ঢাকা ১১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী দূতালয় প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সূচনা করেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

হাইকমিশনার তার বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন নির্ভীক, দয়ালু এবং পরোপকারী কিন্তু অধিকার আদায়ে ছিলেন আপসহীন। নিজের স্কুলের সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বন্ধুকে ছাতা দিয়ে নিজে বাড়ি ফিরেছেন বৃষ্টিতে ভিজে। শীতকালে গায়ের চাদর খুলে দিয়েছেন বৃদ্ধকে। বেড়ে উঠেছেন মানবিক গুণাবলী নিয়ে।

হাইকমিশনার সিদ্দিকী বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষণে অন্যায়-অবিচার ও শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেননি। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিরই নয়, তিনি ছিলেন বিশ্বের সব নিপীড়িত-শোষিত মানুষের অধিকার ও মুক্তির অগ্রনায়ক।

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং ভবিষ্যতে দেশ গড়ার কাজে তারাই নেতৃত্ব দেবে। বঙ্গবন্ধু শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের ২২ জুন শিশু আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু ঘোষিত শিশু নীতিকে আরো যুগোপযোগী করতে শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেন।

আলোচনা পর্ব শেষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বিকেলের অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার সব শিশু-কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ইভেন্টে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হাইকমিশনার শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

আপডেট সময় ১২:৪২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী দূতালয় প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সূচনা করেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

হাইকমিশনার তার বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন নির্ভীক, দয়ালু এবং পরোপকারী কিন্তু অধিকার আদায়ে ছিলেন আপসহীন। নিজের স্কুলের সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বন্ধুকে ছাতা দিয়ে নিজে বাড়ি ফিরেছেন বৃষ্টিতে ভিজে। শীতকালে গায়ের চাদর খুলে দিয়েছেন বৃদ্ধকে। বেড়ে উঠেছেন মানবিক গুণাবলী নিয়ে।

হাইকমিশনার সিদ্দিকী বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষণে অন্যায়-অবিচার ও শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেননি। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিরই নয়, তিনি ছিলেন বিশ্বের সব নিপীড়িত-শোষিত মানুষের অধিকার ও মুক্তির অগ্রনায়ক।

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং ভবিষ্যতে দেশ গড়ার কাজে তারাই নেতৃত্ব দেবে। বঙ্গবন্ধু শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের ২২ জুন শিশু আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু ঘোষিত শিশু নীতিকে আরো যুগোপযোগী করতে শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেন।

আলোচনা পর্ব শেষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বিকেলের অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার সব শিশু-কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ইভেন্টে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হাইকমিশনার শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন।