পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মামলা থেকে জামিনে এসে মামলার বাদি কে খুন জখমের হুমকি সহ বিভিন্ন সময় ক্ষয়ক্ষতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে জিআর মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুনরায় বাদি মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ডায়েরি সূত্রে জানাযায় উপজেলার পশ্চিম রাজপাড়া গ্রামে মৃত্যু এ্যাডঃ এম এ হাফিজের ছেলে তারিকুর রহমান মামুন এর সাথে পাশ্ববর্তী আঃ মান্নান এর ছেলেদ্বয়ের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।
উক্ত বিরোধ নিয়ে তারিকুর রহমান বাদি হয়ে ১! আঃ রাজ্জাক রন্জু ২!আরজু হাওলাদার, ৩! মনির হোসেন সর্ব পিতা মৃত্যু আঃ মান্নান ৪! রিয়াজ পিতা আঃ রাজ্জাক রন্জু,এদের কে আসামি করে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহারা নং,জিআর ১০৮/২০১৮,মঠবাড়িয়া এবং সম্পূরক অভিযোগ পত্র নং ১৩, তারিখ ২৬/০১২০২৩ ইং ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৮৫/৩৭৯/৫০৬/১০৯/৩৪ দঃ বিঃ মামলা টি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।
উক্ত মামলার ১-৩নং বিবাদীরা জামিনে এসে ৪ নং বিবাদী কে সাথে নিয়ে ঘটনার দিন ১২/০২/২০২৩ তারিখ বাদিকে মামলা তুলিয়া নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের চাপ প্রয়োগ সহ মারপিট করতে উদ্যত হয়।এবং খুন জখম করবে বলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। অনুপায় বাদি তারিকুর রহমান মঠবাড়িয়া থানায় পুনরায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যাহার নং ৭৭৫ তাং১৩/০২/২০২৩ ইং।
উক্ত বিরোধের জের ধরেই বর্তমান তারিখ ১৬ মার্চ বাড়ির ভিতরে বিষ প্রয়োগ করে গৃহপালিত পশু একাধিক মুরগী মারার অভিযোগ পাওয়া যায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান এদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে এভাবে বিরোধ চলে আসছে।একের পর এক তারা এভাবে বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিরোধ নিরসন না হলে ভবিষ্যতে আরো অঘটন ঘটতে পারে বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ আঃ রাজ্জাক রন্জুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই মামলার বাদি সে একজন মামলাবাজ,তিনি এলাকার মানুষ কে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে এবং তিনি নিজে ও একাধিক মামলার আসামী। আর মুরগী মারার বিষয় তিনি বলেন আমাদের এলাকা ব্যাপি মহামারির কারণে সকলের মুরগী মারা গেছে। এখানে কেউ বিষ প্রয়োগ করেনি। প্রয়োজনে সে চিকিৎসক কর্তৃক, বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা তাহা পরিক্ষা করার অনুরোধ জানান।