এক পাউন্ড, দুই পাউন্ড নয়, বিশাল টেবিলজুড়ে ১০৫ পাউন্ড ওজনের কেক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ১০৩ ফুট দৈর্ঘ্যের এবং ২০ ইঞ্চি প্রস্থের বিশাল এ কেকটি কাটেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। প্রতি বছর এ কেকের দৈর্ঘ্য এক ফুট করে বাড়বে বলেও ঘোষণা দেন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) নগরের কাট্টলী রাসমণি ঘাটে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সাবেক মেয়র মনজুর আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন আল্লাহর অলি। না হয় উনি কেমনে স্বপ্ন দেখেছেন এদেশ সোনার বাংলা হবে। ওই সময় তাকে বেছে নিয়েছিলেন সোহরাওয়ার্দী ও একে ফজলুল হক। পরবর্তীতে তিনিই হয়েছেন জাতির পিতা। তার হাত ধরেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর এই কেকের দৈর্ঘ্য আরও এক ফুট বাড়বে। আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন কেকের দৈর্ঘ্য বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর সঙ্গে এক ফুট করে বাড়তে থাকবে।
এ দিবসে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান এবং ১০ বিশিষ্টজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধিতরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, জামিয়া সুন্নিয়া আহমদিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা জালাল উদ্দিন আলকাদেরী (মরণোত্তর), চিকিৎসক এম এ ওয়াহেদ, স্থপতি বিধান বড়ুয়া, গণপূর্ত বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হান, ছড়াকার রাশেদ রউফ, এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তহুরীন সবুর, শিক্ষক রফিক আহমেদ, শিক্ষক নুরুল হক চৌধুরী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মজুমদার।