ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

হাওয়ায় পুনরুজ্জিবীত রাজশাহীর রাজ তিলক

  • সোহেল রানা
  • আপডেট সময় ০৩:১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • ৫৮৯ বার পড়া হয়েছে

সংস্কৃতি সমৃদ্ধ শহর রাজশাহীতে নব্বই দশকের শেষ পর্যন্ত সব মানুষের বিনোদনের প্রধান উৎসই ছিলো হলে গিয়ে সিনেমা দেখা। তবে কালের বিবর্তন ও চলচ্চিত্রের বেহাল দশার কারণে ২০১০ সাল থেকে একে একে বন্ধ হতে শুরু করে এখানকার সিনেমা হলগুলো।

তবে সেই বিনোদনের প্রধান উৎসকেই ফিরিয়ে আনতে শুক্রবার জমকালো আয়োজনে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত বিখ্যাত ‘হাওয়া’ সিনেমার প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে বন্ধ থাকার দীর্ঘ ১৩ বছর পর রাজশাহীর কাটাখালী বাজারে অবস্থিত রাজ তিলক সিনেমা হলটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতেই হলটি উদ্বোধন করা হয়।

দেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হাওয়া মুভি দিয়ে হলটির প্রথম শো শুরু হয়। দীর্ঘদিন সিনেমা হল না থাকার শূন্যতা ঘোঁচায় উচ্ছ্বসিত রাজশাহীবাসী।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সাদিক উল ইসলাম বলেন, ‘পূর্বে রাজশাহী বিনোদনমুখর ছিলো। কিন্তু মাঝে সকল সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিনোদন কমে গিয়েছিলো। তবে আবারও ধীরে ধীরে সিনেমা হলগুলো চালু হওয়ায় ভালো লাগছে। আশা করি পূর্বের মতো আবারও বিনোদনমুখর হয়ে উঠবে রাজশাহী।’

সিনেমা দেখতে আসা স্মৃতি বলেন, ‘১২-১৩ বছর আগে কাটাখালী (রাজ তিলক) হলে ‘মনপুরা’ সিনেমা দেখেছিলাম। তারপর আর কোনো সিনেমা দেখা হয়নি হলে গিয়ে। তবে গত কয়েক দিন থেকে কাটাখালির ‘রাজ তিলক’ সিনেমা হল চালুর মাইকিং এলাকায় এলাকায় করা হয়েছে। এজন্যই আজ আবারও হলে সিনেমা দেখলাম। ভালো লাগলো।’

সিনেমা হলের মালিক রুম্মান আলীর কাছ থেকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে সিনেমা হল চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকার ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন সাগর। সংস্কৃতি সমৃদ্ধ রাজশাহীকে পুনরায় বিনোদনমুখর করে তোলার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে সাজ্জাদ হোসেন সাগর বলেন, ‘দীর্ঘ ১১ বছর পরে সিনেমা হলটি চালু হওয়ায় রাজশাহীবাসীর বিনোদনের নতুন দুয়ার খুলেছে। এই সিনেমা হলটি চালু করা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। হলটি চালু করতে নতুন করে আবার কাগজপত্র করতে হয়েছে। একই সাথে নতুন করে সংস্কার ও সাজসজ্জার কাজ করতে হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে তিন থেকে চার মাস কাজ করে হলটি চালুর উপযোগী করা হয়।’

দর্শকদের সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ৭০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। আর ১৮ মার্চ থেকে প্রতিদিন চারটি শো’তে একসাথে ৫১০ জন দর্শক সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন এই হলটিতে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

হাওয়ায় পুনরুজ্জিবীত রাজশাহীর রাজ তিলক

আপডেট সময় ০৩:১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

সংস্কৃতি সমৃদ্ধ শহর রাজশাহীতে নব্বই দশকের শেষ পর্যন্ত সব মানুষের বিনোদনের প্রধান উৎসই ছিলো হলে গিয়ে সিনেমা দেখা। তবে কালের বিবর্তন ও চলচ্চিত্রের বেহাল দশার কারণে ২০১০ সাল থেকে একে একে বন্ধ হতে শুরু করে এখানকার সিনেমা হলগুলো।

তবে সেই বিনোদনের প্রধান উৎসকেই ফিরিয়ে আনতে শুক্রবার জমকালো আয়োজনে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত বিখ্যাত ‘হাওয়া’ সিনেমার প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে বন্ধ থাকার দীর্ঘ ১৩ বছর পর রাজশাহীর কাটাখালী বাজারে অবস্থিত রাজ তিলক সিনেমা হলটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতেই হলটি উদ্বোধন করা হয়।

দেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হাওয়া মুভি দিয়ে হলটির প্রথম শো শুরু হয়। দীর্ঘদিন সিনেমা হল না থাকার শূন্যতা ঘোঁচায় উচ্ছ্বসিত রাজশাহীবাসী।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সাদিক উল ইসলাম বলেন, ‘পূর্বে রাজশাহী বিনোদনমুখর ছিলো। কিন্তু মাঝে সকল সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিনোদন কমে গিয়েছিলো। তবে আবারও ধীরে ধীরে সিনেমা হলগুলো চালু হওয়ায় ভালো লাগছে। আশা করি পূর্বের মতো আবারও বিনোদনমুখর হয়ে উঠবে রাজশাহী।’

সিনেমা দেখতে আসা স্মৃতি বলেন, ‘১২-১৩ বছর আগে কাটাখালী (রাজ তিলক) হলে ‘মনপুরা’ সিনেমা দেখেছিলাম। তারপর আর কোনো সিনেমা দেখা হয়নি হলে গিয়ে। তবে গত কয়েক দিন থেকে কাটাখালির ‘রাজ তিলক’ সিনেমা হল চালুর মাইকিং এলাকায় এলাকায় করা হয়েছে। এজন্যই আজ আবারও হলে সিনেমা দেখলাম। ভালো লাগলো।’

সিনেমা হলের মালিক রুম্মান আলীর কাছ থেকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে সিনেমা হল চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকার ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন সাগর। সংস্কৃতি সমৃদ্ধ রাজশাহীকে পুনরায় বিনোদনমুখর করে তোলার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে সাজ্জাদ হোসেন সাগর বলেন, ‘দীর্ঘ ১১ বছর পরে সিনেমা হলটি চালু হওয়ায় রাজশাহীবাসীর বিনোদনের নতুন দুয়ার খুলেছে। এই সিনেমা হলটি চালু করা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। হলটি চালু করতে নতুন করে আবার কাগজপত্র করতে হয়েছে। একই সাথে নতুন করে সংস্কার ও সাজসজ্জার কাজ করতে হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে তিন থেকে চার মাস কাজ করে হলটি চালুর উপযোগী করা হয়।’

দর্শকদের সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ৭০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। আর ১৮ মার্চ থেকে প্রতিদিন চারটি শো’তে একসাথে ৫১০ জন দর্শক সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন এই হলটিতে।