ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের খড়ের স্তুপে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

ভোলালালমোহনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের খড়ের স্তুপে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের রায়রাবাদ ৬নং ওয়ার্ডের শফিউল্যাহর বাড়িতে (১১ মার্চ) শনিবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মৃত: আজাহার হাওলাদারের ছেলে মাসুদ গংরা অভিযোগ করে বলেন, খড়ের স্তুপে আগুন লাগার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। আমার চাচাতো ভাই বজলু গংদের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের জমির বিরোধ চলে আসছে, বজলু গংরা ভোলা কোর্টে ফৌঃ ১০৭/১১৭ সি ধারায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারী আমাদেরকে আসামি করে এসএ-৫৪৯ নং খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক জয়নাল আবেদীন ও আঃ রহমানের ওয়ারিশ দাবী করে ভোলা কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন বাদীপক্ষ বজলু গংরা আমাদেরকে কোনো ভাবেই আটকাতে পারছেনা কারণ বজলু গংদের ৫৪৯ খতিয়ানে যে মামলা দায়ের করেছেন সেই জায়গাতে আমাদের কোনো দাবি নেই বরং আমাদের ৫৩৯ নং খতিয়ানে ও বিভিন্ন দাগের জমি জোর পূর্বক ভাবে দখলের চেষ্টা করেন এই বজলু গংসহ ১৩ জনকে বিবাদী করে ১৪৪/১৪৫ ফৌঃ কার্য বিধি অনুযায়ী কোর্ট একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তারই জের ধরে বজলু গংরা কোনো উপায় না পেয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য বজলু গংদের বিরুদ্ধে আমাদের করা ১৪৪/১৪৫ ধারা নিষেধাজ্ঞা মামলার ৬ নাম্বার আসামি শফিউল্লাহ পরিকল্পিত ভাবে গত ১২ মার্চ ভোর রাতে নিজের খড়ের স্তুপে আগুন লাগিয়ে পুরিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সফিউল্লার খড়ের স্তুপে আগুন লাগার এমন অভিযোগ মাসুদ গংদের উপর চাপানোর পরে মাসুদ জানান, গত ১১ মার্চ ও ১২ মার্চ আমার এই জমি সংক্রান্ত মামলার কারণে ভোলা হাবিব হোটেলের ১১৬ নং রুমে রাত্রি যাপন করি। সফিউল্লাহ গংরা আমাদেরকে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তাই আমি লালমোহন উপজেলা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিউল্যাহ বলেন, আমার খড়ের স্তুপে রাতের আঁধারে কে বা কাঁহারা আগুন দিয়েছে তা জানি না। তবে মাসুদ গংদের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্তে মামলা চলছে তবে তাদের ছাড়া আর কাউকে সন্দেহ হয়না। এব্যাপারে পাশ্ববর্তী নিরব হাওলাদার জানান, আগুন যে জায়গায় লেগেছে তার’ই পাশে আমার পানির পাম্প তখন ভোর ৪টা। আমি পানির পাম্প চালু দিয়ে মোবাইল দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পরি হঠৎ ৪টা ১৫ মিনিটের সময় দেখি একজন মহিলার চিৎকার চেচামেচি তখন আমি বালতি নিয়ে দৌড়ে যাই সেখখানে যেয়ে দিখি সফিউল্লার স্ত্রী ও পুত্র দুইজনে ওই স্থানে আগুন নিবাচ্ছে। তখন আমি তাদের সাথে একযোগে পানি দিয়ে আগুন নিবাই তখন ওই স্থানে আর কাউকে দেখতে পাইনি। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় প্রতিবেশীরা ছুটে আসে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের খড়ের স্তুপে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:১৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

ভোলালালমোহনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের খড়ের স্তুপে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের রায়রাবাদ ৬নং ওয়ার্ডের শফিউল্যাহর বাড়িতে (১১ মার্চ) শনিবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মৃত: আজাহার হাওলাদারের ছেলে মাসুদ গংরা অভিযোগ করে বলেন, খড়ের স্তুপে আগুন লাগার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। আমার চাচাতো ভাই বজলু গংদের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের জমির বিরোধ চলে আসছে, বজলু গংরা ভোলা কোর্টে ফৌঃ ১০৭/১১৭ সি ধারায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারী আমাদেরকে আসামি করে এসএ-৫৪৯ নং খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক জয়নাল আবেদীন ও আঃ রহমানের ওয়ারিশ দাবী করে ভোলা কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন বাদীপক্ষ বজলু গংরা আমাদেরকে কোনো ভাবেই আটকাতে পারছেনা কারণ বজলু গংদের ৫৪৯ খতিয়ানে যে মামলা দায়ের করেছেন সেই জায়গাতে আমাদের কোনো দাবি নেই বরং আমাদের ৫৩৯ নং খতিয়ানে ও বিভিন্ন দাগের জমি জোর পূর্বক ভাবে দখলের চেষ্টা করেন এই বজলু গংসহ ১৩ জনকে বিবাদী করে ১৪৪/১৪৫ ফৌঃ কার্য বিধি অনুযায়ী কোর্ট একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তারই জের ধরে বজলু গংরা কোনো উপায় না পেয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য বজলু গংদের বিরুদ্ধে আমাদের করা ১৪৪/১৪৫ ধারা নিষেধাজ্ঞা মামলার ৬ নাম্বার আসামি শফিউল্লাহ পরিকল্পিত ভাবে গত ১২ মার্চ ভোর রাতে নিজের খড়ের স্তুপে আগুন লাগিয়ে পুরিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সফিউল্লার খড়ের স্তুপে আগুন লাগার এমন অভিযোগ মাসুদ গংদের উপর চাপানোর পরে মাসুদ জানান, গত ১১ মার্চ ও ১২ মার্চ আমার এই জমি সংক্রান্ত মামলার কারণে ভোলা হাবিব হোটেলের ১১৬ নং রুমে রাত্রি যাপন করি। সফিউল্লাহ গংরা আমাদেরকে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তাই আমি লালমোহন উপজেলা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিউল্যাহ বলেন, আমার খড়ের স্তুপে রাতের আঁধারে কে বা কাঁহারা আগুন দিয়েছে তা জানি না। তবে মাসুদ গংদের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্তে মামলা চলছে তবে তাদের ছাড়া আর কাউকে সন্দেহ হয়না। এব্যাপারে পাশ্ববর্তী নিরব হাওলাদার জানান, আগুন যে জায়গায় লেগেছে তার’ই পাশে আমার পানির পাম্প তখন ভোর ৪টা। আমি পানির পাম্প চালু দিয়ে মোবাইল দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পরি হঠৎ ৪টা ১৫ মিনিটের সময় দেখি একজন মহিলার চিৎকার চেচামেচি তখন আমি বালতি নিয়ে দৌড়ে যাই সেখখানে যেয়ে দিখি সফিউল্লার স্ত্রী ও পুত্র দুইজনে ওই স্থানে আগুন নিবাচ্ছে। তখন আমি তাদের সাথে একযোগে পানি দিয়ে আগুন নিবাই তখন ওই স্থানে আর কাউকে দেখতে পাইনি। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় প্রতিবেশীরা ছুটে আসে।