম শহর হয়ে যাবে? ব্যাংক যদি এভাবে পাকা ভবনের জন্য স্বল্পসুদে ঋণ দেয়া শুরু করে তাহলে গ্রামগুলো অপরিকল্পিত ভবনে ভরে যাবে। এতে কৃষিজমি বিনষ্ট হতে থাকবে। দেশের ভূপ্রাকৃতিক বিন্যাস ও নৈসর্গিক বৈচিত্র্য বিনষ্ট হবে। তাই গ্রামের স্বকীয়তা বজায় রেখে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামেই যাতে পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা -মানবকণ্ঠ করতে হবে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ পরিবেশ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য, জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারী শহর গড়ার কথা প্রধানমন্ত্রী বলেননি। তিনি চেয়েছেন, আধুনিক নাগরিক সব সুবিধা এবং অধিকার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাবে; শহরের মানুষ যে সুবিধা পায়, তা থেকে গ্রামের মানুষও বঞ্চিত হবে না।

লিয়াকত আলী জানান, পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করা হলে যেখানে ২৮ বিঘা জমিতে ২৮ হাজার পরিবার বসত করতে পারবে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে গৃহায়ন করা হলে ২৮ বিঘা জমিতে মাত্র ২৮টি পরিবার করতে পারবে। আর প্রতিটি গ্রামে অপরিকল্পিত ও বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করার বহু কুফল দেখা দেবে। অদূরদর্শী উন্নয়নের প্রথম বলি হবে দেশের কৃষি ও পরিবেশ।

তিনি বলেন, মডেল ভিলেজ করতে হবে। যেটি তিনি শুরু করেছেন। এ প্রয়োজন একটি সমন্বিত উদ্যোগ। অভিজ্ঞ উদ্যোক্তাদের কাজে লাগাতে হবে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন অভিজ্ঞ গবেষকদের পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান। মডেল ভিলেজ গড়ে তুলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদনদী, গভীর- অগভীর জলাধার সংরক্ষণ নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ, এগুলো রক্ষা করতে না পারলে গ্রামগুলোকে বাঁচানো সম্ভব নয়। দেশের কৃষিজমি বাঁচাতে হবে, নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, তিনি সুযোগ পেলে তার এলকে মডেল টাউনের মতো আরো মডেল গড়ে তুলবেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘গ্রাম হবে শহর’ ধারণাটির বাস্তব দৃষ্টান্ত তার এলকে মডেল টাউন।

লিয়াকত আলী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি একজন মডেল ভিলেজের সামান্য উদ্যোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে চাই। এক্ষেত্রে আমি আমার ভিলেজের একটি ইউনিট তাকে সবিনয়ে উপহার দিতে চাই।’ লিয়াকত আলী জানান, তার প্রকল্পের ৪৩ বিঘা জমিতে ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৬০ বর্গফুট এলাকায় ২৫ শতাংশ কমন স্পেস বাদ দিলে ৪ লাখ বর্গফুট আয়তনে ৫তলা ভবন করলে ২৮ হাজার ফ্ল্যাট-এ ২৮ হাজার পরিবার বাস করতে পারবে। পরিবারপ্রতি ৫ জন লোক ধরলে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ এখানে বসবাস করতে পারবে।