ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পটল চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছে ঝিকরগাছার চাষীরা

পটল একটি উচ্চ ফলনশীল সবজি। পটল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে ঝিকরগাছার চাষীরা।  পটল একটি লাভজনক ফসল। ঝিকরগাছা উপজেলায় কয়েক হাজার একর জমিতে পটলের চাষ হয়। শীত মৌসুম ব্যতীত সারা বছরই পটল চাষ করা যায়।  পটল লাগানোর সময় অক্টোবর – নভেম্বর। 

পটল চাষ করে এখানকার চাষিরা স্বাবলম্বী হওয়ার সপ্ন দেখছেন।  ঝিকরগাছায় সবচেয়ে বেশি পটল চাষ হয় গদখালী ইউনিয়নে, পানিসারা ইউনিয়ন  ও গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নে। পটল চাষে লোকসানের সম্ভাবনা অনেক কম, তাই কৃষকেরা পটল চাষে বেশি আগ্রহী। পটল যখন বাজারজাত হয় তখন শীতের সবজি থাকেনা, তাই পটল থাকে ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে, তাই দামও পাওয়া যায় ভালো।

ভোরে মাঠে গেলেই চোখে পড়বে দলে দলে নারী পুরুষ মাঠে যাচ্ছে পটলের কৃত্রিম পরায়ণ করানোর জন্য।   পানিসারা ইউনিয়নের  টাওরা গ্রামের চাষি আকবার আলী বলেন,  আমি প্রায় ৩৫ বছর পটল চাষের সাথে জড়িত, বিকালে পুরুষ ফুল তুলপ বাসায় নিয়ে খুব ভোরে স্থী ফুল ছোয়াতে হয়, আমরা যা বুঝি কৃত্রিম পরায়ণ।

প্রতি বছরই পটল চাষ করি। এখন প্রতি কেজি পটল পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।  ঝিকরগাছার পটল চাষিদের নিকট থেকে  ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন ভোরে পটলের পুরুষ ফুল দিয়ে স্থী ফুলের কৃত্রিম পরায়ণের মাধ্যমে পটলের ফলন বাড়ানো সম্ভব। কৃত্রিম পরায়ণ না হলে স্থী ফুল শুকিয়ে যায়। পটল চাষ করে ঝিকরগাছা উপজেলার অনেক চাষি আজ স্বাবলম্বী।  পটলের অনেক ঔষধি গুণ আছে পটোলের পোড়া রস মধু সহ মুখে কিছুসময় রেখে  কুলকুচি  করলে মুখের দুর্গন্ধ দুর হয়।  পটলের পোড়া শাঁস ন্যাকড়া/ তুলায় নিয়ে ফোঁড়ার উপর চেপে রাখলে ফোঁড়া ফেটে যায়।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পটলের দুইটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে, ‘বারি পটল-১’ ও বারি পটল-২’  জাত দুইটি রোগবালাই  সহ্য করতে পারে ও উচ্চ ফলনশীল, হেক্টর প্রতি ফলন ৩০ থেকে ৩৫ মণ। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের কে সবরকম পরামর্শ দিয়ে থাকি, যেনো কোন কৃষকের লোকশান না হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

পটল চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছে ঝিকরগাছার চাষীরা

আপডেট সময় ০৪:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

পটল একটি উচ্চ ফলনশীল সবজি। পটল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে ঝিকরগাছার চাষীরা।  পটল একটি লাভজনক ফসল। ঝিকরগাছা উপজেলায় কয়েক হাজার একর জমিতে পটলের চাষ হয়। শীত মৌসুম ব্যতীত সারা বছরই পটল চাষ করা যায়।  পটল লাগানোর সময় অক্টোবর – নভেম্বর। 

পটল চাষ করে এখানকার চাষিরা স্বাবলম্বী হওয়ার সপ্ন দেখছেন।  ঝিকরগাছায় সবচেয়ে বেশি পটল চাষ হয় গদখালী ইউনিয়নে, পানিসারা ইউনিয়ন  ও গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নে। পটল চাষে লোকসানের সম্ভাবনা অনেক কম, তাই কৃষকেরা পটল চাষে বেশি আগ্রহী। পটল যখন বাজারজাত হয় তখন শীতের সবজি থাকেনা, তাই পটল থাকে ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে, তাই দামও পাওয়া যায় ভালো।

ভোরে মাঠে গেলেই চোখে পড়বে দলে দলে নারী পুরুষ মাঠে যাচ্ছে পটলের কৃত্রিম পরায়ণ করানোর জন্য।   পানিসারা ইউনিয়নের  টাওরা গ্রামের চাষি আকবার আলী বলেন,  আমি প্রায় ৩৫ বছর পটল চাষের সাথে জড়িত, বিকালে পুরুষ ফুল তুলপ বাসায় নিয়ে খুব ভোরে স্থী ফুল ছোয়াতে হয়, আমরা যা বুঝি কৃত্রিম পরায়ণ।

প্রতি বছরই পটল চাষ করি। এখন প্রতি কেজি পটল পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।  ঝিকরগাছার পটল চাষিদের নিকট থেকে  ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন ভোরে পটলের পুরুষ ফুল দিয়ে স্থী ফুলের কৃত্রিম পরায়ণের মাধ্যমে পটলের ফলন বাড়ানো সম্ভব। কৃত্রিম পরায়ণ না হলে স্থী ফুল শুকিয়ে যায়। পটল চাষ করে ঝিকরগাছা উপজেলার অনেক চাষি আজ স্বাবলম্বী।  পটলের অনেক ঔষধি গুণ আছে পটোলের পোড়া রস মধু সহ মুখে কিছুসময় রেখে  কুলকুচি  করলে মুখের দুর্গন্ধ দুর হয়।  পটলের পোড়া শাঁস ন্যাকড়া/ তুলায় নিয়ে ফোঁড়ার উপর চেপে রাখলে ফোঁড়া ফেটে যায়।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পটলের দুইটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে, ‘বারি পটল-১’ ও বারি পটল-২’  জাত দুইটি রোগবালাই  সহ্য করতে পারে ও উচ্চ ফলনশীল, হেক্টর প্রতি ফলন ৩০ থেকে ৩৫ মণ। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের কে সবরকম পরামর্শ দিয়ে থাকি, যেনো কোন কৃষকের লোকশান না হয়।