ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রভাষককে হাজিরা দিতে বাঁধা

  • সোহেল রানা
  • আপডেট সময় ১২:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • ৫৯৫ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁ জেলার বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের বহু সমালোচিত ও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোঃ আমদাদ হসেন আজ বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন ও শিশু দিবসে অত্র কলেজের প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীকে আজকের এই দিনে অধ্যক্ষ কর্তৃক ষড়যন্ত্র মূলক আজকের উপস্হিতি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেন নাই। জানা যায় যে, প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলী অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে মাউশি অধিদপ্তরে অভিযোগ করায় ও অধ্যক্ষের সকল জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় অধ্যক্ষ এখন শাস্তি থেকে বাঁচতে ও নিজের চাকরি বাঁচাতে আইনের সাথে না পেরে অধ্যক্ষ প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীর সঙ্গে কলেজে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও নানাভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেই চলছেন।

আজ জানা যায় যে প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলী তার নিজ বাড়ি থেকে খুব সকালে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন ও শিশু দিবস পালন করার জন্য কলেজে সবার আগে ০৭ঃ৫০ মিনিটে উপস্থিত হয়ে আজকের কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু আজকে উপস্থিতি হাজিরা খাতায় উপস্থিত সকল শিক্ষক ও কর্মচারী হাজিরা করেছেন কিন্তু এরশাদ আলীকে যড়যন্ত্র মূলক আজকে উপস্থিতি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেন নাই। জানা যায় যে অত্র কলেজের দুই পিয়ন মোঃ এনামুল ও শ্রী টুটন এই দুইজনে মিলে প্রভাষক এরশাদকে হাজিরা করতে বাঁধা দেয় এবং হাজিরা করতে না দিয়ে দুই পিয়ন হাজিরা খাতা গোপন করেন। প্রভাষক এরশাদ আলী স্বাক্ষর করতে চাইলে দুই পিয়ন বলেন যে অধ্যক্ষ খাতা দিতে নিষেধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দুই পিয়ন প্রভাষক এরশাদ আলী কে স্বাক্ষর করতে দেই নি।

আজ বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন ও শিশু দিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রভাষকের সাথে এমন আচরণ এটা অবশ্যই শোভনীয় না।

আরো জানা যায় যে আজকে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন ও শিশু দিবস পালনের ব্যানার পর্যন্ত অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন আজকে তৈরি করেন নাই। আরো জানা যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত আজকের কর্মসূচি অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন সঠিকভাবে পালন না করে স্বল্প সময়ে দায়সারা করে পার করেছেন।

আরো জানা যায় যে অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের নানা অনিয়মের জন্য কলেজের শিক্ষার মান, কলেজেরর উন্নয়ন নষ্ট হচ্ছে এবং ছাত্র সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, নিয়োগ জালিয়াতি, ঘুষ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ সহ আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে।

অত্র মহান এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য, শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক এবং আমজনতা অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড় তুলেছেন এবং অধ্যক্ষের স্হায়ী বরখাস্ত দাবি করছেন।
কলেজের পিয়ন কর্তৃক প্রভাষক কে অপমান করা ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে না দেওয়া এটা অবশ্যই নিয়ম বহির্ভূত কাজ। এমন অনিয়মের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন আচরণকারী তারা কখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও স্বাধীনতা পক্ষের মানুষ হতে পারে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি অধিদপ্তরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অনুরোধ বিষয়টি খতিয়ে দেখে অধ্যক্ষ ও দুই পিয়নের এমন অনিয়ম ও এমন আচরণের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি গ্রহণ করা উচিত।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রভাষককে হাজিরা দিতে বাঁধা

আপডেট সময় ১২:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

নওগাঁ জেলার বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের বহু সমালোচিত ও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোঃ আমদাদ হসেন আজ বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন ও শিশু দিবসে অত্র কলেজের প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীকে আজকের এই দিনে অধ্যক্ষ কর্তৃক ষড়যন্ত্র মূলক আজকের উপস্হিতি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেন নাই। জানা যায় যে, প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলী অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে মাউশি অধিদপ্তরে অভিযোগ করায় ও অধ্যক্ষের সকল জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় অধ্যক্ষ এখন শাস্তি থেকে বাঁচতে ও নিজের চাকরি বাঁচাতে আইনের সাথে না পেরে অধ্যক্ষ প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীর সঙ্গে কলেজে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও নানাভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেই চলছেন।

আজ জানা যায় যে প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলী তার নিজ বাড়ি থেকে খুব সকালে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন ও শিশু দিবস পালন করার জন্য কলেজে সবার আগে ০৭ঃ৫০ মিনিটে উপস্থিত হয়ে আজকের কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু আজকে উপস্থিতি হাজিরা খাতায় উপস্থিত সকল শিক্ষক ও কর্মচারী হাজিরা করেছেন কিন্তু এরশাদ আলীকে যড়যন্ত্র মূলক আজকে উপস্থিতি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেন নাই। জানা যায় যে অত্র কলেজের দুই পিয়ন মোঃ এনামুল ও শ্রী টুটন এই দুইজনে মিলে প্রভাষক এরশাদকে হাজিরা করতে বাঁধা দেয় এবং হাজিরা করতে না দিয়ে দুই পিয়ন হাজিরা খাতা গোপন করেন। প্রভাষক এরশাদ আলী স্বাক্ষর করতে চাইলে দুই পিয়ন বলেন যে অধ্যক্ষ খাতা দিতে নিষেধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দুই পিয়ন প্রভাষক এরশাদ আলী কে স্বাক্ষর করতে দেই নি।

আজ বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন ও শিশু দিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রভাষকের সাথে এমন আচরণ এটা অবশ্যই শোভনীয় না।

আরো জানা যায় যে আজকে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন ও শিশু দিবস পালনের ব্যানার পর্যন্ত অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন আজকে তৈরি করেন নাই। আরো জানা যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত আজকের কর্মসূচি অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন সঠিকভাবে পালন না করে স্বল্প সময়ে দায়সারা করে পার করেছেন।

আরো জানা যায় যে অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের নানা অনিয়মের জন্য কলেজের শিক্ষার মান, কলেজেরর উন্নয়ন নষ্ট হচ্ছে এবং ছাত্র সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, নিয়োগ জালিয়াতি, ঘুষ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ সহ আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে।

অত্র মহান এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য, শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক এবং আমজনতা অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড় তুলেছেন এবং অধ্যক্ষের স্হায়ী বরখাস্ত দাবি করছেন।
কলেজের পিয়ন কর্তৃক প্রভাষক কে অপমান করা ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে না দেওয়া এটা অবশ্যই নিয়ম বহির্ভূত কাজ। এমন অনিয়মের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন আচরণকারী তারা কখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও স্বাধীনতা পক্ষের মানুষ হতে পারে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি অধিদপ্তরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অনুরোধ বিষয়টি খতিয়ে দেখে অধ্যক্ষ ও দুই পিয়নের এমন অনিয়ম ও এমন আচরণের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি গ্রহণ করা উচিত।